ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় সভা Logo দিনাজপুরে ৭ দফা দাবিতে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভা Logo কুষ্টিয়ায় মামা ভাগ্নেকে কুপিয়ে হত্যা Logo শ্যামনগর মাহমুদপুর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফুটবল উপহার দিলো উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাব Logo শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড মাত্র ৫ মাসেই মামলার রায় Logo মুকসুদপুরে বিএডিসি’র গুদামের সহকারী ভান্ডার কর্মকর্তা অনির্বাণ কীর্তনীয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ Logo নগরকান্দা পৌর বাজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত Logo গোলাপগঞ্জে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার Logo নরসিংদীতে চাচার হাতে দুই ভাতিজা খুন Logo বাহুবলে ১৬টি ডাকাতি মামলার আসামি ডাকাত জামালের লাশ উদ্ধার!

মুক্তাগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক আহত দুই

রিপন সারওয়ার, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৭৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণ মোটরসাইকেল চালক। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। শনিবার দুপুরে উপজেলার পূর্বপাশে আরকে হাই স্কুল খেলার মাঠের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম অনন্ত খান (১৮)। তিনি মুক্তাগাছার আমোদপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী লিটন খানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, অনন্ত খান দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক পথচারী। বেপরোয়া গতির কারণে অনন্ত তাকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনন্ত খান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আহত অপর দুইজন—জসিম উদ্দিন (২৮) ও আরিফ (২৫) বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত অনন্ত এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছোট ছেলেকে হারিয়ে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন মা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবা লিটন খানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
মুক্তাগাছা থানার ওসি তদন্ত রিপন গোপ বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা দ্রুত গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। একটি প্রাণ ঝরে গেল, শোকে মুহ্যমান পরিবার। অনন্তর অকাল প্রয়াণ শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো এলাকাবাসীর জন্যই এক গভীর বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুক্তাগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক আহত দুই

আপডেট সময় :
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক তরুণ মোটরসাইকেল চালক। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। শনিবার দুপুরে উপজেলার পূর্বপাশে আরকে হাই স্কুল খেলার মাঠের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম অনন্ত খান (১৮)। তিনি মুক্তাগাছার আমোদপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী লিটন খানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, অনন্ত খান দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক পথচারী। বেপরোয়া গতির কারণে অনন্ত তাকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনন্ত খান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আহত অপর দুইজন—জসিম উদ্দিন (২৮) ও আরিফ (২৫) বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত অনন্ত এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছোট ছেলেকে হারিয়ে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন মা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবা লিটন খানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
মুক্তাগাছা থানার ওসি তদন্ত রিপন গোপ বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা দ্রুত গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। একটি প্রাণ ঝরে গেল, শোকে মুহ্যমান পরিবার। অনন্তর অকাল প্রয়াণ শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো এলাকাবাসীর জন্যই এক গভীর বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।