মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষা শিখে দক্ষতা বাড়াতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ১২:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে
মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষা শিখে দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মায়ের ভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি অন্য এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সাক্ষরতার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে জনগণসহ সরকারি ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতা সম্পর্কে সচেতন ও উদীপ্ত করে তাদের মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর অন্যতম হলো শিক্ষা।
তিনি আরো বলেন, দেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ারও হচ্ছে শিক্ষা। নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক উভয় ধারার শিক্ষা কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
মায়ের ভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি অন্য এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, বহু ভাষায় সাক্ষরতালব্ধ জ্ঞান বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে দৃঢ় মেলবন্ধন তৈরি করে। আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনমান, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত হবে। এবছরের সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য তা অর্জনের দিকনির্দেশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতি গঠনের প্রধান বাহন শিক্ষা। আর শিক্ষার প্রথম সোপান সাক্ষরতা। আশা করি, সাক্ষরতার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সদা সচেষ্ট থাকবে। এজন্য আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য প্রমোটিং মাল্টিলিঙ্গুয়াল এডুকেশন: লিটারেসি ফর মিউচুয়াল আন্ডারস্টান্ডিং অ্যান্ড পিচ।
যা বাংলায় মূলভাব বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।