ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

শিকেয় উঠছে নাগরিক সেবা, দুর্ভোগে গ্রাহক

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
  • কার্যত অচল আন্দোলনে অবরুদ্ধ নগরভবন, প্রায় ৬৫টি কক্ষে তালা

  • ২৮ ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ

  • এটা আসলে আমাদের আইনি দুর্বলতা ঃ ড. আব্দুল আলীম

 

সকাল থেকে নগরভবনের সামনের সড়কে বসে অবরোধ করেছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। নগর ভবনের প্রধান ফটকে আন্দোলনকারিরা মঞ্চ তৈরি করায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে নগরভবন। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে চলছে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি। এতে বন্ধ রয়েছে নগরভবনের সব ধরনের কার্যক্রম ও সেবা। আন্দোলন ক্ষুব্দ নেতাকর্মিরা ভবনের প্রায় ৬৫টি কক্ষে তালা বন্ধ করে দেয়ায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে নগর ভবন। এই পরিস্থিতিতে গত ৬দিন যাবত গ্রাহক সেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে।
আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের পাঁচটি কর্মচারী ইউনিয়ন। এ সময় কর্মসূচির মঞ্চে একাত্মতা প্রকাশ করেন ডিএসসিসির সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন- স্ক্যাভেঞ্জার অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সেবা নিতে আসা একাধিক গ্রাহক ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, নগরভবনের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভে ইশরাকের সমর্থকরা। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা ছয়দিন অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগরভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। সিটি করপোরেশন নগরবাসীকে ২৮ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এসব নাগরিক সেবা শিকেয় উঠেছে।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা আসমা বেগম বলেন, তিন দিন ধরে ঘুরছি। ফটক বন্ধ, কারও সঙ্গে দেখা করতেও দিচ্ছে না। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে আসতে পারছেন না। গত ডিসেম্বরে সচিবালয়ে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজ চলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভবনে।
ঢাকার দয়াগঞ্জ থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী সুমন হাসান বলেন, ইশরাক হোসেন মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে সরকার বিশেষ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অন্যায় করছে। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সব নাটের গুরু। লালবাগ এলাকার ব্যবসায়ী আদিলুর রহমান বলেন, ইশরাককে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনে হারানো হয়েছিল। এতদিন পরে হলেও কোর্ট তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন। যে কয়দিন মেয়াদ আছে ওই কয়দিন আমরা ইশরাককে মেয়রের চেয়ারে দেখতে চাই।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আদালতের রায়ে মেয়র হিসেবে ইশরাকের নাম ঘোষণার পরও সরকার তাকে শপথ নেয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। আন্দোলনকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে অবিলম্বে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি জানান। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এ বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি এখনও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শপথের ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়।
অন্য দিকে ইশরাকের মেয়র ইস্যুতে আইনের প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০২০ সালে পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ভোট পড়ে ৩০ শতাংশেরও কম। পরে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। তবে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনে বদলে গেছে দৃশ্য পট। ৫ বছর আগের মামলায় গেল ২৭ মার্চ আদালতের রায়ের পর গত ২৭ এপ্রিল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু গেজেট প্রকাশের ২০দিন পার হলেও ইশরাকের শপথের আয়োজন হয়নি, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছেন তার সমর্থকরা। ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা বলেন, ইশরাককে যদি দায়িত্ব দেয়া না হয়, আমরা নগর ভবনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেব।
এদিকে আওয়ামী লীগ বাদে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিগত সময়ের সব নির্বাচনকে অবৈধ বলে অভিহিত করা ৫ বছর আগের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে ইশরাক হোসেনের মেয়রের দায়িত্ব নিতে চাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সেই অবৈধ নির্বাচনের মেয়রের দায়িত্ব নেয়া কতটা যৌক্তিক তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা আদালত দিয়েছেন বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সেটাকে মেনে নিতে হবে, সেটা যদি কেউ মানতে অস্বীকার করে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা আদালতকে অবমাননা করছে। তিনি বলেন, যখন আমরা অবৈধ বলেছি, তখন সেই ফলাফলকে অবৈধ বলেছি।
এ ব্যাপারে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, এটা আসলে আমাদের আইনি দুর্বলতা। পৃথিবীর অনেক দেশেই নির্বাচনের ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে এ ধরনের বিচার হয়। এবং ইশরাককে কেন শপথের জন্য ডাকা হয়নি তার কোনও ব্যাখ্যাও সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। এ সময় মেয়র ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট শুনানির আগে কোন সিদ্ধান্তে আসা যাবেনা বলেও মন্তব্য করেন এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিকেয় উঠছে নাগরিক সেবা, দুর্ভোগে গ্রাহক

