ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দিনাজপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ এর উদ্যোগে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’র মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ উপকরণ বিতরণ Logo একটি দল নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে : মামুনুল হক Logo নাটোরে ৭ দিনব্যাপী ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন Logo টেকনাফে ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারী গ্রেফতার Logo মাদকের বিনিময়ে বাংলাদেশী পণ্য সামগ্রী পাচারকালে ৯ চোরাকারবারী আটক Logo ‘রাষ্ট্র অন্যায়ভাবে আদিবাসীদেরকে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ বলে” Logo টেকনাফে ইয়াবাসহ আটক ১ Logo বিদ্যুৎ বিল বকেয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা Logo শেরপুরে আন্ডারপাস ব্রীজের নিচ থেকে অবৈধ ব্যবসা উচ্ছেদ Logo কুয়াকাটায় যুবদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

মান্দায় ৬০ বস্তা সার আটক, ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি

কামরুল হাসান জীবন, নওগাঁ
  • আপডেট সময় : ৫০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় তিনটি ভটভটিতে করে অবৈধভাবে পরিবহনের সময় ৬০ বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ভারশোঁ বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়। এর আগে স্থানীয়রা সন্দেহজনকভাবে সার পরিবহন করতে দেখে ভটভটিগুলো থামিয়ে চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
কৃষি অফিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মান্দার দেলুয়াবাড়ি বাজারের তিনজন ডিলারের কাছ থেকে ২০ বস্তা টিএসপি ও ৪০ বস্তা এমওপি সার ক্রয় করা হয়। এগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে তিনটি ভটভটিতে করে রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালান্দো এলাকায় নেওয়া হচ্ছিল। দেলুয়াবাড়ি–চৌবাড়িয়া সড়কের মাঝপথে সার পরিবহনে অসঙ্গতি দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ভটভটিগুলো আটক করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিল নওরোজ বৈশাখ এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন। এ সময় টহলরত সেনাবাহিনীও সেখানে পৌঁছায়। তবে সার পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ক্রেতা বা মালিককে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা প্রশাসন সারগুলো জব্দ করে কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, ডিলারদের কাছে তারা প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার পান না। অথচ ডিলাররা অধিক মুনাফার আশায় বাইরের উপজেলার কৃষকদের কাছে বেশি দামে কালোবাজারে সার বিক্রি করছে। কৃষি দপ্তরের পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় এই ধরনের অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলছে বলে কৃষকদের দাবি। এ ব্যাপারে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তারা।
মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে—সারগুলো স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকেই বাইরের উপজেলার ক্রেতারা কিনেছিলেন। কিন্তু ক্রেতারা ঘটনাস্থলে না থাকায় কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। জব্দ করা সার ন্যায্যমূল্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে এর অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মান্দায় ৬০ বস্তা সার আটক, ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি

আপডেট সময় :

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় তিনটি ভটভটিতে করে অবৈধভাবে পরিবহনের সময় ৬০ বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ভারশোঁ বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়। এর আগে স্থানীয়রা সন্দেহজনকভাবে সার পরিবহন করতে দেখে ভটভটিগুলো থামিয়ে চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
কৃষি অফিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মান্দার দেলুয়াবাড়ি বাজারের তিনজন ডিলারের কাছ থেকে ২০ বস্তা টিএসপি ও ৪০ বস্তা এমওপি সার ক্রয় করা হয়। এগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে তিনটি ভটভটিতে করে রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালান্দো এলাকায় নেওয়া হচ্ছিল। দেলুয়াবাড়ি–চৌবাড়িয়া সড়কের মাঝপথে সার পরিবহনে অসঙ্গতি দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ভটভটিগুলো আটক করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিল নওরোজ বৈশাখ এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন। এ সময় টহলরত সেনাবাহিনীও সেখানে পৌঁছায়। তবে সার পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ক্রেতা বা মালিককে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা প্রশাসন সারগুলো জব্দ করে কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, ডিলারদের কাছে তারা প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার পান না। অথচ ডিলাররা অধিক মুনাফার আশায় বাইরের উপজেলার কৃষকদের কাছে বেশি দামে কালোবাজারে সার বিক্রি করছে। কৃষি দপ্তরের পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় এই ধরনের অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলছে বলে কৃষকদের দাবি। এ ব্যাপারে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তারা।
মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে—সারগুলো স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকেই বাইরের উপজেলার ক্রেতারা কিনেছিলেন। কিন্তু ক্রেতারা ঘটনাস্থলে না থাকায় কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। জব্দ করা সার ন্যায্যমূল্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে এর অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।