শ্রীপুরে বিএনপির পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন
- আপডেট সময় : ৬৪ বার পড়া হয়েছে
মাগুরা-১ আসনের কান্ডারী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহমদ গতকাল মঙ্গলবার ৩০ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। তিনি চিলগাড়ি, সাচিলাপুর বাজার, রাধানগর, মধুপুর বাজার ও টেংগাখালী বাজারের সর্বজনীন পূজা মণ্ডপে যান এবং স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার খলিলুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
পূজা মণ্ডপে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আলী আহমদ বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে আজকের পূজা মণ্ডপগুলো এক উৎসবের আবহ তৈরি করেছে। এ দেশ সবার যদি আমরা রাজনীতিবিদরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারি, তবে আমাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। ভেদাভেদ ভুলে আজকের এই সম্প্রীতিই হতে হবে আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো ভেদাভেদ বা গ্রুপিংয়ের কারণে যদি বিভক্ত হই, তবে জাতির ওপর আবারও অতীতের মতো ফ্যাসিবাদ চেপে বসতে পারে।
শৈশব স্মৃতিচারণ করে আলী আহমদ জানান, ছোটবেলায় চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর তীরে বসে প্রতিমা বিসর্জন উপভোগ করতাম। নদীর টানে পূজা মণ্ডপ ছিল মিলনমেলা। কিন্তু নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় এখন আর সেই আনন্দঘন পরিবেশ নেই। আমরা যদি সরকার গঠন করতে পারি, তবে নদী খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনব, যাতে প্রতিমা বিসর্জনের ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব আবারও প্রাণ ফিরে পায়।
আলী আহমদের প্রতিটি মন্দির পরিদর্শনকে শুধু সনাতন সম্প্রদায়ই নয়, বরং এলাকার সব শ্রেণীর মানুষ আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, এমন আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা বর্তমান রাজনীতিতে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শারদীয় পূজার মতো একটি সর্বজনীন উৎসবকে ঘিরে আলী আহমদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সম্প্রীতির বার্তা কেবল স্থানীয় রাজনীতির জন্য নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে তার এ ধরনের জনসম্পৃক্ততা রাজনৈতিকভাবে শক্তি সঞ্চার করতে পারে।
















