ঢাকা ১০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

বিটিভির ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪ ২২২ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করেন ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই ধ্বংসজ্ঞ। পোড়া গন্ধটা পুরোপুরি মিলিয়ে যায়নি। সেদিনের ধ্বংসযজ্ঞের স্বাক্ষী সে। মেঝে, দেওয়া, ছাদ সবখানেই ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতচিহ্ন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্রের চিত্র এটি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে বিটিভি ভবন পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শনকালে ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তার চোখ ভিজে ওঠে। নাশকতা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা বহন করছে বিটিভি।

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলটির এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সময় লাগবে। কোটা আন্দোলনের সময় নাশকতাকারীরা রামপুরায় জ্বালাও পোড়াও করে বিটিভি ভবনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুরে মেট্রোরেল পরিদর্শ করতে গিয়ে সেখানকার ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে কান্না ধরে রাখতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মানুষের স্বপ্নের মোট্রোরেল যাত্রা করে শেখ হাসিনার হাত ধরেই।

মেট্রো নয়, গর্বের পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন রেলপথ ও সড়ক পথ মিলিয়ে বিগত ১৫ বছরে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম সবই শেখ হাসিনার হাত ধরে পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।

কোটা-সংস্কার আন্দোলনকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে স্বার্থন্বেষী মহল ঢাকাসহ দেশজুড়ে ব্যাপক তান্ড চালায়। তারা সরকারী স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচু ও অগ্নিসয়োগ করে। দুর্যোগ ব্যবস্থা ভবন জ্বালিয়ে দেয়।

সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ডাটা সেন্ট্রার, বিটিভি ভবন, পুলিশ ফাঁড়ি, অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও হানিফ উড়াল পথের টোলপ্লাজা এবং মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ ও কাজিপাড়া স্টেশন পুড়িয়ে দেয়। আগুনে সরকারী গাড়ি পুড়েছে কমপক্ষে পাঁচশতাধিক।

বিটিভি ভবনের যেসব জায়গায় তাণ্ডব চালানো হয়, সেসব বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং বিটিভি ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিটিভির কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন কেন্দ্রটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রামপুরায় একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিটিভি ভবন ও বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল রামপুরা-বাড্ডা এলাকা। বিটিভিতে প্রথম হামলা হয় বেলা ১১টা নাগাদ। এরপর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন দফায় হামলার পর ৭টা ৪ মিনিটে সম্প্রচার বন্ধ এবং বিটিভি শাটডাউন করে স্টেশন ত্যাগ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে চতুর্থ দফা হামলা হয়। হামলায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাটও চালানো হয়। এতে ২২ ঘণ্টা সম্প্রচার বন্ধ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত এই টিভি স্টেশনটির।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিটিভির ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০২:০৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

 

যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই ধ্বংসজ্ঞ। পোড়া গন্ধটা পুরোপুরি মিলিয়ে যায়নি। সেদিনের ধ্বংসযজ্ঞের স্বাক্ষী সে। মেঝে, দেওয়া, ছাদ সবখানেই ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতচিহ্ন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্রের চিত্র এটি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে বিটিভি ভবন পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শনকালে ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তার চোখ ভিজে ওঠে। নাশকতা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা বহন করছে বিটিভি।

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলটির এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সময় লাগবে। কোটা আন্দোলনের সময় নাশকতাকারীরা রামপুরায় জ্বালাও পোড়াও করে বিটিভি ভবনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুরে মেট্রোরেল পরিদর্শ করতে গিয়ে সেখানকার ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে কান্না ধরে রাখতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মানুষের স্বপ্নের মোট্রোরেল যাত্রা করে শেখ হাসিনার হাত ধরেই।

মেট্রো নয়, গর্বের পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন রেলপথ ও সড়ক পথ মিলিয়ে বিগত ১৫ বছরে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম সবই শেখ হাসিনার হাত ধরে পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।

কোটা-সংস্কার আন্দোলনকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে স্বার্থন্বেষী মহল ঢাকাসহ দেশজুড়ে ব্যাপক তান্ড চালায়। তারা সরকারী স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচু ও অগ্নিসয়োগ করে। দুর্যোগ ব্যবস্থা ভবন জ্বালিয়ে দেয়।

সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ডাটা সেন্ট্রার, বিটিভি ভবন, পুলিশ ফাঁড়ি, অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও হানিফ উড়াল পথের টোলপ্লাজা এবং মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ ও কাজিপাড়া স্টেশন পুড়িয়ে দেয়। আগুনে সরকারী গাড়ি পুড়েছে কমপক্ষে পাঁচশতাধিক।

বিটিভি ভবনের যেসব জায়গায় তাণ্ডব চালানো হয়, সেসব বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং বিটিভি ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিটিভির কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন কেন্দ্রটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রামপুরায় একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত বিটিভি ভবন ও বিটিভির প্রধান কার্যালয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল রামপুরা-বাড্ডা এলাকা। বিটিভিতে প্রথম হামলা হয় বেলা ১১টা নাগাদ। এরপর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন দফায় হামলার পর ৭টা ৪ মিনিটে সম্প্রচার বন্ধ এবং বিটিভি শাটডাউন করে স্টেশন ত্যাগ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে চতুর্থ দফা হামলা হয়। হামলায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাটও চালানো হয়। এতে ২২ ঘণ্টা সম্প্রচার বন্ধ ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত এই টিভি স্টেশনটির।