ভান্ডারিয়ায় ছাত্রী নিয়ে পালালো চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী
বিচার না হওয়ায় অনিদৃষ্ট কালের জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাশ বর্জন

- আপডেট সময় : ১৪৫ বার পড়া হয়েছে
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ২নং নদমুলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়ানে নদমুলা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. সাব্বির হোসেন মাদ্রাসার এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে দীর্ঘ অনুপস্থিত থাকার পরে মাদ্রাসায় যোগদানের চেষ্টা কলে এলাবাসীর বাধার মুখে যোগদান করতে পারেনি । কিন্তু মাদ্রাসার সুপার তাকে দায়সারা শোকাজ দিয়ে নিরব থাকে। একারনে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা গত ১৩ আগষ্ট থেকে অনিদৃষ্ট কালের জন্য ক্লাশ বর্জনের সিদ্ধন্ত নেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চতুর্শ শ্রেনীর কার্মচারী সাময়িক বরখাস্তার করেছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে জানা ঘেছে। আজ রোববার মাদ্রাসায় সরজমিনে গেলে দেখা যায় মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদের পাওয়া গেলেও উপস্থিত পাওয়া যায়নি মাদ্রাসার সুপার এ.কে.এম শাহজাহান কে তিনি ভান্ডারিয়া বন্দর বাজারে পপুলার রোড়ে আদর্শ গামেন্টন্স উপস্থিত পাওয়া যায়। তিনি কখনো সঠিক সময় মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করে না। তিনি মাদ্রাসা না করে ভান্ডারিয়া বসে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। দীর্ঘ দিন এলাকাবাসী তাকে মাদ্রাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করা জন্য অনুরোধ করলেও তিনি তা মানছে না। বর্তমানে মাদ্রাসার কমিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হওয়া তার তোর ক্লাস করতে হয় না।
এ নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসির মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ওই কর্মচারিকে মাদ্রায় যোগদানে বাঁধা দিয়ে ২৪জন অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ক্ষুব্দ এলাকাবাসি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির আবেদন জানিয়েছে। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী ভাণ্ডারিয়ার নদমূলা গ্রামের মো. আনছার উদ্দিন এর ছেলে।
জানা গেছে, নদমুলা ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. সাব্বির হাওলাদার গত পাঁচ মাস আগে মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর গত পাঁচ মাস ধরে বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিবাহ বহির্ভূতভাবে পলাতক থাকেন। যাহা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ (২০১৭ সনের ৬ নং আইন) এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) এর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকুরি বিধিমালা-২০১২ অনুযায়ী আইনত অপরাধ । এ অনৈতিক ঘটনায় মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী,অভিভাবক সহ গ্রামবাসির মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে মাদ্রাসায় নারী শিক্ষার্থীদেও উপস্থিতি কমতে শুরু করে।
এ ব্যাপারের মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট এ.কে.এম শাহজাহান কে বারবার ফোন (০১৭২৪০৩৮৭৭৮) করা হলে তিনি ফোন রিসির্ভ করে নাই বিধায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহানা আক্তার জানান চতুর্থশ্রেনীর কর্মচারী মোঃ সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিধি মোতাবেক সকল ব্যবস্থা প্রক্রিয়াদিন রয়েছে।