ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

বিদ্যমান সার নীতিমালা বহালসহ ৯ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখাসহ ৯ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা।
গতকাল সোমবার ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, রাসায়নিক সার বিতরণ ব্যবস্থায় বিসিআইসি ডিলারগণ রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী যথাযথ পরিপালনে ভূমিকা রেখে চলেছেন। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ডিলার সিন্ডিকেট ভাঙতে ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯’ সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এ নীতিমালার পরিবর্তে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখাসহ ৯ দফার দাবি রেখেছি। কৃষক ও ডিলার সকলের সুবিধার্থে আমরা এ দাবিগুলো নিয়ে নেমেছি।
তাদের দাবিসমূহ হলো- ১) ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, সঠিকভাবে চাহিদা চাহিদা নিরুপণ অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করতে হবে, ২) বিদ্যমান সার ডিলারদের ডিলারশীপ বহাল রাখতে হবে, ৩) নিয়ম নীতি মেনেই ডিলাররা সার বিক্রি করছে তারপরেও বেশিদামে সার বিক্রি করা হয় এ অভিযোগ কেন খতিয়ে দেখার দাবি, ৪) মনোনিত প্রতিনিধির মাধ্যমে রাসায়নিক সার উত্তোলন ও বিতরণের ব্যবস্থা, ৫) বস্তা প্রতি সারের কমিশন ১০০ থেকে ২০০ টাকা বৃদ্ধি করতে হবে, ৬) সারের উপর উৎস কর নির্ধারণ করা যৌক্তিক নয়, ৭) টিএসপি সারের বরাদ্দ বাড়াতে হবে অথবা বন্ধ করতে হবে, ৮) মনিটর ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং ৯) যেকোনো সারের নীতিমালা করার আগে যাঠ পর্যায়ে অবশ্যই প্রতিটি জেলা-উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের ও বিএফএ এর প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ডিলার সিন্ডিকেট ভাঙতে ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯’ সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা, বিএডিসি-বিসিআইসি আলাদা ডিলার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া, ডিলারের সংখ্যা বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে নতুন নীতিমালায়। এতে শত শত কোটি টাকার সাশ্রয় হবে, ভর্তুকির চাপ কমবে এবং কৃষকরা সাশ্রয়ী দামে নিরবচ্ছিন্ন সার পাবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা পয়গাম আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজুসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠুসহ জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিদ্যমান সার নীতিমালা বহালসহ ৯ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় :

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখাসহ ৯ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা।
গতকাল সোমবার ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, রাসায়নিক সার বিতরণ ব্যবস্থায় বিসিআইসি ডিলারগণ রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী যথাযথ পরিপালনে ভূমিকা রেখে চলেছেন। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ডিলার সিন্ডিকেট ভাঙতে ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯’ সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এ নীতিমালার পরিবর্তে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখাসহ ৯ দফার দাবি রেখেছি। কৃষক ও ডিলার সকলের সুবিধার্থে আমরা এ দাবিগুলো নিয়ে নেমেছি।
তাদের দাবিসমূহ হলো- ১) ডিলার সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, সঠিকভাবে চাহিদা চাহিদা নিরুপণ অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করতে হবে, ২) বিদ্যমান সার ডিলারদের ডিলারশীপ বহাল রাখতে হবে, ৩) নিয়ম নীতি মেনেই ডিলাররা সার বিক্রি করছে তারপরেও বেশিদামে সার বিক্রি করা হয় এ অভিযোগ কেন খতিয়ে দেখার দাবি, ৪) মনোনিত প্রতিনিধির মাধ্যমে রাসায়নিক সার উত্তোলন ও বিতরণের ব্যবস্থা, ৫) বস্তা প্রতি সারের কমিশন ১০০ থেকে ২০০ টাকা বৃদ্ধি করতে হবে, ৬) সারের উপর উৎস কর নির্ধারণ করা যৌক্তিক নয়, ৭) টিএসপি সারের বরাদ্দ বাড়াতে হবে অথবা বন্ধ করতে হবে, ৮) মনিটর ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং ৯) যেকোনো সারের নীতিমালা করার আগে যাঠ পর্যায়ে অবশ্যই প্রতিটি জেলা-উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের ও বিএফএ এর প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ডিলার সিন্ডিকেট ভাঙতে ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০০৯’ সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা, বিএডিসি-বিসিআইসি আলাদা ডিলার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া, ডিলারের সংখ্যা বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে নতুন নীতিমালায়। এতে শত শত কোটি টাকার সাশ্রয় হবে, ভর্তুকির চাপ কমবে এবং কৃষকরা সাশ্রয়ী দামে নিরবচ্ছিন্ন সার পাবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা পয়গাম আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজুসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠুসহ জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।