ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত: জাতিসংঘ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ২৩৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেনেভা থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৩২ শিশুসহ ৬৫০ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

১০ পাতার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মারা গেছে ৪০০ জন। আর ৫ থেকে ৬ আগস্টে মারা গেছে ২৫০ জন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও আন্দোলনকারীদের মুভমেন্টকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছে, বিক্ষোভকারী, পথচারী, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ১০ পাতার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর এবং বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সরকার শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের দমন করার চেষ্টা করে গেছে। জাতিসংঘ বলছে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্বিচারে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বল প্রয়োগ করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সার্বিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। যেখানে মোট ২১টি পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

যার মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও ফৌজাদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অভিযোগের সমাধানের জন্য উন্মুক্ত সংলাপের ব্যবস্থা করা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত: জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০৫:০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

 

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেনেভা থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৩২ শিশুসহ ৬৫০ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

১০ পাতার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মারা গেছে ৪০০ জন। আর ৫ থেকে ৬ আগস্টে মারা গেছে ২৫০ জন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ও আন্দোলনকারীদের মুভমেন্টকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রয়েছে, বিক্ষোভকারী, পথচারী, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ১০ পাতার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর এবং বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সরকার শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের দমন করার চেষ্টা করে গেছে। জাতিসংঘ বলছে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্বিচারে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বল প্রয়োগ করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সার্বিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। যেখানে মোট ২১টি পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

যার মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও ফৌজাদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অভিযোগের সমাধানের জন্য উন্মুক্ত সংলাপের ব্যবস্থা করা।