সংবাদ শিরোনাম ::
বর্ষা মৌসুমের আগেই দাগনভূঞা দাদনা খাল সংস্কার কার্যক্রম শুরু আশ্বাস

শাখাওয়াত হোসেন টিপু, দাগনভূঞা
- আপডেট সময় : ১২:৫২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
প্রতিবছর অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল কিংবা ভারতের পানি ছেড়ে দেয়ার দরুণ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। এদিকে বর্ষা মৌসুমে নদী বা খালগুলো ভরাট, গতিপথ পরিবর্তন কিংবা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মা ণে সংকুচিত নদী বা খাল দিয়ে পানি সঠিকভাবে সাগরে নিয়ে নামতে না পারায় জলাবদ্ধতা সহজে নেমে যায়। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা সর্বত্র না থাকা কিংবা থাকলেও তা সবসময় পানি নামে না। দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বদিক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ছোট ফেনী নদী। এছাড়া রয়েছে দাদনা খাল। ৬টি নদীর মধ্যে ৩টি (৮০০ হেক্টর) নদী জীবিত এবং মৃত নদী-৩টি (২০.৬৬ হেক্টর)। আর এখানে ৮টি খাল রয়েছে। তার মধ্যে দাদনার খাল গুরুত্বপূর্ণ যা দিয়ে বর্ষাকালে পানিগুলো এসে নদী হয়ে সাগরে যায়। কিন্তু দাদনার খালের আকার ছোট হয়ে যাওয়ায় কিংবা ভরাট হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে পানি চলাচল করতে পারেনা।
এদিকে খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলের বিষয়তো আছেই। গত বছরের আগস্ট মাসে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যা দেশবাসী আজীবন মনে রাখবে। ফেনীতে বন্যার পানিতে দাফন না করতে পেরে লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনাও স্বচক্ষে দেখেছে ফেনীবাসী। রেমিট্যান্সে স্বয়ংসম্পূর্ণ ফেনী গতবার তাকিয়ে ছিল পুরো দেশের দিকে। দেশবাসী নিঃস্বার্থে এগিয়েও এসেছে যা ফেনীবাসী আজীবন মনে রাখবে। দাগনভূঞায়ও বন্যার প্রভাব পড়ে। গতবার খুব সহজে পানি উঠেনা এমন এলাকাগুলোও বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। স্থবির হয়েছিল জনজীবন ট্রোক, নৌকা, স্পীডবোটে করে খাবার ঔষধ পৌঁছে দেয়া হলো সরকারী বা বেসরকারি উদ্যোগে। তবে দাগনভূঞা বন্যার জন্য মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি ছিল খাল বা নদী সংকুচিত হয়ে আসা তথা
খনন জরুরি ছিল। দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতেখারুল আলম বলেন, দাগনভূঞা দাদনা খাল ভরাট হয়ে পড়ার কারণে প্রতিবছর বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সহজে লোকালয় থেকে নামতে পারত না। তাতে করে দাগনভূঞা পৌরসভা ও ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের মানুষকে দীর্ঘদিন পানিবন্দি অবস্থায় কাটাতে হতো। এই খাল খননের ফলে দুই এলাকার মানুষ আগামীতে বন্যার দুর্যোগ দুর্ভোগ থেকে স্থায়ীভাবে পরিত্রাণ পাবে। পাশাপাশি দাদনার খালে পানি চলাচল নিশ্চিত হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা অনায়াসে চাষাবাদের সুযোগ পাবে। এতে চাষের জমির পরিধিও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম. আজহারুল ইসলাম বলেন, দাদনার খাল সংস্কারকল্পে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয় জানিয়েছেন এ অর্থ বছরে খালটির পরিষ্কার ও সংস্কার বাবদ ইমার্জেন্সি তহবিল হতে অর্থ সংস্থান করে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। আশা করছি খুব দ্রুতই খালটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।