ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আধুনিক কেবিন ব্লক ও দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে হিফজ সম্পন্ন, দুই শিক্ষার্থী ওমরাহ হজে পাঠাবে মাদ্রাসা Logo গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক Logo কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপির আস্থা লুৎফুর রহমান কাজল Logo উখিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা Logo মহেশপুরে মোটরসাইকেল ও আলমসাধুর সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত Logo কেশবপুরে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ Logo যশোরে তরিকুল ইসলাম স্মরণে সাংবাদিক ইউনিয়নের দোয়া মাহফিল Logo সাদুল্লাপুরে হলুদক্ষেতে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

রাষ্ট্রপতির অপসারণ, রাজনৈতিক ঐকমত্যের চেষ্টা চলছে: রিজওয়ানা

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ২৪২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত। এটাতে আমাদের যেমন তাড়াহুড়ো করার সুযোগ নেই। তেমনি অতিরিক্ত বিলম্ব করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক ঐকমত্য যেহেতু গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, ওইটা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি বলছে, রাষ্ট্রপতি অপসারণ বা পদত্যাগে সংকট সৃষ্টি করবে; এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থানটা হচ্ছে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করব। রাষ্ট্রপতির বিষয়টা এমন, এখানে গোপনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। যখন একটা সিদ্ধান্ত হবে সেটা প্রকাশ্যেই।

তিনি বলেন, এখানে তাড়াহুড়োর কোনো সুযোগ নেই। আবার বিষয়টাকে দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখারও সুযোগ নেই। এখন রাজনৈতিক ঐক্য যত তাড়াতাড়ি হবে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সিদ্ধান্ত কী হবে তা আমি বলতে পারব না। কারণ রাজনৈতিক ঐক্য কোন দিকে যাবে, মতামত কোন দিকে বেশি যাবে, সেটা তো আমি বলতে পারব না। এ মুহূর্তে কারও প্রেডিক্ট করাও সম্ভব নয়।

এ রাষ্ট্রপতির অধীনে অন্তর্র্বতী সরকারের শপথ নেওয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয় না বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডকট্রিন অব নেসেসিটি বলে একটা কথা শুনেছেন। এটা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত একটা মতবাদ, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাই ছিল আমাদের একমাত্র অপশন। বিএনপি বলছে, তারা রাজনৈতিক সংকট দেখছে; আবার বিএনপিরও দুই-একজন নেতা বলছেন, তারা সে সংকট দেখছেন না।

এখন যারা দাবি করছেন, তার অপসারণ দরকার এবং যারা বলছেন, এটা হলে রাজনৈতিক সংকট হবে -মূলত ঐক্যটা তাদের মধ্যে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, হয়তো সবার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন নেই। যারা মনে করেন অপসারণ বা পদত্যাগ প্রয়োজন বনাম যারা মনে করেন অপসারণে সংকট হবে—আলোচনাটা মূলত তাদের মধ্যে হবে।

এখন উপদেষ্টা পরিষদ পরিষ্কার করেছে যে -রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। রাজনৈতিক ঐক্যের ফল কী হবে সেটা না জেনে আগে মন্তব্য করা যাবে না। রাজনৈতিক ঐকমত্য যেহেতু গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, ওইটা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাষ্ট্রপতির অপসারণ, রাজনৈতিক ঐকমত্যের চেষ্টা চলছে: রিজওয়ানা

আপডেট সময় :

 

রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ঐকমত্য হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এটা একটা বড় সিদ্ধান্ত। এটাতে আমাদের যেমন তাড়াহুড়ো করার সুযোগ নেই। তেমনি অতিরিক্ত বিলম্ব করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক ঐকমত্য যেহেতু গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, ওইটা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিএনপি বলছে, রাষ্ট্রপতি অপসারণ বা পদত্যাগে সংকট সৃষ্টি করবে; এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থানটা হচ্ছে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করব। রাষ্ট্রপতির বিষয়টা এমন, এখানে গোপনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। যখন একটা সিদ্ধান্ত হবে সেটা প্রকাশ্যেই।

তিনি বলেন, এখানে তাড়াহুড়োর কোনো সুযোগ নেই। আবার বিষয়টাকে দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখারও সুযোগ নেই। এখন রাজনৈতিক ঐক্য যত তাড়াতাড়ি হবে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সিদ্ধান্ত কী হবে তা আমি বলতে পারব না। কারণ রাজনৈতিক ঐক্য কোন দিকে যাবে, মতামত কোন দিকে বেশি যাবে, সেটা তো আমি বলতে পারব না। এ মুহূর্তে কারও প্রেডিক্ট করাও সম্ভব নয়।

এ রাষ্ট্রপতির অধীনে অন্তর্র্বতী সরকারের শপথ নেওয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয় না বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডকট্রিন অব নেসেসিটি বলে একটা কথা শুনেছেন। এটা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত একটা মতবাদ, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাই ছিল আমাদের একমাত্র অপশন। বিএনপি বলছে, তারা রাজনৈতিক সংকট দেখছে; আবার বিএনপিরও দুই-একজন নেতা বলছেন, তারা সে সংকট দেখছেন না।

এখন যারা দাবি করছেন, তার অপসারণ দরকার এবং যারা বলছেন, এটা হলে রাজনৈতিক সংকট হবে -মূলত ঐক্যটা তাদের মধ্যে করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, হয়তো সবার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন নেই। যারা মনে করেন অপসারণ বা পদত্যাগ প্রয়োজন বনাম যারা মনে করেন অপসারণে সংকট হবে—আলোচনাটা মূলত তাদের মধ্যে হবে।

এখন উপদেষ্টা পরিষদ পরিষ্কার করেছে যে -রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। রাজনৈতিক ঐক্যের ফল কী হবে সেটা না জেনে আগে মন্তব্য করা যাবে না। রাজনৈতিক ঐকমত্য যেহেতু গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, ওইটা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।