ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ ও মাহফুজ আলমের স্ট্যাটাসে উদ্বিগ্ন ভারত

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১৫১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন। ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক স্ট্যাটাসে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত সরকার। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে একটি প্রটেস্ট নোট পাঠিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহের বিষয়টি ভারত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নোটে নিয়েছে। সেই সঙ্গে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়টিও গোচরীভূত হয়েছে।

এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ রেখে ভারত সরকার বলেছে, দুই দেশ যখন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একের পর এক ইতিবাচক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ এবং দায়িত্বশীল পদে থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের আধিপত্যবাদী মনোভাবের প্রকাশ সম্বলিত ফেসবুক স্ট্যাটাস উদ্বেগজনক।

এবার বিজয় দিবসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় ছিল ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়। পোস্টে তিনি বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেননি। পরে মোদির ওই পোস্ট নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সরব হয়ে উঠেন।

নরেন্দ্র মোদির পোস্টের প্রতিবাদে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ওইদিন মিছিল শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের ধারাবাহিকতায় যে বাংলাদেশ হয়েছে, সেই ভূখণ্ডকে ‘খণ্ডিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, নতুন ভূখণ্ড ও বন্দোবস্ত লাগবে।

তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয় এবং উপদেষ্টা মাহফুজ বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে পরে কোনো ব্যাখ্যাও দেননি উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ ও মাহফুজ আলমের স্ট্যাটাসে উদ্বিগ্ন ভারত

আপডেট সময় :

 

বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক স্ট্যাটাসে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত সরকার। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে একটি প্রটেস্ট নোট পাঠিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহের বিষয়টি ভারত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নোটে নিয়েছে। সেই সঙ্গে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়টিও গোচরীভূত হয়েছে।

এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ রেখে ভারত সরকার বলেছে, দুই দেশ যখন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একের পর এক ইতিবাচক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ এবং দায়িত্বশীল পদে থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের আধিপত্যবাদী মনোভাবের প্রকাশ সম্বলিত ফেসবুক স্ট্যাটাস উদ্বেগজনক।

এবার বিজয় দিবসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় ছিল ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়। পোস্টে তিনি বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেননি। পরে মোদির ওই পোস্ট নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সরব হয়ে উঠেন।

নরেন্দ্র মোদির পোস্টের প্রতিবাদে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ওইদিন মিছিল শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের ধারাবাহিকতায় যে বাংলাদেশ হয়েছে, সেই ভূখণ্ডকে ‘খণ্ডিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, নতুন ভূখণ্ড ও বন্দোবস্ত লাগবে।

তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয় এবং উপদেষ্টা মাহফুজ বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে পরে কোনো ব্যাখ্যাও দেননি উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।