ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

ফেনী জেলা নেতা এয়াকুবের প্রতি আকবরের চ্যালেঞ্জ ৮০ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ দিন

শাখাওয়াত হোসেন টিপু, দাগনভূঞা 
  • আপডেট সময় : ১২৩ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এয়াকুব নবীর প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৮০ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ চেয়েছেন দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো: আকবর হোসেন। এক প্রতিবাদ লিপিতে এয়াকুব নবীর অসত্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান তিনি।
আকবর উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ফেনীতে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে এয়াকুব নবী বলেছেন, “দাগনভূঞার এক সাংবাদিক আছে, ইয়াসিন রনি। আমাদের এক নেতার দালালি করে। তার জন্য চাঁদাবাজি করে পুরা দাগনভূঞাতে। এখন আমি প্রকাশ্যে বলতেছি। সে থানা বিএনপির আহবায়কের দালালি করে। রনি, রনি, রনি। নিকৃষ্ট দালালী করে। এবং এ আকবরকে ৮০ লাখ টাকা নিয়ে দিয়ে দিদারকে ভাগিয়ে দিয়েছে সে এ রনি। আমরা তো সব জানি, সব বুঝি সব শুনি।”-তার এই বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী। একজন জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতার মুখ থেকে এ ধরণের বক্তব্য দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তার এই  বক্তব্য দূরভিসন্ধিমূলক বলে আমি মনে করি। এতে প্রমান হয় দাগনভূঞায় বিএনপি পরিবারে বিভাজন তৈরিতে দীর্ঘসময় ধরে তিনি ইন্ধন যোগাচ্ছেন। আকবর নিজেকে বিএনপি পরিবারের অন্তপ্রাণ কর্মী দাবী করে এয়াকুব নবীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তার দাবী, ‘আমি কখনোই কোনো অনৈতিক লেনদেনে জড়িত ছিলাম না, এখনো নেই। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে আমি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি।
আমার বাড়ীতে হামলা, লুটপাট ও গাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে। তবুও এক মুহূর্তের জন্য আন্দোলন থেকে সরে যাইনি এবং আওয়ামীলীগের কোন নেতা কর্মীর সাথে আপোষ করে রাজনীতি করিনি। সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের কোন নেতাকে ভাগিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমি জনাব এয়াকুব নবীর কাছে তার বক্তব্যের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ দাবি করছি। তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার এর দাবি জানাবো। আমি আরো বলতে চাই বিএনপি সবসময় গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান যখন সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়নের দাবি করেছেন, তখন তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিকের চরিত্র হনন করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সকল সাংবাদিকদের অপমান করেছেন। এ ব্যাপারে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেতৃবৃন্দের কাছে জোর দাবি জানান আকবর হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফেনী জেলা নেতা এয়াকুবের প্রতি আকবরের চ্যালেঞ্জ ৮০ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ দিন

আপডেট সময় :
ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এয়াকুব নবীর প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৮০ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ চেয়েছেন দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো: আকবর হোসেন। এক প্রতিবাদ লিপিতে এয়াকুব নবীর অসত্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান তিনি।
আকবর উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ফেনীতে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে এয়াকুব নবী বলেছেন, “দাগনভূঞার এক সাংবাদিক আছে, ইয়াসিন রনি। আমাদের এক নেতার দালালি করে। তার জন্য চাঁদাবাজি করে পুরা দাগনভূঞাতে। এখন আমি প্রকাশ্যে বলতেছি। সে থানা বিএনপির আহবায়কের দালালি করে। রনি, রনি, রনি। নিকৃষ্ট দালালী করে। এবং এ আকবরকে ৮০ লাখ টাকা নিয়ে দিয়ে দিদারকে ভাগিয়ে দিয়েছে সে এ রনি। আমরা তো সব জানি, সব বুঝি সব শুনি।”-তার এই বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী। একজন জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতার মুখ থেকে এ ধরণের বক্তব্য দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তার এই  বক্তব্য দূরভিসন্ধিমূলক বলে আমি মনে করি। এতে প্রমান হয় দাগনভূঞায় বিএনপি পরিবারে বিভাজন তৈরিতে দীর্ঘসময় ধরে তিনি ইন্ধন যোগাচ্ছেন। আকবর নিজেকে বিএনপি পরিবারের অন্তপ্রাণ কর্মী দাবী করে এয়াকুব নবীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তার দাবী, ‘আমি কখনোই কোনো অনৈতিক লেনদেনে জড়িত ছিলাম না, এখনো নেই। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে আমি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি।
আমার বাড়ীতে হামলা, লুটপাট ও গাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে। তবুও এক মুহূর্তের জন্য আন্দোলন থেকে সরে যাইনি এবং আওয়ামীলীগের কোন নেতা কর্মীর সাথে আপোষ করে রাজনীতি করিনি। সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের কোন নেতাকে ভাগিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমি জনাব এয়াকুব নবীর কাছে তার বক্তব্যের স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ দাবি করছি। তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার এর দাবি জানাবো। আমি আরো বলতে চাই বিএনপি সবসময় গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান যখন সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়নের দাবি করেছেন, তখন তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিকের চরিত্র হনন করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সকল সাংবাদিকদের অপমান করেছেন। এ ব্যাপারে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেতৃবৃন্দের কাছে জোর দাবি জানান আকবর হোসেন।