ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

পুরোনো টাকা বদলী নামে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বিভিন্ন তফসিলী ব্যাংকে ‘পুরাতন, ময়লাযুক্ত ও ছেঁড়া টাকা বদল করা হয়” এমন সাইনবোর্ড শোভা পেলেও বাস্তবে সেই ঘোষণার কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না বলে গ্রাহকের অভিযোগ। গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংক কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে টাকা বদল করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এতে প্রতিদিন সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে, এমনকি দেখা যায় তর্ক-বিতর্ক ও বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটে।
পদুয় তেওয়ারী হাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন বলেন, “দুইশ টাকার একটা পুরনো নোট বদলাতে গিয়েছিলাম একটি ব্যাংকে। তারা বলল, এটা বদলানো যাবে না। অথচ দেয়ালে বড় করে লেখা আছে, পুরোনো, ছেঁড়া বা অকার্যকর টাকা পাল্টানো হয়।” আরেক গ্রাহক আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা জনগণের অধিকার। কিন্তু তারা এমন আচরণ করছে যেন আমরা ভিক্ষা চাইতে গেছি।” নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সব তফসিলী ব্যাংক পুরাতন, ময়লাযুক্ত বা ছেঁড়া নোট গ্রহণ ও নতুন নোটের বিনিময় করতে বাধ্য। কিন্তু লোহাগাড়ার বিভিন্ন শাখায় এই নিয়ম কার্যত উপেক্ষিত। অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা মুখে বলেন, “মেশিনে টাকা যাচাই হয় না”, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নেই”, এমন নানা অজুহাতে গ্রাহককে ফিরিয়ে দেন। এ নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের একাংশ বলেন, পুরোনো নোট বদলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও নির্দেশনা থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত নতুন নোট না পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তবে স্থানীয় গ্রাহকরা মনে করেন, এটি শুধুই দায়সারা যুক্তি। স্থানীয় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি এবং দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। প্রবীণ শিক্ষক সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, “ব্যাংক মানে জনগণের আস্থা। সেখানে যদি ঘোষিত সেবাই না মেলে, তাহলে জনগণ কোথায় যাবে?”পদুয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, সাইনবোর্ডে লেখা “পুরোনো, ছেঁড়া ও কাদাযুক্ত টাকা বদল করা হয়” এটা শুধুই এক প্রহসন? এই ব্যাপারে লোহাগাড়ার সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক -হোসাইন মো: মহিউদ্দিন, ওয়ান ব্যাংক পদুয়া শাখার ব্যবস্থাপক-আহমেদ উল্লাহ ও সাউথইস্ট ব্যাংক লোহাগাড়া শাখার ব্যবস্থাপক এ এইচ এম ইফতেখার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা তা অস্বীকার করেন। তাঁরা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী
পুরোনো, ছেঁড়া ও কাদাযুক্ত টাকা বদল করা হয় এ রকম আমরা ঘোষণা ও দিয়েছি এবং কাজও করছি কিন্তু এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম কানুন আছে তা কিছু কিছু গ্রাহক নারাজ। এই ব্যাপারে লোহাগাড়ার সচেতন জনগণ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পুরোনো টাকা বদলী নামে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় :

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বিভিন্ন তফসিলী ব্যাংকে ‘পুরাতন, ময়লাযুক্ত ও ছেঁড়া টাকা বদল করা হয়” এমন সাইনবোর্ড শোভা পেলেও বাস্তবে সেই ঘোষণার কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না বলে গ্রাহকের অভিযোগ। গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংক কর্মকর্তারা নানা অজুহাতে টাকা বদল করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এতে প্রতিদিন সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে, এমনকি দেখা যায় তর্ক-বিতর্ক ও বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটে।
পদুয় তেওয়ারী হাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন বলেন, “দুইশ টাকার একটা পুরনো নোট বদলাতে গিয়েছিলাম একটি ব্যাংকে। তারা বলল, এটা বদলানো যাবে না। অথচ দেয়ালে বড় করে লেখা আছে, পুরোনো, ছেঁড়া বা অকার্যকর টাকা পাল্টানো হয়।” আরেক গ্রাহক আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা জনগণের অধিকার। কিন্তু তারা এমন আচরণ করছে যেন আমরা ভিক্ষা চাইতে গেছি।” নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সব তফসিলী ব্যাংক পুরাতন, ময়লাযুক্ত বা ছেঁড়া নোট গ্রহণ ও নতুন নোটের বিনিময় করতে বাধ্য। কিন্তু লোহাগাড়ার বিভিন্ন শাখায় এই নিয়ম কার্যত উপেক্ষিত। অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা মুখে বলেন, “মেশিনে টাকা যাচাই হয় না”, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নেই”, এমন নানা অজুহাতে গ্রাহককে ফিরিয়ে দেন। এ নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের একাংশ বলেন, পুরোনো নোট বদলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও নির্দেশনা থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত নতুন নোট না পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তবে স্থানীয় গ্রাহকরা মনে করেন, এটি শুধুই দায়সারা যুক্তি। স্থানীয় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে কঠোর নজরদারি এবং দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। প্রবীণ শিক্ষক সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, “ব্যাংক মানে জনগণের আস্থা। সেখানে যদি ঘোষিত সেবাই না মেলে, তাহলে জনগণ কোথায় যাবে?”পদুয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সিকদার বলেন, সাইনবোর্ডে লেখা “পুরোনো, ছেঁড়া ও কাদাযুক্ত টাকা বদল করা হয়” এটা শুধুই এক প্রহসন? এই ব্যাপারে লোহাগাড়ার সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক -হোসাইন মো: মহিউদ্দিন, ওয়ান ব্যাংক পদুয়া শাখার ব্যবস্থাপক-আহমেদ উল্লাহ ও সাউথইস্ট ব্যাংক লোহাগাড়া শাখার ব্যবস্থাপক এ এইচ এম ইফতেখার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা তা অস্বীকার করেন। তাঁরা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী
পুরোনো, ছেঁড়া ও কাদাযুক্ত টাকা বদল করা হয় এ রকম আমরা ঘোষণা ও দিয়েছি এবং কাজও করছি কিন্তু এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম কানুন আছে তা কিছু কিছু গ্রাহক নারাজ। এই ব্যাপারে লোহাগাড়ার সচেতন জনগণ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।