রুদ্ধশ্বাস যাত্রার পর কুতুবদিয়ায় নিরাপদ নোঙ্গরে আবদুল্লাহ, আজ স্বজনদের কাছে ফিরছেন নাবিকরা
- আপডেট সময় : ১১:৪৮:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে
সোমালিয়ান জলদস্যুদের দাবিকৃত মোটা অঙ্কের ডলার মুক্তিপণ মেটানো শেষে প্রায় একমাসের অধিক সময় জিম্মি থাকার পর ১৪ এপ্রিল ভোররাতে কয়লা বোঝাই জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক দস্যুমুক্ত হন।
জিম্মিমুক্ত হবার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দু’টি যুদ্ধ জাহাজ পাহারায় দিয়ে এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার করে দিতে সাহায্য করে।
জিম্মিমুক্ত হবার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দু’টি যুদ্ধ জাহাজ পাহারায় দিয়ে এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার করে দিতে সাহায্য করে।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ভারত মহাসাগরে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুরে সোমালিয়ান জল দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। পরে তা ভারত মহাসাগর থেকে সরিয়ে সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে যায়।
সোমালিয়ান জলদস্যুরা জিম্মি ২৩ নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করতে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। এনিয়ে দেনদরবার করে এক সমঝোতায় আসা হয়। এর পর দাবিকৃত ডলার পরিশোধ শেষে জাহাজ ছেড়ে পালিয়ে যায় জলদস্যুরা।
২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া নাগাদ জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে যায়। সেখান থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
এরপর রুদ্ধশ্বাস যাত্রা শেষে অবশেষে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নিরাপদ নোঙর করে। নাবিকরা সবাই সুস্থ রয়েছেন।
জাহাজটিতে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর রয়েছে। কুতুবদিয়ায় গভীর সাগরে প্রথমে লাইটার জাহাজে কিছু পণ্য খালাসের পর সেটিকে নিয়ে আসার কথা পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরের বন্দর জলসীমায় আনা হবে। সেখানেই বাকি পণ্য খালাস করা হবে।
জাহাজটিতে নতুন ২৩ জন নাবিক যোগদান করে জাহাজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন এবং মঙ্গলবার (১৪ মে) ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম শহরে ফিরবেন।