ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জনতার বিক্ষোভে পুলিশ অবরুদ্ধ Logo পাথরঘাটায় প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আন্দোলন Logo সাভারে বাবাকে হত্যার পর মেয়ের আত্মসমর্পণ Logo বদলগাছীতে ব্রিজের নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮৪ প্যাকেট মাংস উদ্ধার Logo সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অ্যালকোহল পানে দু’জনের মৃত্যু Logo ঔষধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য নওগাঁর রোগীদের কাছে দিনদিন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে Logo ভারতীয় হামলার কঠোর জবাব দিলো পাকিস্তান Logo খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা, রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ Logo কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে বর্ণিল সাজে সেজেছে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি শাহজাদপুরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo মানবিক করিডোরের চেয়ে রাখাইনে সেফ জোন করলে  রোহিঙ্গা সংকট কাটবে

রমজান পরবর্তী মসলাদার ভারী খাবার খেলে কি হয়, জানুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ ৪৮১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মুসলিম ধর্মাবলম্বি মানুষ দীর্ঘ একমাত্র পবিত্র রোজান পালন করে থাকেন। ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লম্বা সময় না খেয়ে কাটানোর এক অভ্যস্ত হয়ে ওঠে একমাসে।

রোজা পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হয়।

পুষ্ঠি বিজ্ঞানীরা মতে, রোজার পর হঠাৎ মসলাদার ভারি খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের বদহজম, গ্যাসের সমস্যা, কারও ডায়রিয়া হবার আশঙ্কা থাকে।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কারও কারও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গ থেকে কি ভাবে নিজেকে মুক্ত রাখবেন, চলুন জেনে নিই।

একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চিবিয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে।

খাবারের আধঘণ্টা আগে বা পরে পানি খেতে হবে। খাবার গ্রহণকালে অতিরিক্ত পানি খাওয়া ঠিক নয়।

গরমের সময় তৈরি খাবার বেশিক্ষণ বাইরে রাখা ঠিক নয়। সম্ভব হলে খাবার ফ্রিজে রাখুন।

এসময়টাতে খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার রাখতে হবে।

ফুলকপি, বাঁধাকপি, ভুট্টা, কর্নফ্লেকস খেলে অনেকের হজমের সমস্যা হতে পারে।

খাওয়া শেষে করেই বিছানায় গেলে খাবার হজমে সমস্যা হয়, এই বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরী। রাতের খাবার আটা নাগাদ সেরে ফেলা ভালো।

ভারী খাবার শেষে নিয়ম করে কিছুক্ষণ হাঁটলে ভালো। হাঁটা শেষে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে শুয়ে পড়ুন। ভারী খাবার শেষে ঘরে তৈরি বোরহানি বা জিরাপানি খেতে যেতে পারে।

বদহজম হলে করনীয় :

কারও যদি বদহজম হয় বা গ্যাস হয়, সেক্ষেত্রে আরাম দিতে পারে জিরাপানি বা টক দই। আদা-চায়েও অনেকটা আরাম দিতে পারে। সকালে খালি পেটে ঘর থেকে বেরুনোর অভ্যস ত্যাগ করতে হবে।

অ্যাসিডিটির ওষুধে বদহজম নিরাময় হলেও অনেক দিন এ ধরণের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যদি ডায়রিয়া বা বারবার টয়লেট হয়, সেক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে হবে।

এসময় দুধ ও শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচকলা এ ক্ষেত্রে উপকারী। কোন কোন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রমজান পরবর্তী মসলাদার ভারী খাবার খেলে কি হয়, জানুন

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

 

মুসলিম ধর্মাবলম্বি মানুষ দীর্ঘ একমাত্র পবিত্র রোজান পালন করে থাকেন। ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লম্বা সময় না খেয়ে কাটানোর এক অভ্যস্ত হয়ে ওঠে একমাসে।

রোজা পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হয়।

পুষ্ঠি বিজ্ঞানীরা মতে, রোজার পর হঠাৎ মসলাদার ভারি খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের বদহজম, গ্যাসের সমস্যা, কারও ডায়রিয়া হবার আশঙ্কা থাকে।

তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কারও কারও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গ থেকে কি ভাবে নিজেকে মুক্ত রাখবেন, চলুন জেনে নিই।

একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চিবিয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে।

খাবারের আধঘণ্টা আগে বা পরে পানি খেতে হবে। খাবার গ্রহণকালে অতিরিক্ত পানি খাওয়া ঠিক নয়।

গরমের সময় তৈরি খাবার বেশিক্ষণ বাইরে রাখা ঠিক নয়। সম্ভব হলে খাবার ফ্রিজে রাখুন।

এসময়টাতে খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার রাখতে হবে।

ফুলকপি, বাঁধাকপি, ভুট্টা, কর্নফ্লেকস খেলে অনেকের হজমের সমস্যা হতে পারে।

খাওয়া শেষে করেই বিছানায় গেলে খাবার হজমে সমস্যা হয়, এই বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরী। রাতের খাবার আটা নাগাদ সেরে ফেলা ভালো।

ভারী খাবার শেষে নিয়ম করে কিছুক্ষণ হাঁটলে ভালো। হাঁটা শেষে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে শুয়ে পড়ুন। ভারী খাবার শেষে ঘরে তৈরি বোরহানি বা জিরাপানি খেতে যেতে পারে।

বদহজম হলে করনীয় :

কারও যদি বদহজম হয় বা গ্যাস হয়, সেক্ষেত্রে আরাম দিতে পারে জিরাপানি বা টক দই। আদা-চায়েও অনেকটা আরাম দিতে পারে। সকালে খালি পেটে ঘর থেকে বেরুনোর অভ্যস ত্যাগ করতে হবে।

অ্যাসিডিটির ওষুধে বদহজম নিরাময় হলেও অনেক দিন এ ধরণের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। যদি ডায়রিয়া বা বারবার টয়লেট হয়, সেক্ষেত্রে স্যালাইন খেতে হবে।

এসময় দুধ ও শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচকলা এ ক্ষেত্রে উপকারী। কোন কোন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো।