ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo এশিয়ান টাউনস্কেপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণে হংকং যাচ্ছেন রাজউক চেয়ারম্যান Logo ডামুড্যায় উৎসবমুখর প্রচারণায় বিএনপির প্রার্থী নুরুদ্দিন অপু Logo বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি ঢাকার সাত আসনে Logo দিনাজপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ এর উদ্যোগে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’র মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ উপকরণ বিতরণ Logo একটি দল নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে : মামুনুল হক Logo নাটোরে ৭ দিনব্যাপী ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন Logo টেকনাফে ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারী গ্রেফতার Logo মাদকের বিনিময়ে বাংলাদেশী পণ্য সামগ্রী পাচারকালে ৯ চোরাকারবারী আটক Logo ‘রাষ্ট্র অন্যায়ভাবে আদিবাসীদেরকে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ বলে” Logo টেকনাফে ইয়াবাসহ আটক ১

বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি ঢাকার সাত আসনে

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ২৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থিতার প্রাথমিক ঘোষণা দিয়েছে। আরও ৬৩ আসন খালি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনী হঠাৎ করে এক ধরনের চাপিয়ে দেয়া। আমাদের জন্য এখন একটা দিনও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কালক্ষেপণ করার কোনো সময় নেই। এমনই মন্তব্য শরিক দলগুলোর।
এদিকে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার সুযোগ বন্ধ হওয়ার পরই জটিল হয়েছে সমীকরণ। আট দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের তরফ থেকে ৪০টি আসন চাওয়া হয়েছে বিএনপির কাছে। একইভাবে প্রত্যাশা জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট, জমিয়ত, গণঅধিকারসহ অন্যান্য দল। চলতি সপ্তাহেই আসন ভাগাভাগি নিশ্চিত হতে পারে উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থিতার প্রাথমিক ঘোষণা দিয়েছে। আরও ৬৩ আসন খালি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনী হঠাৎ করে এক ধরনের চাপিয়ে দেয়া। আমাদের জন্য এখন একটা দিনও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কালক্ষেপণ করার কোনো সময় নেই।
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও। দলটির মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, অনেকগুলো আসনই আমাদের ডিমান্ড রয়েছে। কিন্তু যাদের সঙ্গে আমরা একমত হয়ে কাঙ্খিত দ্বারপ্রান্তে এলাম, তারা যদি আমাদের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার জন্য আন্তরিকতা প্রদর্শন না করে, তাহলে এটাকে সমঝোতা বলে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আসন ছাড় দিতে রাজি আছি। কিন্তু তারা দলীয় মার্কা দিয়ে জনগণের ভোট আদায় করে আনতে পারবে কি না এ নিয়ে আমাদের একটা আশঙ্কা রয়েছে। যদি তারা ধানের শীষে নির্বাচন করতে পারতো, তাহলে দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের প্রচারণায় নামানো যেত। আর নিজ দলীয় মার্কায় ভোট করে তাহলে ধানের শীষের কর্মীদের জোর করে মাঠে নামানো আমাদের জন্য খুব কষ্টকর হবে।
অপরদিকে ঢাকায় ফাঁকা রাখা ৭টি আসনে প্রার্থিতা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। আলোচনা রয়েছে, এসব আসনের বেশ কয়েকটি ছাড়া হতে পারে শরিক দলের প্রার্থীদের। বিপত্তি বেঁধেছে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন বাতিলের নিয়মে। এর বিরোধিতা করছে বিভিন্ন দল। আর প্রতীক এবং দলগুলোর সঙ্গে কৌশল বিবেচনায় এসব আসনে দ্রুত প্রার্থী দেয়ার কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এদিকে আসন নিয়ে নানা ইস্যুতে বিতর্ক চললেও ভোট সামনে রেখে মাঠে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। অন্যান্য দলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। ৬৩টি আসনে প্রার্থিতার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার ৭টি আসনও। ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ এবং ২০ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের। চাউর হয়েছে, ঢাকার এসব আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসন ছাড়া হতে পারে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের। আলোচনায় আছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজসহ কয়েকজন। কয়েকটি আসনে আলোচনায় আছেন এনসিপি নেতা এবং সরকারের উপদেষ্টাও।
বিপত্তি বেঁধেছে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার বিধান বাতিলে। বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী দলগুলো এর সমালোচনা করছে। নিজ দলের প্রতীকে ভোটে জয়ী হওয়া কঠিন মেনেই অনেকে উপায় খুঁজছেন ধানের শীষ নিয়ে ভোটে লড়ার। তবে রাজধানীতে অন্য দলের জন্য আসন ছাড়তে নারাজ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাদের প্রত্যাশা, বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছেই থাকবে ধানের শীষ।
