*ভারতের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রে পাকিস্তানে নিহত ২৬, আহত ৪৬ জন *পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে নিহত ১৫, আহত ৩২ জন *৫টি ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত, একটি সেনা ব্রিগেডের সদর দপ্তর ধ্বংস *পাকিস্তানি আক্রমণের মুখে ‘সাদা পতাকা’ ওড়ালো ভারতীয় সেনারা *পাল্টা জবাব দেয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা পেল পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী

ভারত-পাকিস্তান সীমিত যুদ্ধে গতকাল বুধবার ভারতের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পাকিস্তানের ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের ১৫ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাকিস্তানে হামলায় অংশ নেয়া ৫টি ভারতীয় যুদ্ধ বিমান ভূপাতিত করাসহ ভারতের একটি সেনা ব্রিগেডের সদর দপ্তর উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলছে, ভারতের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিক ও মসজিদকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে ভারত। ভারতের আঘাত হানা অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।
জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, আহমেদপুর ইস্ট এলাকায় সুবহান আল্লাহ মসজিদে হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বছরের দুইটি শিশু, সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছেন। সেখানে আহত হয়েছেন ৩৭ জন। এছাড়া মুজাফফারবাদের কাছে বিলাল মসজিদে হামলায় তিনজন নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। কোটলির আব্বাস মসজিদে ১৬ বছর বয়সী একজন কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ নিহত, এবং দ্ইুজন আহত হয়েছেন। মুরিদকের উম আল-কুরা মসজিদে হামলায় তিনজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। শিয়ালকোট ও শাকারগড় এলাকায়ও হামলা করা হয়েছে, কিন্তু সেখানে কেউ হতাহত হননি। জেনারেল জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেন, পাকিস্তানে ভারতের হামলার জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি কমব্যাট ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা।

এদিকে, ভারত দাবি করেছে, পহেলগাম হামলা-সহ সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রশ্রয়ে”র জবাব দিতেই পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানে হামলার বিষয়ে ভারত: পহেলগাম, মুম্বাই হামলার জবাব দিয়েছি আমরাপাকিস্তানে হামলার বিষয়ে ভারত: পহেলগাম, মুম্বাই হামলার জবাব দিয়েছি আমরা ভারতের একাধিক বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে সে ব্যাপারে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি। অভিযানে ভারতের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি-না, সেটাও কিছু বলা হয়নি। বুধবার রাতে চালানো এ বিমান হামলার পর দুই দেশের ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তে তীব্র গোলাবর্ষণ শুরু হয়
কয়েক দিনের তীব্র উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলছে, ভারতের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিক ও মসজিদকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে ভারত। ভারতের আঘাত হানা অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বুধবার তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে, ভারত বলছে, ভারত-শাসিত কাশ্মীরে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ১৩ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলে গোলাবর্ষণে হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে ভারতের একজন কর্মকর্তা। পিটিআই জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুজন শিশু ও একজন নারী রয়েছেন। ভারতের অপারেশন সিঁদুরে নিহত ২৬ জন, জানালো পাকিস্তানভারতের অপারেশন সিঁদুরে নিহত ২৬ জন, জানালো পাকিস্তান এদিকে পাকিস্তানে ১০ জন নিহতের বিষয়ে জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, আহমেদপুর ইস্ট এলাকায় সুবহান আল্লাহ মসজিদে হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বছরের দুইটি শিশু, সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছেন। সেখানে আহত হয়েছেন ৩৭ জন। এছাড়া মুজাফফারবাদের কাছে বিলাল মসজিদে হামলায় তিনজন নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। কোটলির আব্বাস মসজিদে ১৬ বছর বয়সী একজন কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ নিহত, এবং দ্ইুজন আহত হয়েছেন। মুরিদকের উম আল-কুরা মসজিদে হামলায় তিনজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। শিয়ালকোট ও শাকারগড় এলাকায়ও হামলা করা হয়েছে, কিন্তু সেখানে কেউ হতাহত হননি।
জেনারেল জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেন, পাকিস্তানে ভারতের হামলার জবাবে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি কমব্যাট ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। এদিকে, ভারত দাবি করেছে, পহেলগাম হামলা-সহ “সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রশ্রয়ে”র জবাব দিতেই পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানে হামলার বিষয়ে ভারত: পহেলগাম, মুম্বাই হামলার জবাব দিয়েছি আমরাপাকিস্তানে হামলার বিষয়ে ভারত: পহেলগাম, মুম্বাই হামলার জবাব দিয়েছি আমরা ভারতের একাধিক বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে সে ব্যাপারে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি। অভিযানে ভারতের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি-না, সেটাও কিছু বলা হয়নি।
পাকিস্তানি আক্রমণের মুখে ‘সাদা পতাকা’ ওড়ালো ভারতীয় সেনারা : মধ্যরাতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে ভারত। এতে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। অন্যদিকে পাকিস্তানও পালটা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি ভারতের। দেশটির দাবি, পাকিস্তানের হামলায় ১০ ভারতীয় নিহত হয়েছেন। এসব খবরের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘সাদা পতাকা’ উড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান, যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির পর আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দেয়। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি।

