ঢাকা ০৪:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সব সাংবাদিক আমার কাছে সমান, কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না : চকরিয়ার নবাগত ওসি Logo ময়মনসিংহে মিশুক চালকের মরদেহ উদ্ধার Logo নাটোরে আদিবাসীদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo না ফেরার দেশে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু Logo ত্রিশালে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন  অবস্থান কর্মসূচি   Logo এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে মানববন্ধন Logo বান্দরবানে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য নিয়ে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টশন কর্মশালা Logo ভান্ডারিয়ায়  নির্বাচন কমিশনে এনআইডি রাখার দাবীতে মানববন্ধন Logo পাইকগাছায় উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত  Logo ভেটেরিনারি হাসপাতালের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ কসাইখানা

পূজায় ভারতে রপ্তানি হবে  না  ইলিশ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৬০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হাসিনার ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন। ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই : ফরিদা অখতার

 

ভরমৌসুমে কেজি ওজনের ইলিশ ১৬শ’ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকা। এই চিত্র ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশের। এমন পরিস্থিতিতে দুয়ারে কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাতে ইলিশের বাজার আরও চড়া। সাধারণ মানুষের পাতে ইলিশ দুঃস্বপ্ন। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে বাংলাদেশের মানুষের ইলিশ কেনা নাগালের বাইরে, সেখানে পূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

এখানে উল্লেখ করা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি মন্ডপে জাকজমকের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হয়ে থাকে বাংলাদেশে। চলতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ হাজারের অধিক মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। শারদীয় উৎসবে ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ মাছ খেতে পারেন, সেজন্য ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ফরিদা আখতার বলেন, আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ।

আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ পারবে। ফরিদা আখতার পরিষ্কার ভাষায় বলেন, বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন।

হাসিনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন। মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার জল বন্টনের সমস্যার সমাধার করা উচিত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পূজায় ভারতে রপ্তানি হবে  না  ইলিশ

আপডেট সময় : ০৮:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

হাসিনার ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন। ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই : ফরিদা অখতার

 

ভরমৌসুমে কেজি ওজনের ইলিশ ১৬শ’ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি হাজার টাকা। এই চিত্র ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশের। এমন পরিস্থিতিতে দুয়ারে কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। তাতে ইলিশের বাজার আরও চড়া। সাধারণ মানুষের পাতে ইলিশ দুঃস্বপ্ন। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে বাংলাদেশের মানুষের ইলিশ কেনা নাগালের বাইরে, সেখানে পূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

এখানে উল্লেখ করা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি মন্ডপে জাকজমকের সঙ্গে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হয়ে থাকে বাংলাদেশে। চলতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ হাজারের অধিক মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হবে। শারদীয় উৎসবে ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ মাছ খেতে পারেন, সেজন্য ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ফরিদা আখতার বলেন, আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ।

আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ পারবে। ফরিদা আখতার পরিষ্কার ভাষায় বলেন, বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন।

হাসিনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন। মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার জল বন্টনের সমস্যার সমাধার করা উচিত।