ঢাকা ০৪:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

সমকামী সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে রক্তাক্ত পরিণতি

মুক্তাগাছায় বোন জামাই খুনের রহস্য ফাঁস

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৬২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুক্তাগাছার শ্রীপুর মাইজহাটি গ্রামে স্ত্রীর বড় ভাইয়ের হাতে ছোট বোন জামাই আহাদ আলী (৬৫) খুন হওয়ার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। মূলত দুই বৃদ্ধের মাঝে সমকামীতার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সেই সমকামীতা সম্পর্কের দ্বন্দ্বেই বৃদ্ধ ফজলুল হকের(৬৭) ছুরিকাঘাতে খুন হন অপর বৃদ্ধ বোন জামাই আহাদ আলী। গতকাল শনিবার দুপুরে বোন জামাইয়ের হন্তারক ফুজলুক হককে গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে খুনের প্রকৃত রহস্য। এসময় পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আসামীকে বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) রাত ১১ টার দিকে শ্রীপুর মাইজহাটি গ্রামে নিজ বাসার গেইটের সামনে স্ত্রীর বড় ভাইয়ের হাতে খুন হন আহাদ আলী।
শনিবার দুপুরে তাকে উপজেলার শ্রীপুর নতুন বাজার থেকে গ্রেফতার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, নিহত আহাদ আলী ও ফজলুল হক একই বাড়িতে থাকতেন। মৃত আহাদ আলী ব্যক্তিগত জীবনে প্রকৃতি নিয়মের বাহিরে যৌনকার্য করত বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গ্রেফতার ফজলুল হক। গত ৭ অক্টোবার ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার রাত অনুমান ১১ টার সময় সে(ফজলুল হক) বাড়ির বাইরে থেকে আড্ডা দিয়ে তার নিজ বাড়ির গেইটের সামনে আসলে তার ভগ্নিপতি আহাদ আলী বাড়ীর গেইট খুলে দেয়। এসময় আহাদ আলী আশেপাশে কোন লোকজন নাই উল্লেখ করে ফজলুল হকের সাথে প্রকৃতির নিয়মের বাইরে যৌনকার্য(সমকামীতা) করার জন্য প্রস্তাব দেয়। এতে ফজলুল হক অস্বীকার করলে আহাদ আলী তার লুঙ্গীর ভাজ হতে চাকু বের করে ভয় দেখিয়ে বলে এখনই এ কাজ করতে হবে। ফজলুল হক তাতে রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে ঠেলাধাক্কা ও হাতাহাতি হয়। হাতাতির এক পর্যায়ে ফজলুল হক তার ছোট বোন জামাই আহাদ আলীর হাত থেকে চাকু কেড়ে নেয়। এসময় তোরে শিক্ষা দিবো বলে হাতের চাকু দিয়ে আহাদ আলীর পেটে উপর্যুপুরি আঘাত করে। এতে তার ভুড়ি বের হয়ে যায়। পরে আহত ভগ্নিপতিকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গ্রেফতার ফজলুল হক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করে। পুলিশ সুষ্টু তদন্তের স্বার্থে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করার জন্য আদালতে সোপর্দ করে।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ জানান, শনিবার আসামীকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য দিয়েছে। তার তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সমকামী সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে রক্তাক্ত পরিণতি

মুক্তাগাছায় বোন জামাই খুনের রহস্য ফাঁস

আপডেট সময় :

মুক্তাগাছার শ্রীপুর মাইজহাটি গ্রামে স্ত্রীর বড় ভাইয়ের হাতে ছোট বোন জামাই আহাদ আলী (৬৫) খুন হওয়ার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। মূলত দুই বৃদ্ধের মাঝে সমকামীতার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সেই সমকামীতা সম্পর্কের দ্বন্দ্বেই বৃদ্ধ ফজলুল হকের(৬৭) ছুরিকাঘাতে খুন হন অপর বৃদ্ধ বোন জামাই আহাদ আলী। গতকাল শনিবার দুপুরে বোন জামাইয়ের হন্তারক ফুজলুক হককে গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে খুনের প্রকৃত রহস্য। এসময় পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আসামীকে বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) রাত ১১ টার দিকে শ্রীপুর মাইজহাটি গ্রামে নিজ বাসার গেইটের সামনে স্ত্রীর বড় ভাইয়ের হাতে খুন হন আহাদ আলী।
শনিবার দুপুরে তাকে উপজেলার শ্রীপুর নতুন বাজার থেকে গ্রেফতার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, নিহত আহাদ আলী ও ফজলুল হক একই বাড়িতে থাকতেন। মৃত আহাদ আলী ব্যক্তিগত জীবনে প্রকৃতি নিয়মের বাহিরে যৌনকার্য করত বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গ্রেফতার ফজলুল হক। গত ৭ অক্টোবার ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার রাত অনুমান ১১ টার সময় সে(ফজলুল হক) বাড়ির বাইরে থেকে আড্ডা দিয়ে তার নিজ বাড়ির গেইটের সামনে আসলে তার ভগ্নিপতি আহাদ আলী বাড়ীর গেইট খুলে দেয়। এসময় আহাদ আলী আশেপাশে কোন লোকজন নাই উল্লেখ করে ফজলুল হকের সাথে প্রকৃতির নিয়মের বাইরে যৌনকার্য(সমকামীতা) করার জন্য প্রস্তাব দেয়। এতে ফজলুল হক অস্বীকার করলে আহাদ আলী তার লুঙ্গীর ভাজ হতে চাকু বের করে ভয় দেখিয়ে বলে এখনই এ কাজ করতে হবে। ফজলুল হক তাতে রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে ঠেলাধাক্কা ও হাতাহাতি হয়। হাতাতির এক পর্যায়ে ফজলুল হক তার ছোট বোন জামাই আহাদ আলীর হাত থেকে চাকু কেড়ে নেয়। এসময় তোরে শিক্ষা দিবো বলে হাতের চাকু দিয়ে আহাদ আলীর পেটে উপর্যুপুরি আঘাত করে। এতে তার ভুড়ি বের হয়ে যায়। পরে আহত ভগ্নিপতিকে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গ্রেফতার ফজলুল হক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করে। পুলিশ সুষ্টু তদন্তের স্বার্থে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করার জন্য আদালতে সোপর্দ করে।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ জানান, শনিবার আসামীকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য দিয়েছে। তার তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।