শেখ হাসিনা-শাহরিয়ার কবির-ইমরানের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৬:৫১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে
শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ, আইনজীবী এবং গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বিচার হত্যা ও লাশ গুম করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ সংক্রান্ত আবেদন করা হয়েছে।
২০ আগস্ট এ আবেদন করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার চৌধূরী। তার আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে ঘটনার তারিখ হিসেবে ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে এবং স্থান হিসেবে মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে আসামিরা শহরব্যাপী ব্ল্যাক আউট করে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণে হত্যা, লাশগুম করে গণহত্যা চালায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।
আসামির তালিকায় রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী।
সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক ও বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সদস্য মুনতাসীর মামুন ও তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
একাত্তর টিভির এমডি মোজাম্মেল হক বাবু, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, এবি নিউজের সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের নাঈমুল ইসলাম খান, বিজিবির সাবেক ডিজি ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ।
গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি এম মনজুর আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কতিপয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও কতিপয় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ সদস্য এবং তৎকালীন কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নীতি নির্ধারক।