ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

পৃথিবীর আলো দেখলেন নবজাতক, ভুল চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু

বায়তুল হাসান, কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ)
  • আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোপালগঞ্জ কাশিয়ানীর রামদিয়া পপুলার ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় ফরিদা খানম(৩৫)নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।উন্নতচিকিৎসার একদিন পর ওই প্রসূতির
মরদেহ ক্লিনিকের সামনে আনলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে গেলে নিহতের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ক্লিনিকে কোন প্রকার ভাংচুর করা হয়নি। গত মঙ্গলবার (২৭আগষ্ট)দিবাগত রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু হয়।স্বজনরা জানান,উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাঝকান্দি গ্রামের মোঃ ইমরান হোসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ফরিদা বেগমের প্রসব ব্যথা শুরু হয়। পরে সোমবার(২৬ আগষ্ট)উপজেলার রামদিয়া পপুলার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।এবং ওই দিন সকাল ১১টায় সিজারিয়ান অপারেশন করেন আকবার আলী নামে একজন ডাক্তার।জন্মগ্রহন করে একটি পুত্র সন্তান।তবে অপারেশনের দুইঘন্টা পরে থেকেই প্রচুর পরিমান রক্তক্ষরণ হতে থাকে।রোগীর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন রাত ১১টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরদিন রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক বারটার দিকে ফুটফুটে নবজাতকসহ নিহতের লাশ নিয়ে স্বজনেরা ক্লিনিকের সামনে এলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে।তাৎক্ষণিক ক্লিনিকটির কতৃপক্ষ ভিতরে রোগী রেখে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।এ সময় চিকিৎসকদের শাস্তির দাবি জানান স্বজনসহ স্থানীয়রা।পরবর্তীতে ফরিদা বেগমের স্বামী ও স্বজনদের অভিযোগ রক্তরক্ষন বন্ধ না হওয়ায় অস্ত্র পাচারের দশ ঘণ্টা পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।এবং পরদিন সে মৃত্যু বরন করে।এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের স্বজনরা পপুলার ক্লিনিক মৃতদেহ ও নবজাতকে নিয়ে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।খবর পেয়ে রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে উপস্থিত হয় এবং মৃতদেহ নিয়ে তারা চলে যায়।তখন পর্যন্ত ক্লিনিকের তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহতের স্বজনরা।ঘটনার সত্যতা জানতে পপুলার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন সাড়া মেলেনি।এ বিষয়ে কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কামাল হোসেন বলেন,এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ(ইউএনও)বলেন,সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জানিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে ভুল চিকিৎসা করে থাকলে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পৃথিবীর আলো দেখলেন নবজাতক, ভুল চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু

আপডেট সময় :

গোপালগঞ্জ কাশিয়ানীর রামদিয়া পপুলার ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় ফরিদা খানম(৩৫)নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।উন্নতচিকিৎসার একদিন পর ওই প্রসূতির
মরদেহ ক্লিনিকের সামনে আনলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে গেলে নিহতের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ক্লিনিকে কোন প্রকার ভাংচুর করা হয়নি। গত মঙ্গলবার (২৭আগষ্ট)দিবাগত রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু হয়।স্বজনরা জানান,উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাঝকান্দি গ্রামের মোঃ ইমরান হোসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ফরিদা বেগমের প্রসব ব্যথা শুরু হয়। পরে সোমবার(২৬ আগষ্ট)উপজেলার রামদিয়া পপুলার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।এবং ওই দিন সকাল ১১টায় সিজারিয়ান অপারেশন করেন আকবার আলী নামে একজন ডাক্তার।জন্মগ্রহন করে একটি পুত্র সন্তান।তবে অপারেশনের দুইঘন্টা পরে থেকেই প্রচুর পরিমান রক্তক্ষরণ হতে থাকে।রোগীর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন রাত ১১টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরদিন রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক বারটার দিকে ফুটফুটে নবজাতকসহ নিহতের লাশ নিয়ে স্বজনেরা ক্লিনিকের সামনে এলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে।তাৎক্ষণিক ক্লিনিকটির কতৃপক্ষ ভিতরে রোগী রেখে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।এ সময় চিকিৎসকদের শাস্তির দাবি জানান স্বজনসহ স্থানীয়রা।পরবর্তীতে ফরিদা বেগমের স্বামী ও স্বজনদের অভিযোগ রক্তরক্ষন বন্ধ না হওয়ায় অস্ত্র পাচারের দশ ঘণ্টা পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।এবং পরদিন সে মৃত্যু বরন করে।এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের স্বজনরা পপুলার ক্লিনিক মৃতদেহ ও নবজাতকে নিয়ে গিয়ে কাউকে না পেয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।খবর পেয়ে রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে উপস্থিত হয় এবং মৃতদেহ নিয়ে তারা চলে যায়।তখন পর্যন্ত ক্লিনিকের তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহতের স্বজনরা।ঘটনার সত্যতা জানতে পপুলার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন সাড়া মেলেনি।এ বিষয়ে কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কামাল হোসেন বলেন,এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ(ইউএনও)বলেন,সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জানিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে ভুল চিকিৎসা করে থাকলে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।