এতে বলা হয়েছে, উচ্চ-স্তরের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, পাকিস্তানি বাহিনী একটি শক্তিশালী প্রতিশোধমূলক অভিযানের ফলে সীমান্ত রেখা বরাবর একাধিক ভারতীয় সামরিক পোস্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ছিল চোরা কমপ্লেক্স। জীবন রক্ষায় সেই পোস্টের ভারতীয় সেনারা সাদা পতাকা উত্তোলন করে। সাদা পতাকা যুদ্ধবিরতি বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আত্মসমর্পণের প্রতীক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই দাবি করেছে পাকিস্তান সরকার। একই দাবিকে এক্সে পোস্ট দিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।

সেখানে তিনি বলেছেন, প্রথমে তারা (হামলার) তদন্ত করা থেকে পালিয়েছিল, এখন তারা (যুদ্ধের) মাঠ থেকে পালিয়ে গেছে। ভারতীয় চৌকিতে সাদা পতাকা উত্তোলনের তথ্য প্রকাশ করেছে আল জাজিরাও। তবে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি অবশ্য স্বাধীনভাবে দাবিটি নিশ্চিত করতে পারেনি। হামলার প্রতিবাদে পাল্টা জবাব দিচ্ছে পাকিস্তান। বুধবার সকাল থেকে দুই দেশের নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি চলছে। জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে অন্তত সাতজন ভারতীয় নিহত হয়েছেন। ভারতের কয়েকটি পত্রিকা মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জন বলে দাবি করছে। পিটিআই জানিয়েছে, দুজন শিশু ও একজন নারীসহ অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। একই হামলায় ৩৮ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ভারতের পাঁচটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করেছে তারা। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদরদপ্তর ও তল্লাশি চৌকিও গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি তাদের। ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের তিনটি যুদ্ধবিমান হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পাল্টা জবাব দেয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা পেল পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী : ভারতকে পাল্টা জবাব দেওয়ার ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ পেল পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীবুধবার জরুরি বৈঠক করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) বলেছে, আত্মরক্ষার স্বার্থে পাকিস্তান নিজেদের মতো করে, যেকোনো সময় ও যেকোনো পদ্ধতিতে পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। গতকাল বুধবার কমিটির জরুরি বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে যে কোনো ধরনের ‘পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণে’ পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে এনএসসি জানায়, নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানি এবং তাদের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যেকোনো সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে আত্মরক্ষায় প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের নগ্ন আগ্রাসনে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। তবে পুরো জাতি পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য গর্বিত এবং তাদের পাশে আছে। যে কোনো ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের মুখেও জাতি ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে অস্ত্রধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারান। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছিল ভারত। তবে কোনো প্রমাণ ছাড়াই এ অভিযোগ করা হচ্ছে দাবি করে পাকিস্তান তা শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার প্রতিক্রয়ায় ভারত মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। নয়াদিল্লির দাবি, এই অভিযানে পাকিস্তানে অবস্থিত একাধিক জঙ্গি আস্তানায় হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ২৬ পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৬ জন। জবাবে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পাকিস্তানি পাল্টা হামলায় ১০ জন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ৩২ জন। এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক মহলে আশঙ্কা বাড়ছে, পরিস্থিতি দ্রুত আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।