ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রধান সহকারীর বদলি নিয়ে অচলাবস্থা

- আপডেট সময় : ৬৪ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রধান সহকারী শেখ মোহাম্মদ সুরুজ জামানের বদলির আদেশ ঘিরে প্রতিষ্ঠানে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় টানা আট দিন ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। ফলে যেমন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি প্রশাসনিক কাজও স্থবির হয়ে পড়েছে। গত ১৪ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক অফিস আদেশে শেখ মোহাম্মদ সুরুজ জামানকে বদলি করা হয়। এ নিয়েই আন্দোলনে নামেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, মাউশির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনৈতিক অর্থসুবিধাভোগী একটি মহলের যোগসাজশে অভিজ্ঞ ও শিক্ষার্থীবান্ধব একজন কর্মচারীকে অযৌক্তিকভাবে বদলি করা হয়েছে। তাই এই আদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তৌকির তরফদার বলেন, ‘আমাদের সুরুজ জামান ভাইকে অবৈধভাবে বদলি করেছে মাউশি। আমরা চাই এই বদলির আদেশ বাতিল হোক।’
আরেক শিক্ষার্থী ওয়ালিদ আহমেদ মুনির বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের আমলে যারা টাকার বিনিময়ে বদলি বাণিজ্য করেছে, আবার সেই সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়েছে। আমরা চাই তাদের চক্রটি ভেঙে দেওয়া হোক।’ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থী আবু রায়হান পলাশ বলেন, ‘যে আজহারুলকে বদলি করে এখানে আনা হয়েছে, আমরা তাঁকে কলেজে প্রবেশ করতে দেব না।’ এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. জয়নুল আবেদীন খান বলেন, ‘বদলির বিষয়টি আমি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করি, একটি সুষ্ঠু সমাধান হবে।’ প্রধান সহকারী শেখ মোহাম্মদ সুরুজ জামান বলেন, ‘কেন বা কী কারণে আমাকে মূল পদ থেকে ডিমোশন দিয়ে বদলি করা হলো, আমি জানি না। আমি কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি করিনি। এ আদেশে আমি খুব মর্মাহত।’
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ও কলেজের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে মহাপরিচালককে (ডিজি) জানিয়েছি। শিক্ষার্থীরা বদলির আদেশ মেনে নিচ্ছে না। কীভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়েও মতামত চেয়েছি। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ এর আগে, গত ১৭ আগস্ট থেকে সুরুজ জামাননের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।