ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

মেদ- ভুঁড়ি কমাতে যা করবেন

গণমুক্তি হেলথ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রক্তে শর্করার মাত্রা থেকে ঋতুস্রাবে হরমোনের প্রভাব, সব কিছুর চাবিকাঠি মেটাবলিক রেটের হাতে

ওজন ঝরানোর সঙ্গে মেটাবলিজ়ম বা বিপাকহারের (রাসায়নকি প্রক্রিয়া) গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিপাক হল এক ধরনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে শরীর। কার বিপাকহার কেমন হবে, তা খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের উপর অনেকটাই নির্ভর করে।

দিন দিন ভুঁড়ি বেড়েই চলেছে? সকালে উঠে খালি পেটে কী কী খেলে ওজন কমবে?
এমন কিছু খাবার আছে, যা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে বাড়বে বিপাকহার, কমবে ওজন।

সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজন উন্নত হজম প্রক্রিয়া। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার পিছনেও নাকি দায়ী সেই বিপাকহার।

এই বিপাকহারের উপর নির্ভর করে প্রায় সব শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। রক্তে শর্করার মাত্রা থেকে ঋতুস্রাবে হরমোনের প্রভাব, সব কিছুর চাবিকাঠি মেটাবলিক রেটের হাতে। শরীর সুস্থ রাখতে এবং একসঙ্গে এত কিছু সামাল দিতে গেলে দেহের বিপাকহার ভাল করতেই হবে। সাধারণ কিছু খাবার দিয়ে এই বিপাকহারের মান উন্নত করা যায়। কিন্তু কী ভাবে?

সকাল শুরু করছেন কী ভাবে, তার উপর নির্ভর করছে সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। তাড়াহুড়ো করে অফিস যাওয়া, তার পর অফিসের বিপুল চাপ তার হাত ধরে মানসিক উদ্বেগ সব মিলিয়ে ক্লান্তি যেন ঘিরে ধরে। বাড়ি ফিরতেই জমিয়ে সিনেমা দেখতে বসার বদলে ঘুমে চোখ ঢুলে আসে। এমন ভাবেই কেটে যায় অনেকগুলি দিন।

 

তাই সকাল শুরু করতে হবে একটু অন্য ভাবে। সকালের রুটিনের উপর নির্ভর করে ওজন আদৌ বশে থাকবে কি না। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলাও ওজন কমানোর একটি উপায়। এমন কিছু খাবার আছে, যা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে বাড়বে বিপাকহার, ঝরবে ওজন।

চিয়া বীজ: চিয়া বীজের প্রায় অর্ধেকটা জুড়েই রয়েছে ফাইবার। যা অন্ত্রের জন্য ভাল। অন্ত্রের সঙ্গে যেহেতু বিপাকক্রিয়ার যোগ রয়েছে, তাই শারীরবৃত্তীয় অনেক কর্মকাণ্ডই স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে চিয়া। ভেজা চিয়া বীজ বেশ ভারী হয়ে যায়। একারণে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে চিয়া বীজ। তাই অতিরিক্ত ক্যালোরি যাওয়ার ভয়ও থাকে না।

তিসির বীজ: হজমের সমস্যা থাকলে তা নিরাময় করবে ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি বীজ। সারা রাত জলে তিসির বীজ ভিজিয়ে রাখলে তার পুষ্টিগুণ অনেক বে়ড়ে যায়। তিসির বীজে ভাল মাত্রায় ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। ওজন ঝরাতে এই দুই উপাদান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

কাঠবাদাম: রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই ভরসা রাখেন এই বাদামের উপর। কাঠবাদাম পেট ভর্তি রাখে দীর্ঘ ক্ষণ। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এ ছাড়া, কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফলে হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর জুড়ি মেলা ভার। রোজ সকালে ভেজানো কাঠবাদাম খেয়ে দিন শুরু করলে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

ওট্স: বানানোর পদ্ধতিও সহজ এবং পুষ্টিকর। যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা রোজ সকালে ওট্স খেতে পারেন। এই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। ওট্সে ক্যালোরির মাত্রাও অত্যন্ত কম। এতে প্রচুর ফাইবার আছে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওট্স খেলে। সারা রাত ওট্স ভিজিয়ে রেখে সকালে তার সঙ্গে কিছু ড্রাইফ্রুট্স মিশিয়ে খেতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মেদ- ভুঁড়ি কমাতে যা করবেন

