শেরপুরে টহলরত গ্রাম পুলিশদের বেঁধে অটোরিকশা ছিনতাই, আটক ১
- আপডেট সময় : ৫১ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার শেরপুরে টহলরত গ্রাম পুলিশ ও অটোরিকশা চালকদের বেঁধে রেখে অটোরিকশা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চান্দাইকোনা জামতলী আঞ্চলিক সড়কের পাশে ভবানীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ এলাকায়।
ভুক্তভোগীরা হলেন আঁশ গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে অটোচালক মো. মাসুম বিল্লাহ (৩২), গ্রাম পুলিশ রানা আহমেদ, শাকিল আহমেদ ও সন্তোষ কুমার সিং।
গ্রাম পুলিশ রানা আহমেদ জানান, “আমরা তিনজন গ্রাম পুলিশ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে রাতে টহল ডিউটিতে ছিলাম। রাত আড়াইটার দিকে ঈদগাহ মাঠের পাশে পৌঁছালে দুষ্কৃতিকারীরা গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৫–১৬ জন মুখোশধারী লোক দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাদের ধানের ক্ষেতে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে আমাদের কাছ থেকে নগদ আড়াই হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।”
এরপর রাত ৪টার দিকে চান্দাইকোনা দিক থেকে শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজারসহ আরও দুজন ভুক্তভোগী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদেরও একইভাবে বেঁধে ধানের ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। তাদের কাছ থেকেও নগদ ৫ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি অটোরিকশা ও অটোভ্যান ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
পরে ভোরে স্থানীয়দের সহায়তায় তারা মুক্ত হয়ে থানায় খবর দেন। শনিবার দিবাগত রাতে অটোরিকশা চালক মাসুম বিল্লাহ শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ বিষয়ে ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মোমিন বলেন, “এলাকায় সম্প্রতি গরু ও ছোটখাটো চুরি বেড়ে গেছে। তাই তিন মাস ধরে গ্রাম পুলিশ দিয়ে রাতের টহল ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অথচ টহলরত পুলিশদের ওপর এমন হামলা দুঃসাহসিক। এটা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।”
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদিন বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা নং-৩৩ দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসাদুল নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”


















