ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo পুষ্টির সচেতনতা বিষয়ক  প্রশিক্ষন কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

শূন্যতা থাকে না, মানুষ সমাধান খুঁজে নেয়

আমিনুল হক ভূইয়া
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশি রোগীদের ওপর নির্ভর করেই কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে নতুন হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরাতন হাসপাতালগুলো সংস্কার ও বর্ধিত করা হয়। বাংলাদেশি রোগীর অভাবে ধুকে ধুকে দিন পার করছে

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয় ভারত। অথচ ২০২৩ সালে ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক ভারত ভ্রমণ করেন। যা কিনা ভ্রমনের রেকর্ড। তাতে দেশটির বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। একটা মোটা দাগের বাংলাদেশি নাগরিক মানুষ চিকিৎসা এবং ভ্রমণ করে থাকেন ভারতে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা কার্যক্রম ব্যবসায়ীক দৃষ্টিকোণ থেকেই নেয় ভারত। এমনকি বাংলাদেশিদের ভিসার চাপ সামলাতে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যাজমেন্টের বিশাল জায়গাজুড়ে ভারতীয় ভিসা সেন্টার করা হয়। যেখানে ৪২টি কাউন্টার রয়েছে। ভিসার চাপ সামলাতে জনবল বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদান নিয়েও আলোচনা শুরু করে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত।
ভারতের ভিসা বন্ধের কারণে ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-আগরতলা সরাসরি বাস সার্ভিস এবং ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-নিউজলপাইগুঁড়ি এবং খুলনা-কলকাতা সরাসরি ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশের সিংহভাগ রোগী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, চেন্নাই, দিল্লীর মেডিকেলে চিকিৎসা নিতো। তাও এখন বন্ধ। যেখানে সেখার ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাহাকার চলছে। কারণ, বাংলাদেশি রোগীদের ওপর নির্ভর করেই কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে নতুন হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরাতন হাসপাতালগুলো সংস্কার ও বর্ধিত করা হয়। বাংলাদেশি রোগীর অভাবে ধুকে ধুকে দিন পার করছে।
কলকাতার নিউমার্কে ছাড়াও আশপাশের অলিগলিতে গড়ে ওঠে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্তোঁরা যে পরিমান ব্যবসা করে তা জীবনে দেখেনি পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশি পর্যটকের চাপ বাড়ায় রাতারাতি নতুন নতুন হোটেল, খাবার দোকান, কাপড়ের দোকান, কসমেটিক্সের দোকানসহ হাজারো পণ্যে পসরা জমিয়ে বসা প্রতিষ্ঠানগুলোর এখন হাহাকার। নিউমার্কেট হারিয়েছে জৌলুস। কলকাতার বিভিন্নস্থানে যেমন মুকুন্দপুর, বাইপাস এছাড়াও আশপাশের কিছু এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের কাটাকাটার ফলে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। যার আলো এখন নিভু নিভু। ফলে কলকাতার মিনি বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের হাহাকার। মধ্য কলকাতার মারকুইজ স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, কিড স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড, নিউ মার্কেট ও আশেপাশের এক বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলের পরিচিতি মিনি বাংলাদেশ হিসেবে। বলতে গেলে বছরজুড়েই বাংলাদেশি পর্যটকের আনাগোনায় সরগরম থাকতো গোটা এলাকা। বাংলাদেশি খাবার থেকে শুরু করে নানা ধরনের ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশিদের জন্যই গড়ে উঠেছিল। এই অঞ্চলের হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোতে এক সময় ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা ছিল। শীতকালে ও ঈদের সময় বাংলাদেশিদের ভিড়ে হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে পড়তো। বিভিন্ন দোকান ও মলগুলোতে ছিলো উপচে পড়তো ভিড়। বর্তমানে কোথায় সেই ভিড়? গোটা এলাকা থেকে বাংলাদেশিরা যেন উবে গিয়েছেন। চারিদিক এখন শুনশান। স্থানীয় মানুষ ও মেডিকেল ভিসায় আসা নামমাত্র কিছু বাংলাদেশির আনাগোনা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের ধাক্কায় কলকাতার মিনি বাংলাদেশে এখন শুধুই হাহাকার। চারিদিকে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় অনেক আবাসিক হোটেল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্রেতার অভাবে ধুকছে ১৮ গন্টা ভিড় থাকা নিউমার্কেট।
ভারতের ভিসা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ভারত ভিসা দেবে কি না, সেটা তাদের বিষয়। তবে ভিসার জন্য কোনো শূন্যতা থাকে না, মানুষ অন্য কোনো দেশে সমাধান খুঁজে নেয়। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ভারতের ভিসা বন্ধ রয়েছে, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভিসা দেয়াটা তাদের বিষয়। আমরাও সাময়িকভাবে সেদেশে ভিসা বন্ধ করেছিলাম। তবে কোনো দেশের ভিসা বন্ধ হলে শূন্যতা থাকে না। মানুষ অন্য দেশে সমাধান খুঁজে নেয়। ইতালির ভিসা পেতে বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইতালির ভিসা নিয়ে দেশটির সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা করছি। তবে ভিসা পেতে যেসব ডকুমেন্ট দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ইতালির ভিসার জন্য অনেক অবৈধ কাগজপত্র দেওয়া হয়। তারা (ইতালি) দেখছে, আসলেই সেই কাগজপত্র ঠিক আছে কি না। অনেক লোকজনের কাগজপত্র জেনুইন আছে, তারাও এখন এই অবস্থায় ভিসার জন্য ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শূন্যতা থাকে না, মানুষ সমাধান খুঁজে নেয়

