মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে ফলকার টুর্ককে ড. ইউনূসের চিঠির
- আপডেট সময় : ০৬:১১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, গুম নিয়ে বাংলাদেশে একটি দীর্ঘ এবং বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। আমরা সহায়তার জন্য প্রস্তুত। এই কাজগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত।
গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতার যত ঘটনা ঘটেছে, সেসবের আনুষ্ঠানিক তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ককে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে (গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট) মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সহায়তা চাইলো ইউনূস সরকার।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের শীর্ষ নির্বাহী ভলকার তুর্ককে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।
সেই সঙ্গে গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সহিংসতার যত ঘটনা ঘটেছে, সেসবের আনুষ্ঠানিক তদন্তের অনুরোধও করেন তিনি। ভলকার তুর্ক এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে নিশ্চিয়তা না দিলেও আনুষ্ঠানিক তদন্তের ইস্যুতে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে রাভিনা শামদাসানি জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন অনুসন্ধান মিশন পরিচালনা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবেদন, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা এবং দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল পাঠাবে কমিশন। দলটি এ কাজে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
কাউকে গুম হওয়া থেকে রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানের ঘোষণা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের খোঁজ করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, গুম নিয়ে বাংলাদেশে একটি দীর্ঘ এবং বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। আমরা সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত আছি। এই কাজগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত।