শেখ হাসিনার সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক
- আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ এবং যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপের আহ্বান জানান
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠক করেছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশেটির কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জার্মানিতে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স-২০২৪ এর সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় শনিবার সকালে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফ-এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গ উঠে আসে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ এবং যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ বিষয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে এ বৈঠকের আগে একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী। এর আগে সকালে সম্মেলনস্থলে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৬০তম মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে জার্মানির উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটের দিকে সরকারপ্রধানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি দেশটির মিউনিখ বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কাতার ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
সফর শেষে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিউনিখ থেকে রওয়ানা হয়ে পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।