ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেঁয়াজের নির্ধারিত মূল্য তুলে নিল ভারত!

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। পরে এই মেয়াদ শেষের আগেই ২৩ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেশটি। পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিআন্তে দেশটির কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভে নামে কৃষকরা। কৃষকের দাবির পক্ষে গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি শক্তিসিংহ গোহিল তার অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত কেবল মজুতদার ও মধ্যস্বত্বভোগীদেরই সাহায্য করছে।

পরবর্তীতে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ৪০ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করে। গত বছরের জুন মাসের পর কয়েক দফা ইচ্ছে মাফিক পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দেয় ভারত। সর্বশেষ ৫৫০ ডলার এবং ৪০ শতাংশ ট্যাক্স বেধে দেয়। হাঠৎ করেই যেমন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ-তেমনি হঠাৎ করেই পেঁয়াজের নির্ধারিত ৫৫০ ডলার মূল্য তুলে নিয়ে রপ্তানি ট্যাক্স ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার ঘোষণা দিল ভারত। তাতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে বাংলাদেশে। হঠাৎ ভারতের এই কৌশল বা কূটনীতি কেন তা নিয়েও ভাবিয়ে তুলছে ব্যবসায়ীদের।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার সারঙ্গি স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বিষয়টি সে দেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়। এর আগে পেঁয়াজ আমদানিতে মূল্য নির্ধারণ ছিল ৫৫০ ডলার। সঙ্গে ৪০ শতাংশ শুল্ক। এতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০-৭৪ টাকার বেশি পড়তো। এখন উন্মুক্ত ডলারে আমদানি করায় বাজারে দাম অনেকাংশেই কমে যাবে।

গতকাল শনিবার হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের আমদানি করা নাসিক ও ইন্দোর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৪-৮৬ টাকায়, আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়। যা গত কয়েক দিনের তুলনায় কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কম। পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল জানান, কয়েকদিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, ভারতীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে নির্ধারিত মূল্য বাতিল করার কারণে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এতে করে খোলা বাজারে দাম কমে যাবে। এক দু’দিনের মধ্যেই নতুন দামে আমদানি শুরু হবে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে হিলি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের কাছে এখনো লিখিত কোনো কাগজপত্র আসেনি, তবে শুনেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পেঁয়াজের নির্ধারিত মূল্য তুলে নিল ভারত!

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। পরে এই মেয়াদ শেষের আগেই ২৩ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেশটি। পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিআন্তে দেশটির কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভে নামে কৃষকরা। কৃষকের দাবির পক্ষে গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি শক্তিসিংহ গোহিল তার অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত কেবল মজুতদার ও মধ্যস্বত্বভোগীদেরই সাহায্য করছে।

পরবর্তীতে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ৪০ শতাংশ ট্যাক্স আরোপ করে। গত বছরের জুন মাসের পর কয়েক দফা ইচ্ছে মাফিক পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দেয় ভারত। সর্বশেষ ৫৫০ ডলার এবং ৪০ শতাংশ ট্যাক্স বেধে দেয়। হাঠৎ করেই যেমন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ-তেমনি হঠাৎ করেই পেঁয়াজের নির্ধারিত ৫৫০ ডলার মূল্য তুলে নিয়ে রপ্তানি ট্যাক্স ৪০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার ঘোষণা দিল ভারত। তাতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে বাংলাদেশে। হঠাৎ ভারতের এই কৌশল বা কূটনীতি কেন তা নিয়েও ভাবিয়ে তুলছে ব্যবসায়ীদের।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার সারঙ্গি স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বিষয়টি সে দেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়। এর আগে পেঁয়াজ আমদানিতে মূল্য নির্ধারণ ছিল ৫৫০ ডলার। সঙ্গে ৪০ শতাংশ শুল্ক। এতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০-৭৪ টাকার বেশি পড়তো। এখন উন্মুক্ত ডলারে আমদানি করায় বাজারে দাম অনেকাংশেই কমে যাবে।

গতকাল শনিবার হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের আমদানি করা নাসিক ও ইন্দোর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৪-৮৬ টাকায়, আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়। যা গত কয়েক দিনের তুলনায় কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কম। পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল জানান, কয়েকদিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, ভারতীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে নির্ধারিত মূল্য বাতিল করার কারণে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এতে করে খোলা বাজারে দাম কমে যাবে। এক দু’দিনের মধ্যেই নতুন দামে আমদানি শুরু হবে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে হিলি উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের কাছে এখনো লিখিত কোনো কাগজপত্র আসেনি, তবে শুনেছি।