ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে মুক্তাগাছায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান Logo স্ত্রীর ধোঁকায় যুবকের আত্মহনন Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo রাজবাড়ীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন Logo মাছরাঙা টেলিভিশনের বান্দরবানে ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপন Logo ভাণ্ডারিয়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ Logo নগরকান্দা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ ও পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি Logo দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ২ জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান Logo শিবগঞ্জে নদীগর্ভে প্রায় ৮০টি বাড়ি, ঝুকিতে শতাধিক পরিবার

মোংলাকে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা

মনির হোসেন, মোংলা
  • আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলাকে আমদানি নির্ভর সমুদ্র বন্দর বলা হলেও পদ্মা সেতু চালুর পর এ বন্দর দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে দেশীয় তৈরী পোষাক, মেশিনারিজ মালামাল, খেলনা সামগ্রীসহ আরো বিভিন্ন ধরনের পণ্য। চট্রগ্রামের মত মোংলা বন্দরকে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সময়মত বন্দরের জেটিতে জাহাজ আগমন, কন্টেইনার ভাড়া কমানো, মোংলা- খুলনা মহাসড়কর চার লেনে উন্নীত করনের পাশাপাশি বন্দরের ট্যারিফ চার্জ আরো কমানো হলে মোংলা বন্দর দ্রুত গতিতে একটি রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানান, মোংলা বন্দরে পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষের হয়রানি। এ বন্দরে পণ্য আনার পর সেই পণ্য শতভাগ কায়িক পরিক্ষার নামে অনেক পণ্যের বাক্স নষ্ট করা হয়। পরবর্তীতে সেই পণ্য আর ডেলিভারী করা সম্ভব হয় না। এতে ক্ষতি হয় আমদানি রপ্তানিকারকদের। এজন্য মোংলা বন্দর ব্যবহারে কেউ আগ্রহী হয় না। পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা আরো সহজ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
বন্দর ব্যবহারকারী ও শিপিং এজেন্টদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্দরে বিদেশি জাহাজের আগমন বাড়াতে পারলে এখান থেকে শতভাগ পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে বিশেষ করে এক মাসে ১০টি কন্টেইনার জাহাজ এবং অন্যান্য মেশিনারিজ জাহাজ বন্দরে আসলে শতভাগ না হলেও মোংলা ইপিজেডসহ অন্যান্য কারখানায় উৎপাদিত ৭০ ভাগ পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দর দিয়ে ৩০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। বিশেষ করে তৈরী পোষাক এখন এই বন্দর দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়।
বন্দরের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং শেষ হলে বড় জাহাজগুলো জেটিতে ভিড়তে পারবে। তখন আমাদের বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি আরো বাড়বে। পাশাপাশি মোংলা-খুলনা মহাসড়কের চার লেনের কাজ সমাপ্ত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি ফিরবে। তখন চট্রগ্রামের বিকল্প হিসেবে মোংলা বন্দর দিয়েই শতভাগ পণ্য রপ্তানি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মোংলাকে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা

আপডেট সময় :

দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলাকে আমদানি নির্ভর সমুদ্র বন্দর বলা হলেও পদ্মা সেতু চালুর পর এ বন্দর দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে দেশীয় তৈরী পোষাক, মেশিনারিজ মালামাল, খেলনা সামগ্রীসহ আরো বিভিন্ন ধরনের পণ্য। চট্রগ্রামের মত মোংলা বন্দরকে শতভাগ রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সময়মত বন্দরের জেটিতে জাহাজ আগমন, কন্টেইনার ভাড়া কমানো, মোংলা- খুলনা মহাসড়কর চার লেনে উন্নীত করনের পাশাপাশি বন্দরের ট্যারিফ চার্জ আরো কমানো হলে মোংলা বন্দর দ্রুত গতিতে একটি রপ্তানিমুখী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বন্দর সংশ্লিষ্ট আমদানি-রপ্তানিকারকরা জানান, মোংলা বন্দরে পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষের হয়রানি। এ বন্দরে পণ্য আনার পর সেই পণ্য শতভাগ কায়িক পরিক্ষার নামে অনেক পণ্যের বাক্স নষ্ট করা হয়। পরবর্তীতে সেই পণ্য আর ডেলিভারী করা সম্ভব হয় না। এতে ক্ষতি হয় আমদানি রপ্তানিকারকদের। এজন্য মোংলা বন্দর ব্যবহারে কেউ আগ্রহী হয় না। পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রণীত নীতিমালা আরো সহজ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
বন্দর ব্যবহারকারী ও শিপিং এজেন্টদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্দরে বিদেশি জাহাজের আগমন বাড়াতে পারলে এখান থেকে শতভাগ পণ্য রপ্তানি করা যেতে পারে বিশেষ করে এক মাসে ১০টি কন্টেইনার জাহাজ এবং অন্যান্য মেশিনারিজ জাহাজ বন্দরে আসলে শতভাগ না হলেও মোংলা ইপিজেডসহ অন্যান্য কারখানায় উৎপাদিত ৭০ ভাগ পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর মোংলা বন্দর দিয়ে ৩০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। বিশেষ করে তৈরী পোষাক এখন এই বন্দর দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়।
বন্দরের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, পশুর চ্যানেলের ড্রেজিং শেষ হলে বড় জাহাজগুলো জেটিতে ভিড়তে পারবে। তখন আমাদের বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি আরো বাড়বে। পাশাপাশি মোংলা-খুলনা মহাসড়কের চার লেনের কাজ সমাপ্ত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি ফিরবে। তখন চট্রগ্রামের বিকল্প হিসেবে মোংলা বন্দর দিয়েই শতভাগ পণ্য রপ্তানি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা।