মধুখালীতে চাঁদা না পেয়ে ১১ বছরের শিশুকে হত্যা, আটক ২

- আপডেট সময় : ৪৭ বার পড়া হয়েছে
ফরিদপুরের মধুখালীতে নিখোঁজের তিন দিন পর উদ্ধার হয়েছে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী গ্রামের প্রবাসী শামীম তালুকদারের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ১১ বছরের তামিম তালুকদারের লাশ। এ ঘটনায় চাঁদার দাবিতে পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে,
পরিবার জানায়, গত শুক্রবার বিকালে শিশু তামিম ঘাতক তুহিন এর সাথে ঘুরতে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যার পর পরিবারের পক্ষ থেকে তামিমের খোঁজ শুরু করলে একপর্যায়ে তুহিন শেখের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হয়, কিন্তু সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তুহিন শিশু তামিমের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দেওয়ার প্রস্তুতিও ছিল পরিবারের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন রক্ষা হয়নি শিশুটির, ঘাতকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শিশুটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়।
মধুখালী থানা পুলিশ জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। ১৮ আগস্ট রাতে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বড়গাতি গ্রামের বাসিন্দা তুহিন শেখকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই উপজেলার কোরকদী ইউনিয়নের বাঁশপুর গ্রামের একটি জমির আইলে আবর্জনার নিচে চাপা অবস্থায় তামিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, ঘাতক তুহিন প্রায় এক বছর আগে দিনমজুর হিসেবে নিহত তামিমদের বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল। এ সূত্র ধরে এলাকায় পরিচিতি গড়ে তোলে। প্রায় ১৫ দিন আগে আবারও এ গ্রামে এসে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তোলে এবং ঘটনার দিন তামিমকে নিয়ে বের হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে সমাজে অপরাধ আরও বাড়বে। শোকাহত পরিবারও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, “ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত। বড় অংকের চাঁদা দাবিতে শিশুটিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
মধুখালী থানা পুলিশ আটক তুহিন শেখসহ দুইজনকে চাঁদা দাবি ও হত্যা মামলা দিয়ে ফরিদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে। মামলা নম্বর ১২।