ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মেয়েকে নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর ‍অভিযোগ Logo নান্দিনা নেকজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ Logo মুক্তাগাছায় সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo বগুড়ায় চকলোকমান বালিকা মাদ্রাসায় সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত Logo ফুলপুরে কৃষক পার্টনার কংগ্রেস- ২০২৫ অনুষ্ঠিত  Logo নরসিংদীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান Logo ডামুড্যায় পপুলার লাইফের বীমা দাবির চেক হস্তান্তর ও ব্যবসা উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত Logo কেশবপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভুয়া সার্টিফিকেট বাণিজ্য জমজমাট Logo সরিষাবাড়ীতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা Logo নাচোল উপজেলার পারিলা গ্রামে এক যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

রামগতিতে নির্মাণ কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার

ভেঙে পড়লো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ টি পিলার!

মো. জহির উদ্দিন, রামগতি (লক্ষ্মীপুর)
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণী কক্ষ নির্মাণ করার আড়াই মাস পর ভেঙে পড়লো ১৬ টি পিলার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ-অসন্তোষ। জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণী কক্ষ (টিনসেট) নির্মাণ করার জন্য ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। কাজটি পায় মেসার্স রিয়াসাদ এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজ শুরু করে। ওই মাসে দুটি রুমের জন্য ২০ টি পিলার নির্মাণ করে কাজটি বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যে প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পুনরায় কাজ করতে যায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এসময় নির্মাণ করা পিলারের উপর দাঁড়িয়ে মিস্ত্রি কাঠ লাগাতে গেলে পিলার ভেঙ্গে মিস্ত্রি সহ মাটিতে পড়ে যায়। একে একে ১৬ টি পিলার ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি অধিক লাভের আশায় ঠিকাদার নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে পিলার নির্মাণ করাই এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।অনিয়ম দুর্নীতি ও নিন্মমানের কাজের অভিযোগ এনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. লিটন বলেন, একটু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি আমরা অফিসিয়ালি সমাধান করে ফেলবো।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরীফ চৌধুরী বলেন, নির্মাণে বেপরোয়া গাফিলতি থাকায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে দেখে গেছেন।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী স্নেহাল রায় বলেন, কোয়ালিটি খারাপ ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে ভবনটির কলাম ধ্বসে পড়েছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে সদর দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমি ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারসহ সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছি। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।এমনকি কাজের সাথে ওয়ার্ক অর্ডারের মিল নেই। ঢালাইয়ে সিমেন্ট কম ব্যবহার ও রড ব্যবহার না করে শুধুমাত্র ইট দিয়ে পিলার তৈরি করাই ভেঙে যায় পিলারগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামগতিতে নির্মাণ কাজে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার

ভেঙে পড়লো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ টি পিলার!

আপডেট সময় : ০১:১৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণী কক্ষ নির্মাণ করার আড়াই মাস পর ভেঙে পড়লো ১৬ টি পিলার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ-অসন্তোষ। জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণী কক্ষ (টিনসেট) নির্মাণ করার জন্য ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। কাজটি পায় মেসার্স রিয়াসাদ এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজ শুরু করে। ওই মাসে দুটি রুমের জন্য ২০ টি পিলার নির্মাণ করে কাজটি বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যে প্রায় আড়াই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) পুনরায় কাজ করতে যায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এসময় নির্মাণ করা পিলারের উপর দাঁড়িয়ে মিস্ত্রি কাঠ লাগাতে গেলে পিলার ভেঙ্গে মিস্ত্রি সহ মাটিতে পড়ে যায়। একে একে ১৬ টি পিলার ভেঙে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি অধিক লাভের আশায় ঠিকাদার নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে পিলার নির্মাণ করাই এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।অনিয়ম দুর্নীতি ও নিন্মমানের কাজের অভিযোগ এনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. লিটন বলেন, একটু সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি আমরা অফিসিয়ালি সমাধান করে ফেলবো।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শরীফ চৌধুরী বলেন, নির্মাণে বেপরোয়া গাফিলতি থাকায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসে দেখে গেছেন।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী স্নেহাল রায় বলেন, কোয়ালিটি খারাপ ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে ভবনটির কলাম ধ্বসে পড়েছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে সদর দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমি ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারসহ সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছি। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।এমনকি কাজের সাথে ওয়ার্ক অর্ডারের মিল নেই। ঢালাইয়ে সিমেন্ট কম ব্যবহার ও রড ব্যবহার না করে শুধুমাত্র ইট দিয়ে পিলার তৈরি করাই ভেঙে যায় পিলারগুলো।