পুলিশকে কর্মই দিয়েই পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে
- আপডেট সময় : ০৩:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
পুলিশকে কর্মই দিয়েই পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিগত সরকার আমলে পুলিশ বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে তাদের কাজে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিচ্ছে। এখন তাদের মনকে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের গৌরবটা ফিরে পায়, তাই করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে জনবান্ধব মানুষিকতা নিয়ে কাজে ফিরে আসতে হবে।
পুলিশকে কাগজ-কলমের পুলিশ নয়, বাস্তবে জনবান্ধব হবে। অনেক সময় বিভিন্ন থানায় লোকজন নানা কাজে আসেন। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন না পুলিশ। কিন্তু সেক্ষেত্রে পুলিশকে বুঝিয়ে বলা এবং পরামর্শ দিতে হবে। কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়েও কথা বলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি সদর দফতরে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এসময় এসব কথা বলেন বলেন।
এসময় ট্রাফিক সমস্যা কীভাবে উন্নত করা যায়, মতবিনিময় সভায় সে বিষয়টিও আলোচনা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায়, সেটা নিয়েও কথা হয়েছে। চাঁদাবাজি যদি বন্ধ হয় তাহলে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। চাঁদাবাজি যেন না হয়, ঘুষ এবং দুর্নীতি যে আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিয়েছে। এসব কীভাবে বন্ধ করা যায় সেসব নিয়ে কথা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ট্রাফিক সমস্যা সমাধান ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন।
এসময় সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের মনকে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরোনো গৌরব ফিরে পাবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জনবান্ধব পুলিশ এটা যেন বাস্তবে হয়। এটা যেন কোনো কাগজ-কলমে না থাকে সেই সম্পর্কে তাদের বলছি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, শুধু যারা দোষী তাদেরই নাম দেন। অন্য কারো নাম দেবেন না। তদন্ত ছাড়া কাউকেই গ্রেপ্তার করা হবে না। আমি গোয়েন্দাদের নির্দেশনা দিয়েছি, আগে তাদের পরিচয় দেবে তারপর ধরবে।
মব জাস্টিসের বিষয়ে তিনি বলেন, এটার ক্ষেত্রে জনসচেতনতাটা একটু বাড়াতে হবে। কাল দেখলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা, তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রে তো এ সচেতনতাটা আসতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে।
কিন্তু আইনতো হাতে তুলে নেওয়ার কারও অধিকার নেই। আইনের হাতে তাকে সোপর্দ করতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা একটু আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইনোসেন্ট লোকের যেন কোনো অবস্থায়ই কোনো হেনস্তা না হয়।