ঢাকা- ১০ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ রবিউল আলম বলেন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আসন। এটা অন্য কোনো নেতৃত্বের কাছে ছাড়া দেয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না। ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে একটি প্রবেশদ্বার। এটি অবশ্যই কোনো শরিকদের কাছে যাবে না।
অপরদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী দলের তালিকায় রয়েছে ৮ দলের মোর্চা গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, গণ অধিকার পরিষদ, এনডিএম, বিজেপিসহ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ৪০টির মতো রাজনৈতিক দল।এছাড়া ২৩৭ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর বাকি ৬৩ আসন নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। বিএনপির তরফ থেকে ঘোষণা রয়েছে, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য দলকে নিয়ে নির্বাচন ও সরকার গঠনের। এসব দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছে বিএনপি। আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার সুযোগ বন্ধ হওয়ার পরই জটিল হয়েছে সমীকরণ। আট দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের তরফ থেকে ৪০টি আসন চাওয়া হয়েছে বিএনপির কাছে। একইভাবে প্রত্যাশা জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট, জমিয়ত, গণঅধিকারসহ অন্যান্য দল।
চলতি সপ্তাহেই আসন ভাগাভাগি নিশ্চিত হতে পারে উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থিতার প্রাথমিক ঘোষণা দিয়েছে। আরও ৬৩ আসন খালি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনী হঠাৎ করে এক ধরনের চাপিয়ে দেয়া। আমাদের জন্য এখন একটা দিনও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কালক্ষেপণ করার কোনো সময় নেই।
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও। দলটির মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, অনেকগুলো আসনই আমাদের ডিমান্ড রয়েছে। কিন্তু যাদের সঙ্গে আমরা একমত হয়ে কাঙ্ক্ষিত দ্বারপ্রান্তে এলাম, তারা যদি আমাদের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার জন্য আন্তরিকতা প্রদর্শন না করে, তাহলে এটাকে সমঝোতা বলে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আসন ছাড় দিতে রাজি আছি। কিন্তু তারা দলীয় মার্কা দিয়ে জনগণের ভোট আদায় করে আনতে পারবে কি না এ নিয়ে আমাদের একটা আশঙ্কা রয়েছে। যদি তারা ধানের শীষে নির্বাচন করতে পারতো, তাহলে দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের প্রচারণায় নামানো যেত। আর নিজ দলীয় মার্কায় ভোট করে তাহলে ধানের শীষের কর্মীদের জোর করে মাঠে নামানো আমাদের জন্য খুব কষ্টকর হবে। তিনি আরও বলেন, শরিক দলকে যথপযুক্ত সম্মান করতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু এটা কার্যকর করার ক্ষেত্রে আমাদের একসঙ্গে বসেই ভাবতে হবে, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করা যায়। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে তফসিল ঘোষণার পরই শুরু হয়ে যাবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে ইসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি ঢাকার সাত আসনে

আপডেট সময় :

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থিতার প্রাথমিক ঘোষণা দিয়েছে। আরও ৬৩ আসন খালি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনী হঠাৎ করে এক ধরনের চাপিয়ে দেয়া। আমাদের জন্য এখন একটা দিনও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কালক্ষেপণ করার কোনো সময় নেই। এমনই মন্তব্য শরিক দলগুলোর।
এদিকে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার সুযোগ বন্ধ হওয়ার পরই জটিল হয়েছে সমীকরণ। আট দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের তরফ থেকে ৪০টি আসন চাওয়া হয়েছে বিএনপির কাছে। একইভাবে প্রত্যাশা জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট, জমিয়ত, গণঅধিকারসহ অন্যান্য দল। চলতি সপ্তাহেই আসন ভাগাভাগি নিশ্চিত হতে পারে উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থিতার প্রাথমিক ঘোষণা দিয়েছে। আরও ৬৩ আসন খালি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনী হঠাৎ করে এক ধরনের চাপিয়ে দেয়া। আমাদের জন্য এখন একটা দিনও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কালক্ষেপণ করার কোনো সময় নেই।
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও। দলটির মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, অনেকগুলো আসনই আমাদের ডিমান্ড রয়েছে। কিন্তু যাদের সঙ্গে আমরা একমত হয়ে কাঙ্খিত দ্বারপ্রান্তে এলাম, তারা যদি আমাদের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার জন্য আন্তরিকতা প্রদর্শন না করে, তাহলে এটাকে সমঝোতা বলে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আসন ছাড় দিতে রাজি আছি। কিন্তু তারা দলীয় মার্কা দিয়ে জনগণের ভোট আদায় করে আনতে পারবে কি না এ নিয়ে আমাদের একটা আশঙ্কা রয়েছে। যদি তারা ধানের শীষে নির্বাচন করতে পারতো, তাহলে দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের প্রচারণায় নামানো যেত। আর নিজ দলীয় মার্কায় ভোট করে তাহলে ধানের শীষের কর্মীদের জোর করে মাঠে নামানো আমাদের জন্য খুব কষ্টকর হবে।
