ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারত থেকে ২০০ রেল বগি কিনছে বাংলাদেশ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ২২১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারত থেকে রেলের ২০০ বগি কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ আরও বগি কিনবে বলে জানালেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। সোমবার (২০ মে) ঢাকার রেলভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজাসহ বাংলাদেশে রেলওয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।

ভারত থেকে স্টেইনলেস স্টিলের ২০০ রেলবগি কিনছে বাংলাদেশ। দ্রুত গতির এসব বগিগুলোর বগির ছাদে বসানো থাকবে এসি। অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতির বগিগুলো পরিবেশবান্ধব। প্রতিটি বগির দাম পড়বে বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি টাকার ওপরে। ৩৬ মাসে মধ্যে সব সম্পূর্ণ বগি হস্তান্তর করবে ভারত। এসময় রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রেলের কর্মকর্তারা খুবই স্লো।

রেলভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে আগামী ৩০ জুন ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদের প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) এর অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা। প্রতিটি বগির দাম আসে ৬ কোটি ৪৯ টাকা। এটা দেবে ইআইবি যা ম্যাটিরিয়াল চার্জ।

এরপর দেশে বগি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তা খালাস বাবদ আরও ৩৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এই অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার যা প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশে আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা রেল পরিষেবা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।

ভারতীয় থেকে ২০০ বগি কিনবে রেলওয়ে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রক। এসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো সোমবার ঢাকার রেলভবনে। ভারতের আরআইটিইএস প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে ২০০ যাত্রীবাহী বগি সরবরাহ করবে। এর আগেও ভারত থেকে বগি কিনেছে ঢাকা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী,

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় উল্লেখ নেই। জানা থাকলে আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারি। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলেই চলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারত থেকে ২০০ রেল বগি কিনছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

 

ভারত থেকে রেলের ২০০ বগি কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশ আরও বগি কিনবে বলে জানালেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। সোমবার (২০ মে) ঢাকার রেলভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজাসহ বাংলাদেশে রেলওয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।

ভারত থেকে স্টেইনলেস স্টিলের ২০০ রেলবগি কিনছে বাংলাদেশ। দ্রুত গতির এসব বগিগুলোর বগির ছাদে বসানো থাকবে এসি। অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতির বগিগুলো পরিবেশবান্ধব। প্রতিটি বগির দাম পড়বে বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি টাকার ওপরে। ৩৬ মাসে মধ্যে সব সম্পূর্ণ বগি হস্তান্তর করবে ভারত। এসময় রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রেলের কর্মকর্তারা খুবই স্লো।

রেলভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে আগামী ৩০ জুন ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদের প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) এর অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা। প্রতিটি বগির দাম আসে ৬ কোটি ৪৯ টাকা। এটা দেবে ইআইবি যা ম্যাটিরিয়াল চার্জ।

এরপর দেশে বগি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তা খালাস বাবদ আরও ৩৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এই অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার যা প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশে আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা রেল পরিষেবা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।

ভারতীয় থেকে ২০০ বগি কিনবে রেলওয়ে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রক। এসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো সোমবার ঢাকার রেলভবনে। ভারতের আরআইটিইএস প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে ২০০ যাত্রীবাহী বগি সরবরাহ করবে। এর আগেও ভারত থেকে বগি কিনেছে ঢাকা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী,

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেওয়া হবে সেই সময় উল্লেখ নেই। জানা থাকলে আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারি। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলেই চলবে।