ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

মাত্র আট দিনের ব্যবধানে পিয়ারলেস হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর দুই ঘটনা!

এইচ,এন কামরুল ইসলাম, মাগুরা
  • আপডেট সময় : ৭৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আশ্চর্য হলেও সত্য, মাত্র আট দিনের ব্যবধানে মাগুরা পিয়ারলেস হাসপাতালে ঘটে গেল দুইটি ভিন্নধর্মী ও আলোচিত ঘটনা—যার একটি ঘিরে চলছে চরম বিতর্ক, অপরটি প্রশংসিত।
গতকাল ৬ জুলাই রোববার, মাগুরার আড়পাড়া সুপ্রিয়া ডায়গনস্টিক সেন্টারে নয়ন তারা নামে এক প্রসূতির আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্টে জানানো হয়, তার গর্ভে একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে পিয়ারলেস হাসপাতালের ডাক্তার অরুণ কান্তি ঘোষ আল্ট্রাসাউন্ড করে জানান, তার গর্ভে রয়েছে দুটি সন্তান। সেই অনুযায়ী ডাক্তার অখিল রঞ্জন বিশ্বাস সিজারিয়ান অপারেশন করে সফলভাবে দুটি নবজাতক সন্তান বের করেন এবং তা প্রসূতির স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এই ঘটনায় রোগীর স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
কিন্তু তার ঠিক আট দিন আগে, ২৮ জুন শনিবার, একই হাসপাতালে ঘটেছিল ঠিক বিপরীত এক ঘটনা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আরজিনা নামের এক প্রসূতির গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে বলে ডাক্তার অরুণ কান্তি ঘোষ আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডাক্তার তপন কুমার রায় সিজারিয়ান অপারেশন করে শুধু একটি শিশু পান।
এতে রোগীর স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা একটি নবজাতক চুরির অভিযোগ তোলে। এ ঘটনা নিয়ে পুরো জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
আশ্চর্যের বিষয় এই দুটি ঘটনার মধ্যে সময়ের ব্যবধান মাত্র আট দিনের অথচ ফলাফল একেবারেই বিপরীত। প্রথম ঘটনায় অভিযোগ ও অনাস্থার বাতাস বইছে অন্যদিকে দ্বিতীয় ঘটনায় চিকিৎসকদের দক্ষতা ও সততা প্রশংসিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিভ্রান্তি ও অভিযোগ এড়ানো যায় এবং রোগীদের আস্থা অটুট থাকে।
সতর্কতা ও পুঙ্খানুপুঙ্খ মেডিকেল পরীক্ষার গুরুত্ব আবারও সামনে চলে এসেছে এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাত্র আট দিনের ব্যবধানে পিয়ারলেস হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর দুই ঘটনা!

আপডেট সময় :

আশ্চর্য হলেও সত্য, মাত্র আট দিনের ব্যবধানে মাগুরা পিয়ারলেস হাসপাতালে ঘটে গেল দুইটি ভিন্নধর্মী ও আলোচিত ঘটনা—যার একটি ঘিরে চলছে চরম বিতর্ক, অপরটি প্রশংসিত।
গতকাল ৬ জুলাই রোববার, মাগুরার আড়পাড়া সুপ্রিয়া ডায়গনস্টিক সেন্টারে নয়ন তারা নামে এক প্রসূতির আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্টে জানানো হয়, তার গর্ভে একটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে পিয়ারলেস হাসপাতালের ডাক্তার অরুণ কান্তি ঘোষ আল্ট্রাসাউন্ড করে জানান, তার গর্ভে রয়েছে দুটি সন্তান। সেই অনুযায়ী ডাক্তার অখিল রঞ্জন বিশ্বাস সিজারিয়ান অপারেশন করে সফলভাবে দুটি নবজাতক সন্তান বের করেন এবং তা প্রসূতির স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এই ঘটনায় রোগীর স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
কিন্তু তার ঠিক আট দিন আগে, ২৮ জুন শনিবার, একই হাসপাতালে ঘটেছিল ঠিক বিপরীত এক ঘটনা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আরজিনা নামের এক প্রসূতির গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে বলে ডাক্তার অরুণ কান্তি ঘোষ আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডাক্তার তপন কুমার রায় সিজারিয়ান অপারেশন করে শুধু একটি শিশু পান।
এতে রোগীর স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা একটি নবজাতক চুরির অভিযোগ তোলে। এ ঘটনা নিয়ে পুরো জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
আশ্চর্যের বিষয় এই দুটি ঘটনার মধ্যে সময়ের ব্যবধান মাত্র আট দিনের অথচ ফলাফল একেবারেই বিপরীত। প্রথম ঘটনায় অভিযোগ ও অনাস্থার বাতাস বইছে অন্যদিকে দ্বিতীয় ঘটনায় চিকিৎসকদের দক্ষতা ও সততা প্রশংসিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এসব ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিভ্রান্তি ও অভিযোগ এড়ানো যায় এবং রোগীদের আস্থা অটুট থাকে।
সতর্কতা ও পুঙ্খানুপুঙ্খ মেডিকেল পরীক্ষার গুরুত্ব আবারও সামনে চলে এসেছে এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে।