ভারতকে পিষ্ট করে ফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৬:০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর পর ফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ। জয়ের সুবাস পেয়ে গ্যালারিতে উল্লাস চলছিল অনেকক্ষণ ধরেই। ম্যাচ শেষ হতেই সেই উচ্ছ্বাসে যেন নতুন প্রাণের দোলা লাগল। মাঠের ভেতরে তখন নানা আবেগের স্রোত। কেউ ডানা মেলে উড়ছেন, কেউ দিগ্বিদিক ছুটছেন।
দেশের পতাকার দুই প্রান্তে ধরে ছুটে গেলেন দুজন। মারুফ মৃধাকে কাঁধে তুলে নিলেন কেউ একজন। শেষ উইকেটটি নিয়ে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম হাঁটু গেঁড়ে বসে হাত দিয়ে ঢেকে রইলেন মুখ। যেন মুহূর্তটি অনুভব করতে চাইলেন প্রাণভরে। সব মিলিয়ে দুবাইয়ের গ্যালারি থেকে মাঠে একাকার লাল-সবুজের শিরোপা উৎসব।
এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ।
ফাইনাল জয়ের আনন্দ তো এমনিতেই উত্তুঙ্গ। প্রতিপক্ষ যখন ভারত, সব পর্যায়ের ক্রিকেটেই উত্তেজনাটা পৌঁছে যায় যেন অন্য মাত্রায়। সব প্রাপ্তিকে এক বিন্দুতে মিলিয়েই ৫৯ রানের জয়ে নিজেদের রাঙাল বাংলাদেশের যুবারা।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যদিও বড় পুঁজি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯৮ রানেই শেষ হয় ইনিংস। মাঝবিরতিতে সম্ভবনায় তাই এগিয়ে ছিল ভারতই।
বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে না হার না মানা মানসিকতায়। ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষায় ছিল বারুদ, বোলিংয়ে ছিল আগুন। এই বিস্ফোরণেই ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ চূর্ণ হয়ে গেল স্রেফ ১৩৯ রানে।
টুর্নামেন্টের প্রথম ৯ আসরে একবারও শিরোপা জিততে না পারা বাংলাদেশ গত আসরে খরা ঘোচানোর পর এবার জিতে নিল টানা দ্বিতীয় শিরোপা।
ফাইনাল পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে দলকে টেনেছেন বলতে গেলে আজিজুল। ফাইনালে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি অধিনায়ক। তবে কয়েকজনের সম্মিলিত অবদানে কিছুটা লড়ার মতো রান পায় দল। এরপর বাকি দায়িত্ব নিয়ে নেয় দুর্দান্ত পেস আক্রমণ। টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ বোলিং করা ইকবাল হোসেন ইমন জ্বলে ওঠেন ফাইনালেও। আল ফাহাদ, মারুফ মৃধা ও রিজান হাসান যথারীতি ছিলেন কার্যকর।
ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা পুষিয়ে বোলিংয়ে তিন উইকেট নেন আজিজুল। সঙ্গে তার ঠাণ্ডা মাথায় কুশলী নেতৃত্ব তো ছিলই।
সেমি-ফাইনালে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হওয়া ইমন ফাইনালেও সেরার স্বীকৃতি পান ৩ উইকেট। আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৫ ম্যাচে ১৩টি) হয়ে ম্যান অব দা টুর্নামেন্টও ১৮ বছর বয়সী এই পেসার।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ (জাওয়াদ ২০, কালাম ১, আজিজুল ১৬, শিহাব ৪০, রিজান ৪৭, দেবাশিস ১, ফরিদ ৩৯, সামিউন ৪, আল ফাহাদ ১, মারুফ ১১*, ইমন ১; ইউধাজিত ৯.১.-১-২৯-২, চেতান ১-০-০-৪৮-২, নিখির ৫-১-১৩-০, কিরান ৭-০-১৯-১, হার্দিক ১০-০-৪১-২, কার্তিকেয়া ৭-০-৩৭-১, আয়ুশ ১-০-৯-১)।
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ (আয়ুশ ১, বৈভাব ৯, সিদ্ধার্থ ২০, কার্তিকেয়া ২১, আমান ২৬, নিখিল ০, হারভানশ ০, কিরান ১, হার্দিক ২৪, চেতান , ইউধাজিত ; মারুফ ৬-০-২৩-২, ফাহাদ ৮-০-২৩-১, রিয়াজ ৮-২-১৩-০, ইমন ৭-১-২৪-৪, সামিউন ৫-০-১৫-০, আজিজুল ২.২-১-৮-৩)।
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫৬ রানে জয়ী।