ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

বিশ্বমঞ্চে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ড. ইউনূস বিশ্বনেতাদের শোনালেন, গুলির সামনে ছাত্রদের বুক পেতে দাঁড়ানোর কথা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের কথা তুলে ধরছেন বিশ্বমঞ্চে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে বিশ্বনেতাদের হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানী ঢাকার দেয়ালে শিক্ষার্থীদের আঁকা বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় গ্রাফিতি চিত্রের একটি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’। বিশ্বনেতাদের কাছে আর্টবুকটির বিভিন্ন পাতায় থাকা গ্রাফিতির বর্ণনাও দিতে দেখা গেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’-এ বাংলাদেশের গণ অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস। সেখানে উপস্থিত আন্দোলনের তিন প্রতিনিধিকে পরিচয়ও করিয়ে দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ শীর্ষক আর্টবুকটিতে জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্রদের নেতৃত্বে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহর ও নগরের দেয়ালে তরুণ শিক্ষার্থীদের আঁকা সেরা কিছু শিল্পকর্মের ছবি স্থান পেয়েছে। ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পরই তিনি সংশ্লিষ্টদের এই আর্টবুক প্রকাশের নির্দেশ দেন। কারণ তরুণ চিত্রশিল্পীদের আঁকা-লেখায় ঢাকা সারা দুনিয়ার গ্রাফিতি রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পায়। দেয়ালগুলো পরিণত হয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিশাল ক্যানভাসে। সরকারকে নানা শক্তিশালী বার্তা দিতে তারা বিভিন্ন সৃজনশীল ও হৃদয়গ্রাহী স্লোগান এবং কবিতা লিখেছেন। এসব বার্তা যেন বিপ্লবের চেতনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাক্সক্ষা শিল্পিত প্রতিফলন।

ছাত্ররা দেশবাসীর সমর্থন আদায়ে শিল্পকর্মের মাধ্যমে মুক্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। ছাত্রদের মনের মাধুরী মিশিয়ে দেয়ালে-দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা স্বপ্ন-বাসনার এসব নান্দনিক ও নজরকাড়া চারুকলা গোটা ঢাকা শহরের চেহারা পাল্টে দেয়। এর মধ্যে অনেক গ্রাফিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। প্রশংসা কুড়ায় সর্বস্তরের মানুষের। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলকেও এই আর্টবুক উপহার দিয়েছিলেন। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তাদের হাতে এ উপহার তুলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে গ্রাফিতির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বলেছিলেন, এসব গ্রাফিতিতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পাশবিক শক্তিকে প্রতিহত করতে নৃশংস এক বাহিনীর মুখোমুখি আন্দোলন-বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও যুবকদের দাবিদাওয়া, আবেগ-অনুভূতি, আশা-আকাক্সক্ষা চিত্রিত হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি দলকে ঢাকার দেয়ালগুলো একবার ঘুরে দেখার অনুরোধ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তখন বলেছিলেন, এসব গ্রাফিতি এখনো রাজধানীর দেয়ালে-দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। এগুলো শুধু বিপ্লবের পরই নয়, আন্দোলন চলাকালেও শিক্ষার্থীরা সরকারি বাহিনীকে অমান্য করে এসব গ্রাফিতি আঁকেন।

