গিলে খাচ্ছে বনাঞ্চল
যত্রতত্র গঠে উঠছে অনুমোদনহীন করাতকল, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

- আপডেট সময় : ১৬ বার পড়া হয়েছে
বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লোহাগাড়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে অনুমোদনহীন করাত কল। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কোনো ধরনের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই বন বিভাগের যোগসাজশে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক করাতকল।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহাসড়ক ও বনের পাশে এভাবে লাইসেন্স ও ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ করাতকল গড়ে উঠেছে। আর বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবে।
করাতকল বিধিমালা ২০১২ তে বলা আছে, কোন সরকারীন অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটারের মধ্যে কোন করাতকল স্থাপন করা যাবে না।
বন আইন অনুযায়ী বন বিভাগের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ এইসব আইন ও নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলার পুটিবিলা, কলাউজান, পদুয়া, বড়হাতিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭৫ টি করাতকল গড়ে ওঠে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরদারি না থাকায় এ উপজেলায় করাতকলের ছড়াছড়ি। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ এবং ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বনাঞ্চল। অবৈধ করাতকলগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
করাতকলের মালিক পক্ষ বলছেন, মিল চালানোর জন্য কিছু কিছু দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। এরমধ্যে এক দপ্তর থেকে অনুমোদন পেলেও অন্য দপ্তর থেকে অনুমোদন দেয় না। এভাবেই চলছে করাতকলগুলো।
পদুয়া রেঞ্জ বন বিভাগের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, নতুন যোগদান করায় পদুয়া রেঞ্জের অধীনে কয়টি করাতকল আছে তার জানা নেই। তবে কিছু করাতকলের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। করাতকলের অনুমোদন থাকলেও মেয়াদ নেই এবং অবৈধ করাতকলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘করাতকল চালানোর কাগজপত্রের বৈধতা যাচাই বাছাই করা হবে এবং অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। বন কর্মকর্তাদের আরো বেশী সচেতন হতে হবে।’