ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীনগরে ভূট্টায় কৃষকের স্বপ্ন Logo নওগাঁ সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে Logo মধুখালীতে গোল্ডেন পরিবহনের চাপায় এক ভ্যান যাত্রী নিহত Logo সেনবাগে বৃদ্ধের বসতঘর ভংচুর, পিটিয়ে হাত ভাঙ্গল ভাতিজা Logo নরসিংদীর মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন Logo সপ্তাহ ব্যাপী অভিযানে ফেনী ব্যাটালিয়ান ৪ বিজিবির কোটি টাকার মালামাল আটক Logo ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট: ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে Logo পৌনে এক কোটি টাকার কালভার্টের মূল কাজ শুরু হয়নি ৪ বছরেও,দুর্ঘটনা ও ভোগান্তিতে ৫০গ্রামের বাসিন্দা Logo ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

ফেনী কাঁচা সব্জির বাজারে সেঞ্চুরি অতিক্রম

এম এ রহমান দুলাল ভুইয়া, ফেনী জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
 রমজানের পুর্বের রুপে ফিরেছে বাজার মুল্য । রমজান চলাকালীন জেলা প্রশাসন , উপজেলা প্রশাসন , ভোক্তা অধিকার সহ সকলের সম্মিলিত অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়লে সিন্ডিকেট ব্যবস্হা ভেঙ্গে পড়ে । সস্হির মুখদর্শন দেখেছিল জনগণ । তাইতো রমজান কেটেছে খুবই ভালোভাবে । কিন্ত রমজান যেতে না যেতেই স্বরুপে ফিরেছে আবার সেই বাজার সিন্ডিকেট ।
আলু, টমেটু ছাড়া বাদবাকি সকল সব্জির মুল্য ৮০/১০০/ ১২০। মাংশের বাজার ঈদের আগে হতেই হাড্ডিসহ ৯০০ টাকা আবার ওজনে কম দেয়ার হিড়িক প্রতি নিয়ত । বেশ কয়েকবার হকার্স মার্কেটে ধরা পড়লেও মিলছে না কোন বিহিত । দুই কেজী মাংশ কিনে কুপিয়ে দিতে বলুন তারপর আবার মাপতে বলুন দেখবেন ওদের পাল্লাতেই ২০০/৩০০ গ্রাম কমে গেছে । এক কে জি মাংশ কিনে খাওয়ার অনুপোযোগী হাড্ডি চর্বি বাদ দিলে ৬০০ গ্রামও টিকে না । ক্রেতা একটু বাড়াবাড়ি করলে তাকে হতে হবে নাজেহাল। তাছাড়া মাংশ বিক্রেতারা ওদের স্কেল বা পাল্লার উপর সবসময় একটি বল বা পাএ রাখবে। একটি বল বা পাএ ক্রেতাকে দেখাবে কিন্ত মাপার সময় অনুরুপ অধিক ওজনের বল বা পাএে মাংশ মেপে দেয় । ওদের দোকানগুলিতে স্হানীয় জোতদার কর্মচারীও রাখে । কেউ প্রতিবাদ করলে সেই জোতদারদের দিয়ে নাজেহাল করা হয় । ক্রেতা যত বাড়াবাড়ি করবে নাজেহালের পরিমান ও সেই সাথে বাড়তে থাকবে ।
ফেনী শহরের  মাছের বাজারের দোকানগুলিতে রয়েছে সেই সুভন্করের ফাঁকি। পানি কিনতে হবে যত দামীই মাছ হোক না কেন । মুর্দা কথা ক্রেতাকে প্রতারিত হতেই হবে । বিভিন্ন সব্জি বাসায় এনে কাটলে বেড়িয়ে আসে পানি । এভাবেই প্রতিনিয়ত প্রতারিত হতে হয় সাধারণ ক্রতাদের । যতই ভ্রাম্যমান আদালত জেলা প্রশাসনের উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চালানো হউক দমানো যাচ্ছে সাধারণ জনগনের ভোগান্তি । সীমিত জনবল দিয়ে প্রশাসন ও হাঁপিয়ে উঠেছে ওদের কর্মকান্ডে । প্রতিটি পন্যই ঈদ পরবর্তী বাজার মুল্য উধ্বমুখি । যেন হরিলুটের দেশ ।
রাস্তায় বেরুলেও ভেনগাড়ীর হকারদের জন্য চলাচল দূরহ হয়ে পড়ে । ওরা রাস্তার মাঝখানে ভেনগাড়ী নিয়ে দাড়িয়ে হাকারি করবে । কেউ কিছু বললে তার উপর চড়াও হবে কিছু দালাল শ্রেনীর ফড়িয়ে এমনকি দোকানদারেরা তাদের দোকানের সামনের ফুটপাত অবৈধ ভাবে দখল করে দৈনিক ৩০০/৪০০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে দেদারছে । প্রশাসন যতই উচ্ছেদ অভিযান চালাক এক ঘন্টা পরে সেই পুর্বের রুপ দেখা যাবে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফেনী কাঁচা সব্জির বাজারে সেঞ্চুরি অতিক্রম