অপরদিকে ঢাকায় ফাঁকা রাখা ৭টি আসনে প্রার্থিতা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। আলোচনা রয়েছে, এসব আসনের বেশ কয়েকটি ছাড়া হতে পারে শরিক দলের প্রার্থীদের। বিপত্তি বেঁধেছে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন বাতিলের নিয়মে। এর বিরোধিতা করছে বিভিন্ন দল। আর প্রতীক এবং দলগুলোর সঙ্গে কৌশল বিবেচনায় এসব আসনে দ্রুত প্রার্থী দেয়ার কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এদিকে আসন নিয়ে নানা ইস্যুতে বিতর্ক চললেও ভোট সামনে রেখে মাঠে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। অন্যান্য দলের পাশাপাশি বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। ৬৩টি আসনে প্রার্থিতার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার ৭টি আসনও। ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ এবং ২০ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের। চাউর হয়েছে, ঢাকার এসব আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসন ছাড়া হতে পারে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের। আলোচনায় আছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজসহ কয়েকজন। কয়েকটি আসনে আলোচনায় আছেন এনসিপি নেতা এবং সরকারের উপদেষ্টাও।
বিপত্তি বেঁধেছে আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার বিধান বাতিলে। বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী দলগুলো এর সমালোচনা করছে। নিজ দলের প্রতীকে ভোটে জয়ী হওয়া কঠিন মেনেই অনেকে উপায় খুঁজছেন ধানের শীষ নিয়ে ভোটে লড়ার। তবে রাজধানীতে অন্য দলের জন্য আসন ছাড়তে নারাজ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাদের প্রত্যাশা, বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছেই থাকবে ধানের শীষ।
ঢাকা- ১০ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ রবিউল আলম বলেন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আসন। এটা অন্য কোনো নেতৃত্বের কাছে ছাড়া দেয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না। ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে একটি প্রবেশদ্বার। এটি অবশ্যই কোনো শরিকদের কাছে যাবে না।
অপরদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী দলের তালিকায় রয়েছে ৮ দলের মোর্চা গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, গণ অধিকার পরিষদ, এনডিএম, বিজেপিসহ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ৪০টির মতো রাজনৈতিক দল।এছাড়া ২৩৭ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর বাকি ৬৩ আসন নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। বিএনপির তরফ থেকে ঘোষণা রয়েছে, যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্যান্য দলকে নিয়ে নির্বাচন ও সরকার গঠনের। এসব দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছে বিএনপি। আরপিও সংশোধনীতে অন্য দলের প্রতীক নিয়ে ভোট করার সুযোগ বন্ধ হওয়ার পরই জটিল হয়েছে সমীকরণ। আট দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের তরফ থেকে ৪০টি আসন চাওয়া হয়েছে বিএনপির কাছে। একইভাবে প্রত্যাশা জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট, জমিয়ত, গণঅধিকারসহ অন্যান্য দল।
চলতি সপ্তাহেই আসন ভাগাভাগি নিশ্চিত হতে পারে উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থিতার প্রাথমিক ঘোষণা দিয়েছে। আরও ৬৩ আসন খালি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের আরপিও সংশোধনী হঠাৎ করে এক ধরনের চাপিয়ে দেয়া। আমাদের জন্য এখন একটা দিনও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কালক্ষেপণ করার কোনো সময় নেই।
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় আগ্রহী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও। দলটির মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, অনেকগুলো আসনই আমাদের ডিমান্ড রয়েছে। কিন্তু যাদের সঙ্গে আমরা একমত হয়ে কাঙ্ক্ষিত দ্বারপ্রান্তে এলাম, তারা যদি আমাদের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার জন্য আন্তরিকতা প্রদর্শন না করে, তাহলে এটাকে সমঝোতা বলে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আসন ছাড় দিতে রাজি আছি। কিন্তু তারা দলীয় মার্কা দিয়ে জনগণের ভোট আদায় করে আনতে পারবে কি না এ নিয়ে আমাদের একটা আশঙ্কা রয়েছে। যদি তারা ধানের শীষে নির্বাচন করতে পারতো, তাহলে দলীয় নেতাকর্মীদের তাদের প্রচারণায় নামানো যেত। আর নিজ দলীয় মার্কায় ভোট করে তাহলে ধানের শীষের কর্মীদের জোর করে মাঠে নামানো আমাদের জন্য খুব কষ্টকর হবে। তিনি আরও বলেন, শরিক দলকে যথপযুক্ত সম্মান করতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু এটা কার্যকর করার ক্ষেত্রে আমাদের একসঙ্গে বসেই ভাবতে হবে, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করা যায়। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে তফসিল ঘোষণার পরই শুরু হয়ে যাবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে ইসি।