বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

- আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১২ বার পড়া হয়েছে
যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। সোমবার সকালে আগারগাঁওস্থ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। কোস্ট গার্ডের ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি। এছাড়া অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসানও এতে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর কর্মকর্তা, নাবিক এবং অসামরিক ব্যক্তিবর্গের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য ১০ জন কে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক, ১০ জনকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক, ১০ জনকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক এবং ১০ জনকে প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদকসহ মোট ৪০ জনকে পদক প্রদান করেন।
নতুন বাংলাদেশে নতুন উদ্দীপনায় দুর্দমনীয় গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এক উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, নিরাপদ উপকূল বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে এ বাহিনী। বাংলাদেশের ১৯টি উপকূলীয় অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন নদীতীরবর্তী এলাকা এবং বঙ্গোপসাগরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সুবিশাল সমুদ্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সার্বিক নিরাপত্তা দিতে ১৯৯৪ সালে ‘Gurdian at Sea’ মূলমন্ত্র নিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের পথ চলা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রতিটি সদস্য দেশের উপকূলীয় দুর্গম এলাকাসমূহ, নদীপথ ও সমুদ্রসীমায় সার্বক্ষণিক উপস্থিতির মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বাজপাখির ন্যায় তীক্ষ্ণ দৃষ্টির মাধ্যমে সর্বদা নজরদারি অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড। দেশের অভ্যন্তরীণ নদী ও সমুদ্র পথে এবং উপকূলীয় এলাকায় জনসাধারণের জান ও মাল রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, মাদক পাচার রোধ, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় এ বাহিনী অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম বন্দর ও বহিঃনোঙর এলাকায় চুরি-ডাকাতি ও অপরাধ দমনে কোস্ট গার্ড অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
এছাড়া দেশের জাতীয় সম্পদ রূপালী ইলিশ সংরক্ষণ, জাটকা নিধন রোধ এবং সমুদ্রে সরকার ঘোষিত মৎস্য অভয়ারণ্য বাস্তবায়নে এ বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও দুর্গতদের জানমাল রক্ষায়। কোস্ট গার্ডের ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। কোস্ট গার্ড জানায়, সময়ের পরিক্রমায় ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার নিপুণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে কার্যকর, শক্তিশালী ও সুদক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য উজ্জীবিত ও বদ্ধপরিকর।