ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

রামুতে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

নুরুল আমিন, রামু (কক্সবাজার)
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকা থেকে বিকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক নলা একটি বন্দুক (অস্ত্র) উদ্ধার ও দুই সন্ত্রাসী এবং কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে পূর্ব নতুন তিতার পাড়া থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক খুচরা বিক্রেতাকে আটক করেছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি।
গত সোমবার (৩০জুন) দুপুরে রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমানের নির্দেশনায় অস্ত্রটি উদ্ধার করে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান মনির। এ ঘটনার সূত্র ধরে ডাকাতদলের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- বাইশারী ইউনিয়নের নাসিমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও গর্জনিয়ার উত্তর বড়বিল গ্রামের মোজাফফর আহমদের ছেলে জালাল।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি, পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান মনির সাংবাদিকদের জানান- দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে রামু থানার ওসি জানান গর্জনিয়া বড়বিল গ্রামের কতিপয় লোকজন অস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসীকে আটক করে রেখেছেন। ওই সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য উপাত্ত নিয়ে জানা যায় অস্ত্রটি অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের নয়। সে তার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। স্থানীয় আবু তাহেরের দোকানে চা খেতে আসলে সন্ত্রাসী জুনায়েদ, বুলাইয়া ও জালালদের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ থাকায় সুযোগ বুঝে পেয়ে মারপিট করে একটি দেশীয় একনালা বন্দুক জোরপূর্বক হাতে ধরিয়ে তার অস্ত্র বলে স্বীকারোক্তি নেয় এবং পুলিশকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ফোনে অবহিত করেন।
পুলিশ পরিদর্শক শাহজাজান মনির আরো জানান- ঘটনাস্থলে এবং আশপাশ এলাকায় স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় জাহিদুল ইসলাম স্বভাব চরিত্র ভালো নয় এলাকায় তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত শাহিনের সহযোগী ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে অস্ত্রের ঘটনার সাথে সে জড়িত নয় মর্মেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখানো হয়েছে। আটককৃত জাহিদুল ইসলাম ডাকাত শাহীনের সহযোগী এবং জালাল সন্ত্রাসী জুনায়েদ এর সহযোগী হওয়ায় পৃথক মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও জালালের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। অপরদিকে সকালে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নতুন তিতার পাড়া এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ২২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আতাউল করিম ভুট্টো (৪০) কে আটক করে। সে মিয়াজীর পাড়া মৃত্যু জালাল আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে। পৃথকভাবে আটক ৩ জনকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ রামু থানায় প্রেরণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামুতে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

আপডেট সময় : ০৪:০৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকা থেকে বিকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক নলা একটি বন্দুক (অস্ত্র) উদ্ধার ও দুই সন্ত্রাসী এবং কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে পূর্ব নতুন তিতার পাড়া থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক খুচরা বিক্রেতাকে আটক করেছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি।
গত সোমবার (৩০জুন) দুপুরে রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমানের নির্দেশনায় অস্ত্রটি উদ্ধার করে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান মনির। এ ঘটনার সূত্র ধরে ডাকাতদলের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- বাইশারী ইউনিয়নের নাসিমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও গর্জনিয়ার উত্তর বড়বিল গ্রামের মোজাফফর আহমদের ছেলে জালাল।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি, পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান মনির সাংবাদিকদের জানান- দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে রামু থানার ওসি জানান গর্জনিয়া বড়বিল গ্রামের কতিপয় লোকজন অস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসীকে আটক করে রেখেছেন। ওই সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য উপাত্ত নিয়ে জানা যায় অস্ত্রটি অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের নয়। সে তার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। স্থানীয় আবু তাহেরের দোকানে চা খেতে আসলে সন্ত্রাসী জুনায়েদ, বুলাইয়া ও জালালদের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ থাকায় সুযোগ বুঝে পেয়ে মারপিট করে একটি দেশীয় একনালা বন্দুক জোরপূর্বক হাতে ধরিয়ে তার অস্ত্র বলে স্বীকারোক্তি নেয় এবং পুলিশকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ফোনে অবহিত করেন।
পুলিশ পরিদর্শক শাহজাজান মনির আরো জানান- ঘটনাস্থলে এবং আশপাশ এলাকায় স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় জাহিদুল ইসলাম স্বভাব চরিত্র ভালো নয় এলাকায় তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত শাহিনের সহযোগী ছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে অস্ত্রের ঘটনার সাথে সে জড়িত নয় মর্মেও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখানো হয়েছে। আটককৃত জাহিদুল ইসলাম ডাকাত শাহীনের সহযোগী এবং জালাল সন্ত্রাসী জুনায়েদ এর সহযোগী হওয়ায় পৃথক মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও জালালের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। অপরদিকে সকালে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নতুন তিতার পাড়া এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ২২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আতাউল করিম ভুট্টো (৪০) কে আটক করে। সে মিয়াজীর পাড়া মৃত্যু জালাল আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে। পৃথকভাবে আটক ৩ জনকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ রামু থানায় প্রেরণ করেন।