ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ২৩১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস চান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আর আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত কোটা নিয়ে তাদের আন্দোলন চলবে।

তারা পরিষ্কারভাবে বলছেন, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

একইসঙ্গে দেশব্যাপী সমন্বয়কদের সঙ্গে পরামর্শসাপেক্ষে শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বকর মজুমদার।

তিনি বলেন, আগামীকাল শনিবার সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলার প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি।

আরেক সমন্বয়ক মো. মাহিন বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে ফুটবলের মতো খেলছে। ফুটবল লাথি দিয়ে একবার সংসদে, একবার হইকোর্টে পাঠাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কারও একার নয়। এখানে সবদলের শিক্ষার্থী রয়েছেন। আমাদের পেটে লাথি মারলে আমরা বসে থাকব না।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আব্দুল কাদের।

দাবি আদায়ে এবং বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আয়োজিত ব্লকেড কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাকা হয়।

বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, ক্যাম্পাস শ্যাডো, উপাচার্যের বাসভবন চত্বর, রাজু ভাস্কর্য হয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে আসেন। ৫টা ২০ মিনিটে তারা শাহবাগে অবস্থান নেন।

৬টা ১০ মিনিটে শাহবাগে কর্মসূচি ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নিন্দা

এদিকে বৃহস্পতিবার শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ১১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি ‘সময় টিভি’র সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচারণ করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

সংবাদমাধ্যমকর্মী ও আমাদের মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই পারস্পরিক সুসম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা কিছু অতিউৎসাহী অছাত্র-কুছাত্রদের দ্বারা হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখনোই সমর্থন করে না।

১১ জুলাইয়ের দুঃখজনক ঘটনাটি আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য এবং নীতির পরিপন্থী। এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে অতিউৎসাহী ব্যক্তিদের ওপর বর্তায়, যারা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

 

সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস চান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আর আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত কোটা নিয়ে তাদের আন্দোলন চলবে।

তারা পরিষ্কারভাবে বলছেন, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

একইসঙ্গে দেশব্যাপী সমন্বয়কদের সঙ্গে পরামর্শসাপেক্ষে শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বকর মজুমদার।

তিনি বলেন, আগামীকাল শনিবার সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলার প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।

এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি।

আরেক সমন্বয়ক মো. মাহিন বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে ফুটবলের মতো খেলছে। ফুটবল লাথি দিয়ে একবার সংসদে, একবার হইকোর্টে পাঠাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কারও একার নয়। এখানে সবদলের শিক্ষার্থী রয়েছেন। আমাদের পেটে লাথি মারলে আমরা বসে থাকব না।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আব্দুল কাদের।

দাবি আদায়ে এবং বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আয়োজিত ব্লকেড কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ডাকা হয়।

বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, ক্যাম্পাস শ্যাডো, উপাচার্যের বাসভবন চত্বর, রাজু ভাস্কর্য হয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে আসেন। ৫টা ২০ মিনিটে তারা শাহবাগে অবস্থান নেন।

৬টা ১০ মিনিটে শাহবাগে কর্মসূচি ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নিন্দা

এদিকে বৃহস্পতিবার শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ১১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি ‘সময় টিভি’র সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচারণ করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

সংবাদমাধ্যমকর্মী ও আমাদের মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই পারস্পরিক সুসম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা কিছু অতিউৎসাহী অছাত্র-কুছাত্রদের দ্বারা হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখনোই সমর্থন করে না।

১১ জুলাইয়ের দুঃখজনক ঘটনাটি আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য এবং নীতির পরিপন্থী। এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে অতিউৎসাহী ব্যক্তিদের ওপর বর্তায়, যারা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে।