ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট Logo ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার আসামি বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার Logo সোনাইমুড়ীতে প্রবাসীর বিধবা স্ত্রীর ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo তিতাসে মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির পরিচিতি সভা  Logo গোয়াল ঘরে দূর্বত্তরদের আগুন, ৩টি গরু পুড়ে ছাই Logo যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্বরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সমাবেশ Logo ত্রিশালে মাদ্রাসার খেলার মাঠ দখল করে সবজি চাষ  Logo ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা Logo ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি ৭ নারী-পুরুষ

বান্দরবানে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি কুকি-চিনের

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:১২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪ ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দেবার কথা জানালেও লুট করা অস্ত্র ফেতর দেবার কোন বার্তা দেয়নি কেএনএফ।

টেকনাফের পাহাড়ের পাদদেশে সিরিজ অপহরণ এবং মুক্তিপণের কথাই সরণ করিয়ে দিল কেএনএফ বা কুকি-চিন। ২ মার্চ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী।

তাকে ছাড়িয়ে আনতে ২০ লাখ মুক্তিপণ গুণতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের তিনদিনের মাথায় এই বার্তা দিলেন, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানালেন খন্দকার আল মঈন।

জানান, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়াতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এজন্য নানান কৌশলে অবলম্বন করা হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ রয়েছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।

কীভাবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করা যায় তা নিয়ে প্রশাসন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

র‌্যাবের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলা যায়, সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য এ কাজটি করেছে। টাকাই তাদের মূল টার্গেট ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি শান্তি কমিটির মাধ্যমে শান্তি আলোচনা চলছিল। এ সময়ে তাদের অবস্থান ও আধিপত্য জানান দেওয়ার চেষ্টায় এই হামলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বান্দরবানে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিতে ২০ লাখ টাকা দাবি কুকি-চিনের

আপডেট সময় : ০৮:১২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

 

২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দেবার কথা জানালেও লুট করা অস্ত্র ফেতর দেবার কোন বার্তা দেয়নি কেএনএফ।

টেকনাফের পাহাড়ের পাদদেশে সিরিজ অপহরণ এবং মুক্তিপণের কথাই সরণ করিয়ে দিল কেএনএফ বা কুকি-চিন। ২ মার্চ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী।

তাকে ছাড়িয়ে আনতে ২০ লাখ মুক্তিপণ গুণতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের তিনদিনের মাথায় এই বার্তা দিলেন, র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানালেন খন্দকার আল মঈন।

জানান, বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে ছাড়াতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় প্রথম কাজ হচ্ছে ব্যাংক ম্যানেজারকে অক্ষত ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এজন্য নানান কৌশলে অবলম্বন করা হচ্ছে। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিবারের কথা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ রয়েছেন। তার অবস্থান শনাক্তে কাজ করছে র‌্যাব।

কীভাবে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতার করা যায় তা নিয়ে প্রশাসন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

র‌্যাবের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলা যায়, সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য এ কাজটি করেছে। টাকাই তাদের মূল টার্গেট ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি শান্তি কমিটির মাধ্যমে শান্তি আলোচনা চলছিল। এ সময়ে তাদের অবস্থান ও আধিপত্য জানান দেওয়ার চেষ্টায় এই হামলা।