ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিএনপির সংবাদ সম্মেলন Logo রাজশাহী বিএনপির নতুন নেতৃত্বে মামুন-রিটন Logo সুন্দরগঞ্জে গরু চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, এক নারী আটক Logo ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ-কাজী নাজমুল হোসেন তাপস Logo শেরপুর জেলার বরবটি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে,কৃষকের মূখে হাসি Logo রামগতিতে অর্থের অভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেনা, স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া Logo মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের আসামিরা উপদেষ্টার হেফাজতে, আসামি ধরছে না পুলিশ Logo জয়পুরহাটে অসময়ে টানা তিনদিনের বৃষ্টি, আমন-সবজির ক্ষতির আশঙ্কা Logo আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক Logo পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্য তহবিলে জামায়াতের ১০ লাখ টাকা অনুদান

যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা, পুলিশের জলকামান ও লাঠিচার্জ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১৮১ বার পড়া হয়েছে

গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি জলকামান ব্যবহার করে -গণমুক্তি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তৃতীয় ধাপে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ করা হয়েছে। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন তারা। দীর্ঘদিনেও দাবি আদায়ের বিষয়ে ন্যূনতম আশ্বাস না পাওয়ায় তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আগে থেকেই কদম ফোয়ারা মোড়ে সতর্ক অবস্থায় ছিল পুলিশ। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মিছিলটি কদম ফোয়ারা কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে, এতজনকে একসঙ্গে নিয়ে বাসভবনের সামনে যাওয়া সুযোগ নেই। আপনারা চাইলে কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু তারা রাজি হননি। পরে বাধা উপেক্ষা করে তারা সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে। তাতেও ফেরানো যায়নি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সারা বাংলাদেশের তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া চলমান যোগ্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা অবস্থান করছি। ২০১৩ সালে সারা বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও সমযোগ্যতা থাকার পরেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সারা বাংলাদেশের চলমান যোগ্য ৪ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। এরই সঙ্গে প্রায় ৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী তাদের মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০১৮ সালে ১৮ দিন, ২০১৯ সালে ৫৬ দিন, ২০২৪ সালে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি। ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি আন্দোলনের ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা হয়। এই চিঠি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা, পুলিশের জলকামান ও লাঠিচার্জ

আপডেট সময় :

তৃতীয় ধাপে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর পুলিশ জলকামান ও লাঠিচার্জ করা হয়েছে। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন তারা। দীর্ঘদিনেও দাবি আদায়ের বিষয়ে ন্যূনতম আশ্বাস না পাওয়ায় তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আগে থেকেই কদম ফোয়ারা মোড়ে সতর্ক অবস্থায় ছিল পুলিশ। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মিছিলটি কদম ফোয়ারা কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে, এতজনকে একসঙ্গে নিয়ে বাসভবনের সামনে যাওয়া সুযোগ নেই। আপনারা চাইলে কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু তারা রাজি হননি। পরে বাধা উপেক্ষা করে তারা সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে। তাতেও ফেরানো যায়নি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সারা বাংলাদেশের তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া চলমান যোগ্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা অবস্থান করছি। ২০১৩ সালে সারা বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও সমযোগ্যতা থাকার পরেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সারা বাংলাদেশের চলমান যোগ্য ৪ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। এরই সঙ্গে প্রায় ৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী তাদের মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০১৮ সালে ১৮ দিন, ২০১৯ সালে ৫৬ দিন, ২০২৪ সালে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি। ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি আন্দোলনের ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা হয়। এই চিঠি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।