ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রেমেলের আঘাতে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সহযোগিতা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণ ও দেশের উন্নয়নে সর্বদা আন্তরিকভাবে নিবেদিত। আমরা আপনাদের পাশে আছি। ঘূর্ণিঝড় রেমেলের আঘাতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করবো।

ঘূর্ণিঝড়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে জানিয়ে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে। অতীতে এমন দুর্যোগ হয়েছে, কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুর্যোগ আসবেই, কিন্তু তা মোকাবেলা করে টিকে থাকার সামর্থ অর্জন করতে হবে। সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলা প্রশাসনের আয়োজিত কলাপাড়ায় সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এইসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। অনেক লোকই তো ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু তারা এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি।

আমাদের দেশে ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাস প্রকৃতির নিয়মেই আসে। সেখানে মানুষের জীবন মান বাঁচানোই সবচেয়ে বড় কথা। জিনিষ গেলে পাওয়া যায়, কিন্তু জীবনতো আর পাওয়া যায়না উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুগর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, যেনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষ রেহাই পায়। ভেঙে যাওয়া বাঁধ ইতোমধ্যেই পুনঃনির্মাণ শুরু করে দিয়েছি, যাতে বন্যার আগেই নির্মাণকাজ শেষ হয়। উপকূলে দুর্যোগ সহনীয়নীয় ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে আপনাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে সেটুকুও নতুন করে তৈরি তৈরি করে দেবো, আমার ওপর আস্থা রাখুন।

১০০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের বেগ নিয়ে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রেমালের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসে ধসে পড়ে উপকূলীয় এলাকার অনেক ঘর। গাছপালা ভেঙেও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দফায় দফায় প্লাবিত হয়েছে চরাঞ্চলসহ শতাধিক গ্রাম। তলিয়ে যায় পৌরসভাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি এবং আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রেমেলের আঘাতে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সহযোগিতা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণ ও দেশের উন্নয়নে সর্বদা আন্তরিকভাবে নিবেদিত। আমরা আপনাদের পাশে আছি। ঘূর্ণিঝড় রেমেলের আঘাতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করবো।

ঘূর্ণিঝড়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে জানিয়ে, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে। অতীতে এমন দুর্যোগ হয়েছে, কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুর্যোগ আসবেই, কিন্তু তা মোকাবেলা করে টিকে থাকার সামর্থ অর্জন করতে হবে। সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলা প্রশাসনের আয়োজিত কলাপাড়ায় সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এইসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। অনেক লোকই তো ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু তারা এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি।

আমাদের দেশে ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাস প্রকৃতির নিয়মেই আসে। সেখানে মানুষের জীবন মান বাঁচানোই সবচেয়ে বড় কথা। জিনিষ গেলে পাওয়া যায়, কিন্তু জীবনতো আর পাওয়া যায়না উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুগর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, যেনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষ রেহাই পায়। ভেঙে যাওয়া বাঁধ ইতোমধ্যেই পুনঃনির্মাণ শুরু করে দিয়েছি, যাতে বন্যার আগেই নির্মাণকাজ শেষ হয়। উপকূলে দুর্যোগ সহনীয়নীয় ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে আপনাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে সেটুকুও নতুন করে তৈরি তৈরি করে দেবো, আমার ওপর আস্থা রাখুন।

১০০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের বেগ নিয়ে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রেমালের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসে ধসে পড়ে উপকূলীয় এলাকার অনেক ঘর। গাছপালা ভেঙেও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দফায় দফায় প্লাবিত হয়েছে চরাঞ্চলসহ শতাধিক গ্রাম। তলিয়ে যায় পৌরসভাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি এবং আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।