আপডেট সময় : ০২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
 রমজানের পুর্বের রুপে ফিরেছে বাজার মুল্য । রমজান চলাকালীন জেলা প্রশাসন , উপজেলা প্রশাসন , ভোক্তা অধিকার সহ সকলের সম্মিলিত অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়লে সিন্ডিকেট ব্যবস্হা ভেঙ্গে পড়ে । সস্হির মুখদর্শন দেখেছিল জনগণ । তাইতো রমজান কেটেছে খুবই ভালোভাবে । কিন্ত রমজান যেতে না যেতেই স্বরুপে ফিরেছে আবার সেই বাজার সিন্ডিকেট ।
আলু, টমেটু ছাড়া বাদবাকি সকল সব্জির মুল্য ৮০/১০০/ ১২০। মাংশের বাজার ঈদের আগে হতেই হাড্ডিসহ ৯০০ টাকা আবার ওজনে কম দেয়ার হিড়িক প্রতি নিয়ত । বেশ কয়েকবার হকার্স মার্কেটে ধরা পড়লেও মিলছে না কোন বিহিত । দুই কেজী মাংশ কিনে কুপিয়ে দিতে বলুন তারপর আবার মাপতে বলুন দেখবেন ওদের পাল্লাতেই ২০০/৩০০ গ্রাম কমে গেছে । এক কে জি মাংশ কিনে খাওয়ার অনুপোযোগী হাড্ডি চর্বি বাদ দিলে ৬০০ গ্রামও টিকে না । ক্রেতা একটু বাড়াবাড়ি করলে তাকে হতে হবে নাজেহাল। তাছাড়া মাংশ বিক্রেতারা ওদের স্কেল বা পাল্লার উপর সবসময় একটি বল বা পাএ রাখবে। একটি বল বা পাএ ক্রেতাকে দেখাবে কিন্ত মাপার সময় অনুরুপ অধিক ওজনের বল বা পাএে মাংশ মেপে দেয় । ওদের দোকানগুলিতে স্হানীয় জোতদার কর্মচারীও রাখে । কেউ প্রতিবাদ করলে সেই জোতদারদের দিয়ে নাজেহাল করা হয় । ক্রেতা যত বাড়াবাড়ি করবে নাজেহালের পরিমান ও সেই সাথে বাড়তে থাকবে ।
ফেনী শহরের  মাছের বাজারের দোকানগুলিতে রয়েছে সেই সুভন্করের ফাঁকি। পানি কিনতে হবে যত দামীই মাছ হোক না কেন । মুর্দা কথা ক্রেতাকে প্রতারিত হতেই হবে । বিভিন্ন সব্জি বাসায় এনে কাটলে বেড়িয়ে আসে পানি । এভাবেই প্রতিনিয়ত প্রতারিত হতে হয় সাধারণ ক্রতাদের । যতই ভ্রাম্যমান আদালত জেলা প্রশাসনের উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চালানো হউক দমানো যাচ্ছে সাধারণ জনগনের ভোগান্তি । সীমিত জনবল দিয়ে প্রশাসন ও হাঁপিয়ে উঠেছে ওদের কর্মকান্ডে । প্রতিটি পন্যই ঈদ পরবর্তী বাজার মুল্য উধ্বমুখি । যেন হরিলুটের দেশ ।
রাস্তায় বেরুলেও ভেনগাড়ীর হকারদের জন্য চলাচল দূরহ হয়ে পড়ে । ওরা রাস্তার মাঝখানে ভেনগাড়ী নিয়ে দাড়িয়ে হাকারি করবে । কেউ কিছু বললে তার উপর চড়াও হবে কিছু দালাল শ্রেনীর ফড়িয়ে এমনকি দোকানদারেরা তাদের দোকানের সামনের ফুটপাত অবৈধ ভাবে দখল করে দৈনিক ৩০০/৪০০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে দেদারছে । প্রশাসন যতই উচ্ছেদ অভিযান চালাক এক ঘন্টা পরে সেই পুর্বের রুপ দেখা যাবে ।