ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডামুড্যায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ কর্তৃক ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার Logo কুড়িগ্রামে বাড়ির পাশের ভুট্রাক্ষেত থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo তিতাসে ৯ ইউনিয়নে বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করে আংশিক কমিটি প্রকাশ নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ উৎস  Logo বাদীর কবর দখল বাড়িতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ Logo রামু উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিমান্তে গরু চোরা চালানরোধে আরো কঠোর হওয়ার আহবান Logo রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন সুলতান মাহমুদ  Logo মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে নরসিংদীতে যুবককে হত্যা Logo রামগতিতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিহত Logo ধামরাইয়ে ৪ অপহরণকারী জনতার হাতে আটক পুলিশে সোপর্দ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যা মামলা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪ ২৮৬ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা ফাইল ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম রাজনকে (১৮) গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামীর তালিকায় শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের হয়।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে মামলাটি করেন নিহত রাজনের ভাই রাজিব (৩২)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে কাফরুল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়ে নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামীদের মধ্যে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি।

এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি গাজি মেজবাউল হক সাচ্ছু, সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহম্মেদ মজুমদার, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মানুন, অতিরিক্ত আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপি ডিবির সাবেক প্রধান হারুন আর রশিদ, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান।

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ নেতা সালামত উল্লাহ সাগর, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সদস্য দীপংকর বাছার দিপ্ত। এছাড়াও মামলায় আওয়ামী লীগের আরও ৫০০ থেকে ৬০০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, আমার ছোটভাই ফয়জুল ইসলাম রাজন রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলে আমার ভাই ফয়জুল ইসলাম রাজন ওই আন্দোলনে একমত পোষণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে শরিক হন।

ছাত্রজনতার গণআন্দোলনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ১নং আসামি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ গত ১৪ জুলাই গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনকারী ছাত্রদের রাজাকরের বাচ্চা বলে অভিহিত করেন।

আসামি শেখ হাসিনার এহেন ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য দেশের সব গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়। ১নং আসামি শেখ হাসিনার এই উসকানিমূলক এবং অপমানজনক বক্তব্যের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করেন।

এমতাবস্থায় ২নং আসামি ওবায়দুল কাদের গত ১৫ জুলাই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের মোকাবিলা করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট মর্মে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে ছাত্রলীগনামীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণহত্যার নির্দেশ প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যা মামলা

আপডেট সময় : ০৪:২৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

 

ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম রাজনকে (১৮) গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামীর তালিকায় শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের হয়।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে মামলাটি করেন নিহত রাজনের ভাই রাজিব (৩২)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে কাফরুল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়ে নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামীদের মধ্যে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচি।

এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি গাজি মেজবাউল হক সাচ্ছু, সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহম্মেদ মজুমদার, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মানুন, অতিরিক্ত আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপি ডিবির সাবেক প্রধান হারুন আর রশিদ, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান।

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ নেতা সালামত উল্লাহ সাগর, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সদস্য দীপংকর বাছার দিপ্ত। এছাড়াও মামলায় আওয়ামী লীগের আরও ৫০০ থেকে ৬০০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, আমার ছোটভাই ফয়জুল ইসলাম রাজন রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করলে আমার ভাই ফয়জুল ইসলাম রাজন ওই আন্দোলনে একমত পোষণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে শরিক হন।

ছাত্রজনতার গণআন্দোলনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে ১নং আসামি শেখ হাসিনা ওয়াজেদ গত ১৪ জুলাই গণভবনে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনকারী ছাত্রদের রাজাকরের বাচ্চা বলে অভিহিত করেন।

আসামি শেখ হাসিনার এহেন ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য দেশের সব গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়। ১নং আসামি শেখ হাসিনার এই উসকানিমূলক এবং অপমানজনক বক্তব্যের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করেন।

এমতাবস্থায় ২নং আসামি ওবায়দুল কাদের গত ১৫ জুলাই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের মোকাবিলা করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট মর্মে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে ছাত্রলীগনামীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণহত্যার নির্দেশ প্রদান করেন।