আন্দোলনে কথা বললেন মঞ্চে, করিয়ে দিলেন পরিচয় : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সময় মঙ্গলবার ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ বক্তব্যে ড. ইউনূস বিগত সরকার কীভাবে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা জানিয়েছেন। আন্দোলনে গুলির সামনে কীভাবে ছাত্ররা বুক পেতে দাঁড়িয়েছে- বিশ্বনেতাদের সামনে সেই বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। একপর্যায়ে নতুন বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। বাংলাদেশের গণ অভ্যুত্থানের কথা বলার সময় তিনি দর্শকদের জানান, এখানে তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি রয়েছেন। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ তিনজনকে স্টেজে আসার আহ্বান জানান। এ সময় ড. ইউনূস বলেন, ‘তারা যেভাবে কথা বলেন এমন কথা আমি কখনো শুনিনি। তারা নতুন পৃথিবী, নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুত। প্লিজ আপনারা তাদের হেল্প করবেন। যেন তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এ গুরুদায়িত্ব আমাদের সবার নিতে হবে।’ এ সময় তিনি বিল ক্লিনটনের হাত ধরে বলেন, ‘আপনি আমাদের সঙ্গে আছেন এ স্বপ্ন পূরণে।’ প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের দেখতে অন্য তরুণদের মতো মনে হলেও যখন তাদের কাজ দেখবেন, বক্তব্য শুনবেন- আপনি অবাক হবেন। তারা সারা দেশ নাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা তাদের বক্তব্য, ত্যাগ, তাদের কমিটমেন্ট থেকে পিছিয়ে যাননি। তারা বলেন, আপনারা চাইলে আমাদের হত্যা করতে পারেন, কিন্তু আমরা পথ ছেড়ে যাব না।’ এ সময় মাহফুজ আলমকে সামনে এগিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গণ অভুত্থানের পেছনের কারিগর মাহফুজ।

 

যদিও মাহফুজ সব সময় বলেন- তিনি একা নন, আরও অনেকে আছেন। যদিও তিনি গণ অভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর হিসেবে পরিচিত।’ এটা খুব সুশৃঙ্খল আন্দোলন ছিল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা হঠাৎ করে হয়েছে এমন কিছু নয়। খুবই গোছানো আন্দোলন। এত বড় আন্দোলন হয়েছে অথচ মানুষ জানত না- কে আন্দোলনের নেতা। যার ফলে একজনকে আটক করা যেত না। বলাও যেত না যে, একজনকে আটক করলে আন্দোলন শেষ।’ তিনি বলেন, ‘তার (মাহফুজ) কথা শুনলে সারা পৃথিবীর যে কোনো তরুণ অনুপ্রাণিত হবেন। তারা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করবেন। তাদের সফলতার জন্য আপনারা প্রার্থনা করবেন। তাদের জন্য হাততালি হোক।’ এ সময় বিল ক্লিনটনসহ সবাই হাততালি দিয়ে সম্মান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিশ্বমঞ্চে জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি

আপডেট সময় : ১২:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

ড. ইউনূস বিশ্বনেতাদের শোনালেন, গুলির সামনে ছাত্রদের বুক পেতে দাঁড়ানোর কথা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের কথা তুলে ধরছেন বিশ্বমঞ্চে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে বিশ্বনেতাদের হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানী ঢাকার দেয়ালে শিক্ষার্থীদের আঁকা বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় গ্রাফিতি চিত্রের একটি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’। বিশ্বনেতাদের কাছে আর্টবুকটির বিভিন্ন পাতায় থাকা গ্রাফিতির বর্ণনাও দিতে দেখা গেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’-এ বাংলাদেশের গণ অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরেন ড. ইউনূস। সেখানে উপস্থিত আন্দোলনের তিন প্রতিনিধিকে পরিচয়ও করিয়ে দেন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ শীর্ষক আর্টবুকটিতে জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্রদের নেতৃত্বে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহর ও নগরের দেয়ালে তরুণ শিক্ষার্থীদের আঁকা সেরা কিছু শিল্পকর্মের ছবি স্থান পেয়েছে। ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পরই তিনি সংশ্লিষ্টদের এই আর্টবুক প্রকাশের নির্দেশ দেন। কারণ তরুণ চিত্রশিল্পীদের আঁকা-লেখায় ঢাকা সারা দুনিয়ার গ্রাফিতি রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পায়। দেয়ালগুলো পরিণত হয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিশাল ক্যানভাসে। সরকারকে নানা শক্তিশালী বার্তা দিতে তারা বিভিন্ন সৃজনশীল ও হৃদয়গ্রাহী স্লোগান এবং কবিতা লিখেছেন। এসব বার্তা যেন বিপ্লবের চেতনা ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাক্সক্ষা শিল্পিত প্রতিফলন।

