বান্দরবানে খেয়াং নারীর লাশ উদ্ধার,তদন্তে নেমেছে পুলিশ

- আপডেট সময় : ০৩:৪২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে
বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের একটি গহীন জঙ্গল থেকে চিংমা খেয়াং (২৯) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৫ মে) বিকেলে তিন্দু ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মংখ্যং পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি জঙ্গল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত চিংমা খেয়াং একই এলাকার বাসিন্দা সুমন খেয়াংয়ের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের জননী।
ঘটনার পর ৫ মে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স নিয়ে আসা হয়। এদিকে খেয়াং নারীর মৃত্যুর ঘটনার পর এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, স্থানীয়দের অনেকেই ধারণা করছেন, চিংমা খেয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার কারণে তাদের এই আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনার পরপরই ৬ মে (মঙ্গলবার) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস কনফারেন্স এর আয়োজন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.আবু তালেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আবদুল করিম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এই ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে বলে জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন গুজবে কান না দিয়ে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পুলিশকে সহায়তা করার আহবান জানান বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার।
এদিকে ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকান্ড সেজন্য প্রশাসন কাজ করছে বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সার্বকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গ: ৫ মে চিংমা খেয়াং সকালে জুম চাষের জন্য পাহাড়ে যায় কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্থানীয়রা একে খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তারা জঙ্গনে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পায় এবং তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। এদিকে এই ঘটনার পর তার স্বামী বাদী হয়ে আজ থানছি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।