আপডেট সময় : ১১:৫২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশি রোগীদের ওপর নির্ভর করেই কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে নতুন হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরাতন হাসপাতালগুলো সংস্কার ও বর্ধিত করা হয়। বাংলাদেশি রোগীর অভাবে ধুকে ধুকে দিন পার করছে

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয় ভারত। অথচ ২০২৩ সালে ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক ভারত ভ্রমণ করেন। যা কিনা ভ্রমনের রেকর্ড। তাতে দেশটির বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড পরিমাণ বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। একটা মোটা দাগের বাংলাদেশি নাগরিক মানুষ চিকিৎসা এবং ভ্রমণ করে থাকেন ভারতে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা কার্যক্রম ব্যবসায়ীক দৃষ্টিকোণ থেকেই নেয় ভারত। এমনকি বাংলাদেশিদের ভিসার চাপ সামলাতে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যাজমেন্টের বিশাল জায়গাজুড়ে ভারতীয় ভিসা সেন্টার করা হয়। যেখানে ৪২টি কাউন্টার রয়েছে। ভিসার চাপ সামলাতে জনবল বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদান নিয়েও আলোচনা শুরু করে ভারত। এমন পরিস্থিতিতে ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত।
ভারতের ভিসা বন্ধের কারণে ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-আগরতলা সরাসরি বাস সার্ভিস এবং ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-নিউজলপাইগুঁড়ি এবং খুলনা-কলকাতা সরাসরি ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশের সিংহভাগ রোগী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, চেন্নাই, দিল্লীর মেডিকেলে চিকিৎসা নিতো। তাও এখন বন্ধ। যেখানে সেখার ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাহাকার চলছে। কারণ, বাংলাদেশি রোগীদের ওপর নির্ভর করেই কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে নতুন হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরাতন হাসপাতালগুলো সংস্কার ও বর্ধিত করা হয়। বাংলাদেশি রোগীর অভাবে ধুকে ধুকে দিন পার করছে।
কলকাতার নিউমার্কে ছাড়াও আশপাশের অলিগলিতে গড়ে ওঠে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্তোঁরা যে পরিমান ব্যবসা করে তা জীবনে দেখেনি পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশি পর্যটকের চাপ বাড়ায় রাতারাতি নতুন নতুন হোটেল, খাবার দোকান, কাপড়ের দোকান, কসমেটিক্সের দোকানসহ হাজারো পণ্যে পসরা জমিয়ে বসা প্রতিষ্ঠানগুলোর এখন হাহাকার। নিউমার্কেট হারিয়েছে জৌলুস। কলকাতার বিভিন্নস্থানে যেমন মুকুন্দপুর, বাইপাস এছাড়াও আশপাশের কিছু এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের কাটাকাটার ফলে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। যার আলো এখন নিভু নিভু। ফলে কলকাতার মিনি বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের হাহাকার। মধ্য কলকাতার মারকুইজ স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, কিড স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড, নিউ মার্কেট ও আশেপাশের এক বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলের পরিচিতি মিনি বাংলাদেশ হিসেবে। বলতে গেলে বছরজুড়েই বাংলাদেশি পর্যটকের আনাগোনায় সরগরম থাকতো গোটা এলাকা। বাংলাদেশি খাবার থেকে শুরু করে নানা ধরনের ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশিদের জন্যই গড়ে উঠেছিল। এই অঞ্চলের হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোতে এক সময় ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই অবস্থা ছিল। শীতকালে ও ঈদের সময় বাংলাদেশিদের ভিড়ে হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে পড়তো। বিভিন্ন দোকান ও মলগুলোতে ছিলো উপচে পড়তো ভিড়। বর্তমানে কোথায় সেই ভিড়? গোটা এলাকা থেকে বাংলাদেশিরা যেন উবে গিয়েছেন। চারিদিক এখন শুনশান। স্থানীয় মানুষ ও মেডিকেল ভিসায় আসা নামমাত্র কিছু বাংলাদেশির আনাগোনা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের ধাক্কায় কলকাতার মিনি বাংলাদেশে এখন শুধুই হাহাকার। চারিদিকে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় অনেক আবাসিক হোটেল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্রেতার অভাবে ধুকছে ১৮ গন্টা ভিড় থাকা নিউমার্কেট।
ভারতের ভিসা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ভারত ভিসা দেবে কি না, সেটা তাদের বিষয়। তবে ভিসার জন্য কোনো শূন্যতা থাকে না, মানুষ অন্য কোনো দেশে সমাধান খুঁজে নেয়। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ভারতের ভিসা বন্ধ রয়েছে, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভিসা দেয়াটা তাদের বিষয়। আমরাও সাময়িকভাবে সেদেশে ভিসা বন্ধ করেছিলাম। তবে কোনো দেশের ভিসা বন্ধ হলে শূন্যতা থাকে না। মানুষ অন্য দেশে সমাধান খুঁজে নেয়। ইতালির ভিসা পেতে বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইতালির ভিসা নিয়ে দেশটির সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা করছি। তবে ভিসা পেতে যেসব ডকুমেন্ট দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ইতালির ভিসার জন্য অনেক অবৈধ কাগজপত্র দেওয়া হয়। তারা (ইতালি) দেখছে, আসলেই সেই কাগজপত্র ঠিক আছে কি না। অনেক লোকজনের কাগজপত্র জেনুইন আছে, তারাও এখন এই অবস্থায় ভিসার জন্য ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।