ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

মঠবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রী ঊর্মির ধর্ষক ও হত্যাকারী ছগীরের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক কন্যা চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ঊর্মিকে ( ৯)  ধর্ষণ শেষে নৃশংস ভাবে হত্যা করে ছগীর আকন (৪৫)। ধর্ষক ও খুনি ছগীরের ফাঁসির দাবিতে এবং দেশের সকল ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বাস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে ১৬ মার্চ রোববার সকাল ১১ টায় মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় প্রবীণ সাংবাদিক আবদুস সালাম আজাদীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজু, নাজমুল আহসান কবীর, জামাল এইট আকন, ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, মোস্তফা কামাল বুলেট, শিক্ষক নেতা দেলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক সাইফুল ইসলাম, রাসেল রায়হান, ছাত্রদল নেতা রুবেল আহমেদ, ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল অভি ও নিহত উর্মির বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল।
বক্তারা ধর্ষকের পক্ষে কোন আইনজীবীকে আদালতে না দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। জানা গেছে ২০১৭ সালের ২১ জুলাই বিকেলে উর্মী নিখোঁজ হয়। ২৩ জুলাই বাড়ি থেকে প্রায় ৬০০ গজ দূরে পরিত্যক্ত একটি বাগানের নালার মধ্য থেকে নিহত উর্মীর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত উর্মীর বাবা উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ওই ২৩ জুলাই রাতে মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অধিকতর তদন্ত শেষে ছগীর আকন কে গ্রেফতার করেন। এবং ছগীরকে একমাত্র আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে বিরুদ্ধে চার্জসীট প্রদান করেন। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের হওয়া তন্নী আক্তারকে  জবাই করে হত্যা মামলায় এই ছগীরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক গরু জবাই করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। নিহত তন্নী সাংবাদিক সোহেল এর প্রতিবেশি চাচাতো বোন। সিরিয়াল কিলার  ছগীর ওই উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত্যু কুদ্দুস আকনের ছেলে। ছগীর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছে। উর্মি হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মঠবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রী ঊর্মির ধর্ষক ও হত্যাকারী ছগীরের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক কন্যা চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ঊর্মিকে ( ৯)  ধর্ষণ শেষে নৃশংস ভাবে হত্যা করে ছগীর আকন (৪৫)। ধর্ষক ও খুনি ছগীরের ফাঁসির দাবিতে এবং দেশের সকল ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বাস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে ১৬ মার্চ রোববার সকাল ১১ টায় মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় প্রবীণ সাংবাদিক আবদুস সালাম আজাদীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজু, নাজমুল আহসান কবীর, জামাল এইট আকন, ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, মোস্তফা কামাল বুলেট, শিক্ষক নেতা দেলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক সাইফুল ইসলাম, রাসেল রায়হান, ছাত্রদল নেতা রুবেল আহমেদ, ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল অভি ও নিহত উর্মির বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল।
বক্তারা ধর্ষকের পক্ষে কোন আইনজীবীকে আদালতে না দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। জানা গেছে ২০১৭ সালের ২১ জুলাই বিকেলে উর্মী নিখোঁজ হয়। ২৩ জুলাই বাড়ি থেকে প্রায় ৬০০ গজ দূরে পরিত্যক্ত একটি বাগানের নালার মধ্য থেকে নিহত উর্মীর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত উর্মীর বাবা উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ওই ২৩ জুলাই রাতে মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অধিকতর তদন্ত শেষে ছগীর আকন কে গ্রেফতার করেন। এবং ছগীরকে একমাত্র আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে বিরুদ্ধে চার্জসীট প্রদান করেন। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের হওয়া তন্নী আক্তারকে  জবাই করে হত্যা মামলায় এই ছগীরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক গরু জবাই করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। নিহত তন্নী সাংবাদিক সোহেল এর প্রতিবেশি চাচাতো বোন। সিরিয়াল কিলার  ছগীর ওই উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত্যু কুদ্দুস আকনের ছেলে। ছগীর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছে। উর্মি হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।