ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জে নিরাপদ সড়ক দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo মোংলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন Logo কক্সবাজারে পর্যটক নিরাপত্তায় রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিআইজি আপেল মাহমুদ Logo সিরাজদিখানে গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ Logo কালিগঞ্জে মাংসের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত Logo পলাশবাড়ী পৌরসভার বহুমুখী উন্নয়নে কাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালা Logo টেকনাফে পাহাড়ের পর সাগর পথে পাচার কালে ২৯ জন ভুক্তভোগী সহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক Logo তিতাসে বিএনপির লিপলেট বিতরণ Logo গোমস্তাপুরে জোরপূর্বক ধানীজমি দখলের চেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে রেলের গাছ কেটে বিক্রি করলেন কর্মচারীরা

লং মার্চ টু যমুনা 

সড়ক ছাড়েনি জবি শিক্ষার্থীরা সতর্ক পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ৩২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্টাফ রিপোর্টার
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সব প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়ার তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এবং হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লং মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১টার দিকে মৎস্য ভবন পেরিয়ে কাকরাইল মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছালে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে বসে পড়েন। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর আড়াইটার পর বৃষ্টি শুরু হলেও রাস্তা ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে ভিজেই তারা স্লোগান তোলেন- রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত। এসময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ ছাতা মাথায় আবার অনেকে কাকভেজা হয়ে স্লোগান ধরেন। সেখানে বৃষ্টিতে ভিজে পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
এর আগে পুলিশি হামলার বিষয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সহকারী প্রক্টরের ওপর আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচরণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাস্তা ছেড়ে যাবে না।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো- আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লং মার্চ টু যমুনা 

সড়ক ছাড়েনি জবি শিক্ষার্থীরা সতর্ক পুলিশ

আপডেট সময় :

স্টাফ রিপোর্টার
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সব প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়ার তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এবং হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লং মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১টার দিকে মৎস্য ভবন পেরিয়ে কাকরাইল মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছালে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে বসে পড়েন। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর আড়াইটার পর বৃষ্টি শুরু হলেও রাস্তা ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টিতে ভিজেই তারা স্লোগান তোলেন- রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত। এসময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ ছাতা মাথায় আবার অনেকে কাকভেজা হয়ে স্লোগান ধরেন। সেখানে বৃষ্টিতে ভিজে পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
এর আগে পুলিশি হামলার বিষয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সহকারী প্রক্টরের ওপর আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচরণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাস্তা ছেড়ে যাবে না।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো- আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।