ছাত্ররা দেশবাসীর সমর্থন আদায়ে শিল্পকর্মের মাধ্যমে মুক্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। ছাত্রদের মনের মাধুরী মিশিয়ে দেয়ালে-দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা স্বপ্ন-বাসনার এসব নান্দনিক ও নজরকাড়া চারুকলা গোটা ঢাকা শহরের চেহারা পাল্টে দেয়। এর মধ্যে অনেক গ্রাফিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। প্রশংসা কুড়ায় সর্বস্তরের মানুষের। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলকেও এই আর্টবুক উপহার দিয়েছিলেন। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তাদের হাতে এ উপহার তুলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে গ্রাফিতির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বলেছিলেন, এসব গ্রাফিতিতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পাশবিক শক্তিকে প্রতিহত করতে নৃশংস এক বাহিনীর মুখোমুখি আন্দোলন-বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও যুবকদের দাবিদাওয়া, আবেগ-অনুভূতি, আশা-আকাক্সক্ষা চিত্রিত হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি দলকে ঢাকার দেয়ালগুলো একবার ঘুরে দেখার অনুরোধ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তখন বলেছিলেন, এসব গ্রাফিতি এখনো রাজধানীর দেয়ালে-দেয়ালে শোভা পাচ্ছে। এগুলো শুধু বিপ্লবের পরই নয়, আন্দোলন চলাকালেও শিক্ষার্থীরা সরকারি বাহিনীকে অমান্য করে এসব গ্রাফিতি আঁকেন।

আন্দোলনে কথা বললেন মঞ্চে, করিয়ে দিলেন পরিচয় : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সময় মঙ্গলবার ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ বক্তব্যে ড. ইউনূস বিগত সরকার কীভাবে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা জানিয়েছেন। আন্দোলনে গুলির সামনে কীভাবে ছাত্ররা বুক পেতে দাঁড়িয়েছে- বিশ্বনেতাদের সামনে সেই বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। একপর্যায়ে নতুন বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। বাংলাদেশের গণ অভ্যুত্থানের কথা বলার সময় তিনি দর্শকদের জানান, এখানে তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি রয়েছেন। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ তিনজনকে স্টেজে আসার আহ্বান জানান। এ সময় ড. ইউনূস বলেন, ‘তারা যেভাবে কথা বলেন এমন কথা আমি কখনো শুনিনি। তারা নতুন পৃথিবী, নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুত। প্লিজ আপনারা তাদের হেল্প করবেন। যেন তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। এ গুরুদায়িত্ব আমাদের সবার নিতে হবে।’ এ সময় তিনি বিল ক্লিনটনের হাত ধরে বলেন, ‘আপনি আমাদের সঙ্গে আছেন এ স্বপ্ন পূরণে।’ প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তাদের দেখতে অন্য তরুণদের মতো মনে হলেও যখন তাদের কাজ দেখবেন, বক্তব্য শুনবেন- আপনি অবাক হবেন। তারা সারা দেশ নাড়িয়ে দিয়েছেন। তারা তাদের বক্তব্য, ত্যাগ, তাদের কমিটমেন্ট থেকে পিছিয়ে যাননি। তারা বলেন, আপনারা চাইলে আমাদের হত্যা করতে পারেন, কিন্তু আমরা পথ ছেড়ে যাব না।’ এ সময় মাহফুজ আলমকে সামনে এগিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গণ অভুত্থানের পেছনের কারিগর মাহফুজ।

 

যদিও মাহফুজ সব সময় বলেন- তিনি একা নন, আরও অনেকে আছেন। যদিও তিনি গণ অভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর হিসেবে পরিচিত।’ এটা খুব সুশৃঙ্খল আন্দোলন ছিল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা হঠাৎ করে হয়েছে এমন কিছু নয়। খুবই গোছানো আন্দোলন। এত বড় আন্দোলন হয়েছে অথচ মানুষ জানত না- কে আন্দোলনের নেতা। যার ফলে একজনকে আটক করা যেত না। বলাও যেত না যে, একজনকে আটক করলে আন্দোলন শেষ।’ তিনি বলেন, ‘তার (মাহফুজ) কথা শুনলে সারা পৃথিবীর যে কোনো তরুণ অনুপ্রাণিত হবেন। তারা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করবেন। তাদের সফলতার জন্য আপনারা প্রার্থনা করবেন। তাদের জন্য হাততালি হোক।’ এ সময় বিল ক্লিনটনসহ সবাই হাততালি দিয়ে সম্মান জানান।