আপডেট সময় : ১২:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • কার্যত অচল আন্দোলনে অবরুদ্ধ নগরভবন, প্রায় ৬৫টি কক্ষে তালা

  • ২৮ ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ

  • এটা আসলে আমাদের আইনি দুর্বলতা ঃ ড. আব্দুল আলীম

 

সকাল থেকে নগরভবনের সামনের সড়কে বসে অবরোধ করেছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। নগর ভবনের প্রধান ফটকে আন্দোলনকারিরা মঞ্চ তৈরি করায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে নগরভবন। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে চলছে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি। এতে বন্ধ রয়েছে নগরভবনের সব ধরনের কার্যক্রম ও সেবা। আন্দোলন ক্ষুব্দ নেতাকর্মিরা ভবনের প্রায় ৬৫টি কক্ষে তালা বন্ধ করে দেয়ায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে নগর ভবন। এই পরিস্থিতিতে গত ৬দিন যাবত গ্রাহক সেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে।
আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের পাঁচটি কর্মচারী ইউনিয়ন। এ সময় কর্মসূচির মঞ্চে একাত্মতা প্রকাশ করেন ডিএসসিসির সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন- স্ক্যাভেঞ্জার অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সেবা নিতে আসা একাধিক গ্রাহক ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, নগরভবনের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভে ইশরাকের সমর্থকরা। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা ছয়দিন অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগরভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। সিটি করপোরেশন নগরবাসীকে ২৮ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। এসব নাগরিক সেবা শিকেয় উঠেছে।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা আসমা বেগম বলেন, তিন দিন ধরে ঘুরছি। ফটক বন্ধ, কারও সঙ্গে দেখা করতেও দিচ্ছে না। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে আসতে পারছেন না। গত ডিসেম্বরে সচিবালয়ে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজ চলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ভবনে।
ঢাকার দয়াগঞ্জ থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী সুমন হাসান বলেন, ইশরাক হোসেন মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে সরকার বিশেষ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অন্যায় করছে। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সব নাটের গুরু। লালবাগ এলাকার ব্যবসায়ী আদিলুর রহমান বলেন, ইশরাককে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনে হারানো হয়েছিল। এতদিন পরে হলেও কোর্ট তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন। যে কয়দিন মেয়াদ আছে ওই কয়দিন আমরা ইশরাককে মেয়রের চেয়ারে দেখতে চাই।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আদালতের রায়ে মেয়র হিসেবে ইশরাকের নাম ঘোষণার পরও সরকার তাকে শপথ নেয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। আন্দোলনকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে অবিলম্বে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি জানান। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এ বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি এখনও উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শপথের ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়।
অন্য দিকে ইশরাকের মেয়র ইস্যুতে আইনের প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০২০ সালে পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ভোট পড়ে ৩০ শতাংশেরও কম। পরে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। তবে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পট পরিবর্তনে বদলে গেছে দৃশ্য পট। ৫ বছর আগের মামলায় গেল ২৭ মার্চ আদালতের রায়ের পর গত ২৭ এপ্রিল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু গেজেট প্রকাশের ২০দিন পার হলেও ইশরাকের শপথের আয়োজন হয়নি, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নেমেছেন তার সমর্থকরা। ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা বলেন, ইশরাককে যদি দায়িত্ব দেয়া না হয়, আমরা নগর ভবনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেব।
এদিকে আওয়ামী লীগ বাদে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিগত সময়ের সব নির্বাচনকে অবৈধ বলে অভিহিত করা ৫ বছর আগের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে ইশরাক হোসেনের মেয়রের দায়িত্ব নিতে চাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সেই অবৈধ নির্বাচনের মেয়রের দায়িত্ব নেয়া কতটা যৌক্তিক তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা আদালত দিয়েছেন বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সেটাকে মেনে নিতে হবে, সেটা যদি কেউ মানতে অস্বীকার করে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা আদালতকে অবমাননা করছে। তিনি বলেন, যখন আমরা অবৈধ বলেছি, তখন সেই ফলাফলকে অবৈধ বলেছি।
এ ব্যাপারে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, এটা আসলে আমাদের আইনি দুর্বলতা। পৃথিবীর অনেক দেশেই নির্বাচনের ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে এ ধরনের বিচার হয়। এবং ইশরাককে কেন শপথের জন্য ডাকা হয়নি তার কোনও ব্যাখ্যাও সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। এ সময় মেয়র ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনালের রায় স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট শুনানির আগে কোন সিদ্ধান্তে আসা যাবেনা বলেও মন্তব্য করেন এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ।