ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

মাগুরায় জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমেলা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

এইচ.এন কামরুল ইসলাম, মাগুরা
  • আপডেট সময় : ১১৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মাগুরায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম।
সভায় জানানো হয়, গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাগুরায় শহীদ হন রাব্বি, ফরহাদসহ ১০ জন ছাত্র-জনতা। তাদের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড ব্রিজসংলগ্ন স্থানে—যেখানে রাব্বি ও ফরহাদ শহীদ হয়েছিলেন—সেই জায়গা থেকে ১০ মিটার দূরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সভায় শহীদ রাব্বি হাসানের স্ত্রী তার স্বামীর স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ‘শহীদ রাব্বি হাসান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে যেন কোনো ধরণের বৈষম্য না থাকে, যেখানে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন—সেটাই হবে শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।’
প্রস্তুতিমূলক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আলী আহমেদ, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান, জেলা জামায়াতের আমির এমবি বাকের, সাধারণ সম্পাদক সাইদ আহমেদ, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ এন কামরুল ইসলাম, মাগুরা জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের প্রধান সমন্বয়ক কাজী আশিক রহমানসহ জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাগুরার সাহসী সন্তানরা দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে জীবন দিয়েছেন। তাদের স্মৃতি ধরে রাখা আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে চাই—তাদের আত্মত্যাগ ছিল অর্থবহ, তারা ভুলে যাওয়ার নয়।”
সভা শেষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণসহ সার্বিক বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয় এবং সর্বসম্মতভাবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাগুরায় জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমেলা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় :

 

মাগুরায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম।
সভায় জানানো হয়, গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাগুরায় শহীদ হন রাব্বি, ফরহাদসহ ১০ জন ছাত্র-জনতা। তাদের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড ব্রিজসংলগ্ন স্থানে—যেখানে রাব্বি ও ফরহাদ শহীদ হয়েছিলেন—সেই জায়গা থেকে ১০ মিটার দূরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সভায় শহীদ রাব্বি হাসানের স্ত্রী তার স্বামীর স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য ‘শহীদ রাব্বি হাসান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে যেন কোনো ধরণের বৈষম্য না থাকে, যেখানে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সমানভাবে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন—সেটাই হবে শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।’
প্রস্তুতিমূলক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আলী আহমেদ, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান, জেলা জামায়াতের আমির এমবি বাকের, সাধারণ সম্পাদক সাইদ আহমেদ, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ এন কামরুল ইসলাম, মাগুরা জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের প্রধান সমন্বয়ক কাজী আশিক রহমানসহ জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাগুরার সাহসী সন্তানরা দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে জীবন দিয়েছেন। তাদের স্মৃতি ধরে রাখা আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে চাই—তাদের আত্মত্যাগ ছিল অর্থবহ, তারা ভুলে যাওয়ার নয়।”
সভা শেষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণসহ সার্বিক বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয় এবং সর্বসম্মতভাবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়।