আপডেট সময় : ০১:২২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

রক্তে শর্করার মাত্রা থেকে ঋতুস্রাবে হরমোনের প্রভাব, সব কিছুর চাবিকাঠি মেটাবলিক রেটের হাতে

ওজন ঝরানোর সঙ্গে মেটাবলিজ়ম বা বিপাকহারের (রাসায়নকি প্রক্রিয়া) গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিপাক হল এক ধরনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে শরীর। কার বিপাকহার কেমন হবে, তা খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের উপর অনেকটাই নির্ভর করে।

দিন দিন ভুঁড়ি বেড়েই চলেছে? সকালে উঠে খালি পেটে কী কী খেলে ওজন কমবে?
এমন কিছু খাবার আছে, যা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে বাড়বে বিপাকহার, কমবে ওজন।

সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজন উন্নত হজম প্রক্রিয়া। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার পিছনেও নাকি দায়ী সেই বিপাকহার।

এই বিপাকহারের উপর নির্ভর করে প্রায় সব শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। রক্তে শর্করার মাত্রা থেকে ঋতুস্রাবে হরমোনের প্রভাব, সব কিছুর চাবিকাঠি মেটাবলিক রেটের হাতে। শরীর সুস্থ রাখতে এবং একসঙ্গে এত কিছু সামাল দিতে গেলে দেহের বিপাকহার ভাল করতেই হবে। সাধারণ কিছু খাবার দিয়ে এই বিপাকহারের মান উন্নত করা যায়। কিন্তু কী ভাবে?

সকাল শুরু করছেন কী ভাবে, তার উপর নির্ভর করছে সারা দিন শরীরের হাল কেমন থাকবে। তাড়াহুড়ো করে অফিস যাওয়া, তার পর অফিসের বিপুল চাপ তার হাত ধরে মানসিক উদ্বেগ সব মিলিয়ে ক্লান্তি যেন ঘিরে ধরে। বাড়ি ফিরতেই জমিয়ে সিনেমা দেখতে বসার বদলে ঘুমে চোখ ঢুলে আসে। এমন ভাবেই কেটে যায় অনেকগুলি দিন।

 

তাই সকাল শুরু করতে হবে একটু অন্য ভাবে। সকালের রুটিনের উপর নির্ভর করে ওজন আদৌ বশে থাকবে কি না। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলাও ওজন কমানোর একটি উপায়। এমন কিছু খাবার আছে, যা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে বাড়বে বিপাকহার, ঝরবে ওজন।

চিয়া বীজ: চিয়া বীজের প্রায় অর্ধেকটা জুড়েই রয়েছে ফাইবার। যা অন্ত্রের জন্য ভাল। অন্ত্রের সঙ্গে যেহেতু বিপাকক্রিয়ার যোগ রয়েছে, তাই শারীরবৃত্তীয় অনেক কর্মকাণ্ডই স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে চিয়া। ভেজা চিয়া বীজ বেশ ভারী হয়ে যায়। একারণে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে চিয়া বীজ। তাই অতিরিক্ত ক্যালোরি যাওয়ার ভয়ও থাকে না।

তিসির বীজ: হজমের সমস্যা থাকলে তা নিরাময় করবে ফ্ল্যাক্স সিড বা তিসি বীজ। সারা রাত জলে তিসির বীজ ভিজিয়ে রাখলে তার পুষ্টিগুণ অনেক বে়ড়ে যায়। তিসির বীজে ভাল মাত্রায় ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। ওজন ঝরাতে এই দুই উপাদান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

কাঠবাদাম: রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই ভরসা রাখেন এই বাদামের উপর। কাঠবাদাম পেট ভর্তি রাখে দীর্ঘ ক্ষণ। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। এ ছাড়া, কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফলে হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর জুড়ি মেলা ভার। রোজ সকালে ভেজানো কাঠবাদাম খেয়ে দিন শুরু করলে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

ওট্স: বানানোর পদ্ধতিও সহজ এবং পুষ্টিকর। যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা রোজ সকালে ওট্স খেতে পারেন। এই খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। ওট্সে ক্যালোরির মাত্রাও অত্যন্ত কম। এতে প্রচুর ফাইবার আছে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে ওট্স খেলে। সারা রাত ওট্স ভিজিয়ে রেখে সকালে তার সঙ্গে কিছু ড্রাইফ্রুট্স মিশিয়ে খেতে পারেন।