ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

বান্দরবানে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি কুকি-চিনের

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৫২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দেবার কথা জানালেও লুট করা অস্ত্র ফেতর দেবার কোন বার্তা দেয়নি কেএনএফ।

টেকনাফের পাহাড়ের পাদদেশে সিরিজ অপহরণ এবং মুক্তিপণের কথাই সরণ করিয়ে দিল কেএনএফ বা কুকি-চিন। ২ মার্চ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী।

তাকে ছাড়িয়ে আনতে ২০ লাখ মুক্তিপণ গুণতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের তিনদিনের মাথায় এই বার্তা দিলেন, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানালেন খন্দকার আল মঈন।

জানান, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়াতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এজন্য নানান কৌশলে অবলম্বন করা হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ রয়েছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।

কীভাবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করা যায় তা নিয়ে প্রশাসন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

র‌্যাবের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলা যায়, সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য এ কাজটি করেছে। টাকাই তাদের মূল টার্গেট ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি শান্তি কমিটির মাধ্যমে শান্তি আলোচনা চলছিল। এ সময়ে তাদের অবস্থান ও আধিপত্য জানান দেওয়ার চেষ্টায় এই হামলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বান্দরবানে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি কুকি-চিনের

আপডেট সময় :

 

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দেবার কথা জানালেও লুট করা অস্ত্র ফেতর দেবার কোন বার্তা দেয়নি কেএনএফ।

টেকনাফের পাহাড়ের পাদদেশে সিরিজ অপহরণ এবং মুক্তিপণের কথাই সরণ করিয়ে দিল কেএনএফ বা কুকি-চিন। ২ মার্চ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী।

তাকে ছাড়িয়ে আনতে ২০ লাখ মুক্তিপণ গুণতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের তিনদিনের মাথায় এই বার্তা দিলেন, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানালেন খন্দকার আল মঈন।

জানান, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়াতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এজন্য নানান কৌশলে অবলম্বন করা হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ রয়েছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।

কীভাবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করা যায় তা নিয়ে প্রশাসন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

র‌্যাবের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলা যায়, সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য এ কাজটি করেছে। টাকাই তাদের মূল টার্গেট ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি শান্তি কমিটির মাধ্যমে শান্তি আলোচনা চলছিল। এ সময়ে তাদের অবস্থান ও আধিপত্য জানান দেওয়ার চেষ্টায় এই হামলা।